রাজন ইসলাম রাজু :
রাজধানীর ঢাকার উত্তরায় ঐতিহ্যবাহী রেষ্টুরেন্ট সী শেলে খবার তৈরী করছে অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে। খাবার পরিবেশন ও ভিতরের মনোমুগ্ধকর লাইটিং ও ডেকোরেশনে দেখে বোঝার কোন উপায় নেই এই খবার গুলো কি পরিবেশ তৈরী হচ্ছে। ঠিক রেস্টুরেন্টের উপরে অর্থ্যাৎ কিচেন রুমে ঢুকলেই বোঝা যাবে আসল রহস্য। চার দিন আগের তেল দিয়েই রান্না হচ্ছে বিভিন্ন রকম খাবার। খোলা পরিবেশে ধূলো বালি ও হাতের গ্লাভস ব্যবহার ছাড়াই তৈরী করছে বিভিন্ন খাবার।
কিছু দিন পূর্বে দৈনিক আমার প্রাণের বাংলাদেশের একটি অনুসন্ধানি টিম সী শেলের মধ্যে প্রবেশ করলে কিচেন রুমের ছবি তোলা যাবেনা এই শর্তে কিচেন রুমে নিয়ে যায় হোটেল কর্তৃপক্ষ। কিছু অনিয়ম ও নোংরা পরিবেশের কথা বললে বিষয়টি নিয়ে খরাপ ব্যবহার করার চেষ্টা করে এই হোটেলের কর্তৃপক্ষ। জানা গেছে, দীর্ঘ দিন যাবৎ এই ভাবেই প্রতারণা করে যাচ্ছে সী শেল। শুধু খাবারই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরী হচ্ছে না। এখানের সরকারের সাথেও করা হচ্ছে প্রতারণা। আবাসিক লাইন বাণিজ্যিক ভাবে দীর্ঘ দিন যাবৎ ব্যবহার করছে হোটেল কর্তৃপক্ষ। স্যাম্পল হিসেবে গ্যাস সংযোগের পাশেই একটি সিলিন্ডার রাখা হয়েছে। কিন্তু অভিযোগ আছে সিলিন্ডার দেখিয়ে আবাসিক লাইন ব্যবহার করা হচ্ছে বাণিজ্যিক ভাবে।
এই অপরাধের ধারাবাহিকতায় গত ১৪ জুলাই তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড তাদের সংযোগটি বিছিন্ন করে দেয়। পরবর্তীতে আবাসিক ভাবে সংযোগটি চুক্তিমতে আবার চালু করে সী শেল রেষ্টুরেন্ট। এই বিষয়ে সী শেল রেষ্টুরেন্টের মালিক আমানউল্লাহ বলেন, বিষয়টি এই রকম না, বিল পরিশোধ না করার কারণে সংযোগটি বিছিন্ন করা হয়েছে।
এই বিষয় তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড এর দায়িত্বরত একজন কমকর্তা বলেন, অনিয়মের সাথে চালানোর কারণে তাঁদের সংযোগ বিছিন্ন করা হয়েছে। তারা যদি ফের এই একই কাজ করে আবার সংযোগ বিছিন্ন করে জরিমানার আওতায় আনা হবে। অপরিস্কার নোংরা পরিবেশের বিষয়ে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জুলকার নায়ন বলেন, বিষয়টি দুঃখ জনক প্রমাণ মিললেই ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়
Leave a Reply