শুক্রবার, ২৪ মার্চ ২০২৩, ০১:১০ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
শেরপুরে জনসচেতনামূলক বিট পুলিশিং সমাবেশ অনুষ্ঠিত পুতিনকে গ্রেপ্তার প্রচেষ্টার অর্থ রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা ব্রয়লার মুরগি: খামার পর্যায়ে ১৯০-১৯৫ টাকা নির্ধারণ, খুচরায়ও কমবে কল্যাণ ও সৌভাগ্যের বার্তা মাহে রমজান নীলফামারীতে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে টি-টুয়েন্টি ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ভুয়া প্রজ্ঞাপনে সালনা নাসির উদ্দিন স্কুল এন্ড কলেজে  অবৈধভাবে নিয়োগ শিক্ষক ইফতেখারকে   উত্তরখান থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আবুল কালাম আজাদ বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর আইকন বনানীতে প্রশাসনের নিরব ভূমিকায় ফুটপাত দখল শেষ, রাস্তা দখলে মরিয়া রমজান মাস উপলক্ষে কালিয়াকৈরে ইফতার সামগ্রী বিতরণ  অফিস সহায়কের প্রতি অমানবিক আচরণে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

অস্ত্রধারী নুর আলম নূরুকে গ্রেফতারের জন্য মানববন্ধন হলেও নূরু অধরা : প্রশাসন নিরব

Reporter Name
  • Update Time : সোমবার, ৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
  • ৬৭ Time View

 

 

হাবিব সরকার স্বাধীনঃ

রাজধানীর বনানীর কড়াইল বস্তিতে আল আমিন সরকারকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় জড়িত অপরাধীদের পুলিশ গ্রেপ্তার করছে না বলে অভিযোগ করেছেন নিহতের পরিবার।প্রকাশ্যে খুনের ঘটনা ঘটলেও গ্রেফতার না হওয়ায় খুনিদের ভয়ে আতঙ্কে দিন পার করছেন তারা। আল আমিন রাজনীতি করতেন না। তবে আল আমিনের ভাইয়েরা রাজনীতি করেন। ভাইদের সঙ্গে বিরোধের জেরেই তাকে খুন করা হয়েছে। রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব) কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন আল আমিনের স্ত্রী রিতা আক্তার। সংবাদ সম্মেলন শেষে আসামিদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে ক্র্যাব কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করেন পরিবারের সদস্যরা। অন্যদিকে প্রশাসনের নিরব ভূমিকায় সাধারণ মানুষ হতবাগ। মানববন্ধন সহ বিভিন্ন দপ্তরে বিচার চেয়েও নিহত আল আমিনের পরিবার বিচার পাচ্ছে না বলে প্রশ্ন উঠেছে?

 

সংবাদ সম্মেলনে নিহত আল আমিনের স্ত্রী রিতা আক্তার বলেন, গত ১৭ আগস্ট বুধবার রাতে কড়াইল বস্তি এলাকায় মসজিদের ভেতরে ঢুকে নুরুর নেতৃত্বে প্রকাশ্যে আল আমিনকে কুপিয়ে হত্যা করে খুনিরা। তারা প্রথমে আল আমিনের হাত বিচ্ছিন্ন করে ফেলে। তারপরও ক্ষান্ত হয়নি। আল আমিনকে বাঁচাতে এলে তঁর ভাই নাসির সরকারকেও কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়।

আল আমিনের ভাই জুয়েল অভিযোগ করেন, ঘটনার দিন সকালে কড়াইলের এরশাদ স্কুল মাঠে চাচাতো ভাই জসিম উদ্দিনের ছেলে নিহাদ সরকারকে মারধর করেন স্থানীয় নুর আলমের বাহিনী মুহাম্মদ আলী, তানভীর, তুষার ঘ। এ ঘটনার প্রতিবাদ করায় নুর আলম আমাকে প্রকাশে হুমকি দেন। পরে নুর আলমের নেতৃত্বে মোহাম্মদ আলী, মো. খাজাসহ ২২ জন দুই ভাইয়ের ওপর হামলা করেন।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বনানী থানার ওসি নূরে আযম মিয়া বলেন, অন্য আসামিদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়। তাকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে হামলায় তিন নারীসহ ছয়জন আহত হন। আর মসজিদের ভেতরে কোপানো হয় আল আমিনের ভাই নাসিরকে। হামলার বিষয় স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি ঢাকা সংবাদ সম্মেলনে আল আমিনের মা হোসপিয়ারা বেগম, শ্বশুর আবদুস সামাদ, শাশুড়ি জামেনা বেগম, বড় বোন হালিমা আক্তার ও ভগিড়বপতি দোফায়ের আহমেদ উপস্থিত ছিলেন। মানববন্ধনে।

 

অস্ত্র হাতে কে এই নুরু?

