মাসুদ রানা রাব্বানী, রাজশাহী :
রোজার পর থেকে রাজশাহীর কাঁচাবাজারে প্রায় সব পণ্যের দামই বাড়তি। তবে মাছ-মাংসের দাম ছিল নিয়ন্ত্রণে। কিন্তু এক সপ্তাহের ব্যবধানে সেই মাছ মাংসের দাম বেড়েছে। অন্য পণ্যের পাশাপাশি মাছ মাংসের দাম বাড়ায় হতাশ ক্রেতারা।
শুক্রবার (৭ এপ্রিল) নগরীর সাহেববাজার ঘুরে দেখা যায়, নিত্য প্রয়োজনীয় সব পণ্যের দামই স্থিতিশীল থাকলেও দাম বেড়েছে মাছ ও গরুর মাংসের। সবজির দাম গত সপ্তাহের মতো স্থিতিশীল রয়েছে এ সপ্তাহে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে মাছ ও গরুর মাংসের দাম দাম লাগামছাড়া।
গরুর মাংস কিনতে আসা শারমিন জানান, ঈদকে সামনে রেখে বিক্রেতারা ইচ্ছা করে গরুর মাংসের দাম বাড়িয়েছেন। এভাবে চলতে থাকলে আমাদের মতো গরীব মানুষ যারা মাসে একবার গরুর মাংস খায় তারা হয়তো ঈদেরও মাংস কিনে খেতে পারবেন না।
গরুর মাংস বিক্রেতা আইনাল জানান, হাটে গরুর দাম হঠাৎ বেড়ে গেছে। আগে যে গরু ৬০ হাজার টাকায় কিনেছি সে গরু গতকালকে ৭ হাজার টাকা বেশি দিয়ে কিনতে হয়েছে। গরুর মাংসের দাম বাড়ার পেছনে আমাদের কোন হাত নেই। আমরা বেশি দিয়ে কিনেছি তাই মাংসের দাম বাড়িয়েছি।
মাংসের সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে মাছের দামও। গত সপ্তাহের চেয়ে কেজিতে ২০-৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে কার্পজাতীয় মাছ। নদী ও বিলের মাছ বিক্রি হচ্ছে কেজিতে ১০০-১৫০ টাকা বেশিতে। এ সপ্তাহে ১০০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে ট্যাংরা মাছ বিক্রি হচ্ছে ৬৫০ টাকা, গত সপ্তাহের চেয়ে ২০০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে বাশপাতা মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৪০০ টাকা, চিংড়ি মাছ বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা বেড়ে ৮০০ টাকায়।
এছাড়া সপ্তাহের শেষ দিন শুক্রবারে অন্যন্য পণ্যের দাম গত সপ্তাহের মতো স্থিতিশীল রয়েছে। গত সপ্তাহের দামে আজ বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি, করলা ৮০, শসা ৬০-৮০, পিয়াজ ৩২, কাচামরিচ ৮০ টাকায়।
গত সপ্তাহের মতো স্থিতিশীল থেকে খাশির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১০০০ টাকা কেজিতে। এছাড়াও সপ্তাহের শেষ দিনে মুদিপণ্য সামগ্রী ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম স্থিতিশীল রয়েছে।
এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়
Leave a Reply