আরিফ হোসেন :
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ ১নং আমানউল্যাহপুর ইউনিয়নের অন্তর্গত কোয়ারিয়া,ফটিকা ৮ নং ওয়ার্ড ,গোবিন্দের খিল ডহরপাড়া ৭ নং ওয়ার্ড, এখন কিশোর গ্যাং এর দখলে।
দিনে দিনে ভয়াবহ আকার ধারণ করছে এ কিশোর গ্যাং। রাজনৈতিক ছত্র ছায়ায় নানা অপরাধমূলক কর্মকান্ডে ব্যাবহারিত হচ্ছে কিশোররা। গত ০৮/০৫/২০২৩ইং রোজ সোমবার সন্ধ্যার পর মাদক ও কিশোর গ্যাং স্পট ইসমাইলের দোকান থেকে তুলে নিয়ে যায় চৌমুহনী সরকারি এস এ কলেজের মেধাবী ছাত্র আবদুর রহিম কে, অস্ত্র ও এসেজ ফাইভ দিয়ে রক্তাক্ত করে রাস্তায় ফেলে যায়,পরে স্হানীয় জনগন উদ্ধার করে হসপিটাল এ নিয়ে যায়।
এতে নেতৃত্ব দেয় কিশোর গ্যাং এর অস্ত্র বহনকারী খালপাড়ের ইয়াছিন আরাফাত, উরফে কালা ইয়াছিন সহ ১০-১২ জন কিশোর। পিছন থেকে কলকাঠি নাড়ে কিশোর গ্যাং এর সেকেন্ড ইন কমান্ড শাকিল, উরফে লিপি মেম্বার এর পোলা শাকিল।শাকিল এর নামে চাঁদাবাজি, মাদক, ফিটিংকেস ও বৈদ্দেরবাজারের জহির কে মাথা পাঠানো সহ সমাজে বিভিন্ন অভিযোগ তাঁর নামে আছে।মানুষ ভয়ে মুখ খুলে না।
এদিকে ছোট বৈদ্যবাড়ীর রকি নামে উরফে রকি ভাই কিশোর গ্যাং এর আরেক অন্যতম সদস্য। কোয়ারিয়া থেকে শুরু করে বট্রগ্রাম পর্যন্ত সকল কিশোর গ্যাং এর নেতৃত্ব দিচ্ছে সবুজ বাহিনীর প্রধান বড় ভাই সবুজ। এই বড় ভাই (সবুজ)এর নামে থানায় ও র্যব এর কাছে চাঁদাবাজি, ডাকাতি ও অস্ত্র মামলা সহ একাধিক মামলা রয়েছে।
সময়ের সাথে সাথে তাদের অপরাধের ধরন ও পাল্টে যাচ্ছে। এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, চাঁদাবাজি, চুরি ছিনতাই, মাদক থেকে শুরু করে খুনাখুনি নানা অপরাধে কিশোর ও তরুনরা জড়িয়ে পড়েছে। মাদক ব্যবসা ও দখলবাজিতে ও তাদের ব্যবহার করা হচ্ছে।
এদিকে অধিকাংশ এসব কিশোর গ্যাং গড়ে ওঠার নেপথ্যে ক্ষমতাসীন দলের স্হানীয় নেতাকর্মীরা।সময়ের সাথে সাথে তাঁরা ভয়ংকর থেকে হিংস্রতে পরিনত হচ্ছে। এখনই প্রশাসন এদের লাগামটেনে না ধরলে সামনে পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হবে।
এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়
Leave a Reply