মাদক অধিদপ্তরের চিহ্নিত তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ী নুরু যার যথেষ্ট প্রমাণ দৈনিক আমাার প্রাণের বাংলাদেশ দপ্তরে রয়েছে। নানান কু কর্মের গডফাদার নুরু। অবৈধ অস্ত্র হাতে নুরু এলাকায় আতঙ্ক ছড়াচ্ছে স্থানীয়দের দাবি আলামিন হত্যার প্রদান আসামি কেন গ্রেফতার করা হচ্ছে না? রাজনৈতিক সাইনবোর্ডে লাগিয়ে প্রকাশ্যে দাপিয়ে বেড়ায় নুরু।এত অপরাধের পর পুলিশ তাকে কিছুই করছে না।এলাকাবাসির বলাবলি করছে নুরুর খুটির জোর কোথায়?

কড়াইল জুড়ে বিতর্কিত ভয়ংকর কিলার নুরু অবৈধ অস্ত্র হাতে আলোকিত আলামিন হত্যা মামলার আসামি প্রকাশ্যে ঘুরছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী চোখে ছাওনি কিছুই দেখছে না। রাজধানী ১৯ নং ওয়ার্ড কড়াইল বস্তি ওরা ভয়ংকর কিলার নামে চিহ্নিত।গ্যাস, বিদ্যুৎ, মাদক, জোয়ার বোর্ড নিয়ন্ত্রণ সহ নানার অপরাধ নিয়ে নুরুল সাম্রাজ্য। ১৯ নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি রাকিব হামজার হত্যার কাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে নুরু ও তার সহযোগী জসিমের বিরুদ্ধে। এজাহারে নাম হঠাৎ সেই নাম উধাও এমনটা কেন জানিয়েছেন আলামিনের পরিবার।

আল আমিন হত্যার পরও বুক ফুলিয়ে জন্মদিন ফেজবুকে নানান রকমের ক্যাপশনে পালন সহ আনন্দ উল্লাসে এলাকার দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন নুরু বাহিনী। বিভিন্ন কর্মকর্তাদের কাছে গিয়ে আলামীনের মূল হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করাতে পারছে না পরিবারটি। কয়েকজন গ্রেপ্তার হয়েছে কিন্তু মামলার মূল আসামি নূরু ওরফে নূর আলম রয়েছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। মামলা করে বিপাকে পড়লেন আলামিনের পরিবার। দীর্ঘ পাঁচটি মাস হয়ে গেল চাঞ্চল হত্যা মামলার আসামির নুরুকে গ্রেফতার করছে না দায়িত্বগত কর্মকর্তারা। রহস্যময় কারণ কি স্থানীয়দের মাঝে এমনই প্রশ্ন জেগেছে। অভিযোগ নুরু প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ায় কড়াইল এলাকায় পটোকল হিসেবে কড়াইল বস্তির ব্রিডিং ইনচার্জ এস আই মাহবুব ও কনস্টেবল সানোয়ার তারা শেল্টারে দিচ্ছি। অপরাধ এত পরিমান তবুও থামছে না।দিন দিন নুরু বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। নুরুর সকল কুকর্মের সব অপরাধের জন্য সহযোগিতা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে পুলিশ কর্মকর্তার মাহাবুব এর বিরুদ্ধে ।

পৃথবীর সৃষ্টির শুরু থেকে মানুষের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ, খুন-খারাবি হয়েই আসছে। কিন্তু এসব হত্যার ভেতর কিছু হত্যাকাণ্ড সত্যিই ভয়ংকর। পৃথিবীর বুকে এ রকম নৃশংস খুনের সংখ্যা একেবারেই কম নয়। সেসব খুনের বর্ণনা দেওয়া লোমহর্ষক ব্যাপার। শুধু একটা নয়, অবৈধ অস্ত্র হাতে তুলে সন্ত্রাসী তাণ্ডব মানুষকে করছেন বিভ্রান্ত। খুনিরা একের পর এক খুন করে নিজেদের নাম লিখিয়েছে সিরিয়াল কিলার হিসেবে।

সিরিয়াল কিলার কাকে বলে?

যে একটার পর একটা খুন নির্বিঘ্নে সংগোপনে চালিয়ে যেতে পারে তাকে সিরিয়াল কিলার বলে। সিরিয়াল কিলাররা সাধারণত রাগ, উত্তেজনা, অর্থের প্রভাব ইত্যাদি কারণে হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে থাকে। চলুন জেনে নিই পৃথিবীর ইতিহাসে ভয়ংকর সিরিয়াল কিলার যশোরে কুখ্যাত খুনি এরশাদ শিকদার সম্পর্কে।

এরশাদ শিকদার: বাংলাদেশের ইতিহাসে সিরিয়াল কিলারদের ভেতর তার নাম স্মরণাতীত। তার গ্রামের বাড়ি ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার মাদারঘোনায়। পরবর্তীতে ১৯৬৬-৬৭ সালের দিকে সে খুলনায় চলে আসে জীবিকার সন্ধানে। প্রথম দিকে সে কুলির সহযোগী হিসেবে কাজ করে। এরপর আস্তে আস্তে ছোটখাটো চুরিচামারির সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে। এলাকায় রাঙ্গা চোরা নামে ডাকতে থাকে সবাই। চুরি করতে করতে একসময় যোগ দেয় খুনিদের সঙ্গে। একের পর এক খুন করতে থাকে সে। রাজসাক্ষী হয়ে আদালতকে তার দেহরক্ষিত চঞ্চল্যকর তথ্য দেন। জানায়, কমপক্ষে ৬০টি খুন করেছে সে। আদালতের কাছে সে ২৪টির হুবহু বর্ণনা তুলে ধরে। এরশাদ শিকদারের ছয়টি বিয়ের কথা জানা যায়। বহু নারীর নির্যাতনের খবরও দেয় রাজসাক্ষী সে জানায়, কৌশলে মিষ্টি ব্যবহার করে নারীদের তার আস্তানায় এনে নির্যাতন চালাত এরশাদ শিকদার। ১৯৯৯ সালে যখন সে গ্রেপ্তার হয়, তখন তার নামে মামলা ছিল ৩টি। এরপর তার নামে আরো ৪৩টি মামলা দায়ের করা হয়। সাতটি মামলায় তার ফাঁসির দণ্ডাদেশ হয় নিম্ন আদালতে। চারটি মামলায় হয় যাবজ্জীবন। ২০০৪ সালের ১০ মে মধ্যরাতে খুলনা জেলা আদালতে তার ফাঁসির রায় কার্যকর করা হয়।

চাঁদাবাজির নিয়ন্ত্রণ নুরু

লাখ লাখ টাকার চাঁদাবাজির এই নিয়ন্ত্রণ ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ফিরে ফিরে একের পর এক সহিংসতা ও হত্যার মতো ঘটনা ঘটে আসছে কড়াইল বস্তিতে। ২০১২ সালে কড়াইল বস্তির পানি, বিদ্যুৎ, গ্যাস প্রভৃতির সেবা/সংযোগের অর্থ উত্তোলনের ক্যাশিয়ার বশির হত্যাকাণ্ড, ২০১৪ সালে একই কার্যক্রমে নিয়োজিত দুলাল সরদার হত্যাকাণ্ড, ২০১৮ সালে অবৈধ সংযোগের বিরুদ্ধে কথা বলতে যাওয়ার কারণে তিতুমীর কলেজের মাস্টার্সের ছাত্র রাকিব হোসাইন হত্যাকাণ্ড, ২০১৮ সালে একই ইস্যুতে নিহত হয় রাশেদ কাজী নামে একজন।

রাজনৈতিক সাইনবোর্ড লাগিয়ে ভাঙ্গারি ব্যবসার অন্তরালের সরকারি গ্যাস বিদ্যুৎ পানি সহ মাদক জোয়ার বোর্ড নিয়ন্ত্রণ সহ অবৈধ অস্ত্র আনাগোনা হত্যা ভয় ভীতি দেখানোর অভিযোগ রয়েছে নুরুর বিরুদ্ধে। কিছুদিন পরপর বিদেশ ভ্রমণ বিলাসিতা জীবন সকল কিছুই অপরাধ যেন রয়েছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ধরা ছোঁয়ার বাইরে।

 

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়