অনলাইন ডেস্ক :
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ও ভৈরব-কিশোরগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কে মাক্রোবাস, প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেলের মাধ্যমে যাত্রী পরিবহন করার অভিযোগে ১০টি মাইক্রোবাস আটক করেছে হাইওয়ে পুলিশ।
শনিবার (৯ মে) সকালে ভৈরব উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় দুর্জয়মোড় গোলচত্ত্বর এলাকা থেকে যাত্রী পরিবহনকালে মাইক্রোবাসগুলোকে আটক করা হয়। পরে ওই যানবাহন গুলো ভৈরব হাইওয়ে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
অভিযোগ উঠে, করোনা ভাইরাস সংক্রামণ প্রতিরোধে সারাদেশে গণপরিবহন চলাচল বন্ধ থাকায় এক শ্রেণির অসাধু মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেল চালক ভৈরব দুর্জয়মোড় এলাকার বিভিন্নস্থান থেকে কৌশলে যাত্রী নিয়ে ঢাকা-কিশোরগঞ্জসহ আশেপাশের বিভিন্ন স্থানে যাত্রীপরিবহণ করার।
প্রথমদিকে সবই বন্ধ ছিল। কিন্ত গত এক সপ্তাহ যাবত মাইক্রোবাসের ড্রাইভাররা প্রতিদিন মাইক্রোবাসে ঢাকায়, গাজীপুর, নরিসিংদি, নারায়নগন্জে যাওয়ার যাত্রী পরিবহণ করছে। প্রতি যাত্রীর ভাড়া ৫০০ টাকা করে নিচ্ছে। বিশেষ করে গার্মেন্টসকর্মী ও চাকরিজীবিদেরকে যাত্রী হিসেবে বহন করে গন্তব্যস্থলে পৌঁছে দিচ্ছে মাইক্রোবাস মালিক ও ড্রাইভাররা।
খবর পেয়ে ভৈরব হাইওয়ে পুলিশ এসব মাইক্রোবাস ধরে আটক করে। এসময় পুলিশ প্রমাণ পায় তারা যাত্রী বহন করছে।
এবিষয়ে হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহবুবুর রহমান জানান, মাইক্রোবাস মালিকরা তাদের ড্রাইভার দিয়ে গোপনে যাত্রী পরিবহন করছে, এখবর পেয়ে পুলিশ ১০ টি মাইক্রোবাস আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৭ টায় থানায় নিয়ে আসে।
বর্তমানে মাইক্রোবাসগুলি থানায় আটক আছে। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার লুবনা ফারজানা ভ্রাম্যমান আদালত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন বলে তিনি জানান। তিনদিনের মধ্য গাড়ীর মালিকরা অপরাধ স্বীকার করলে ভ্রাম্যমাণ আদালতে বিচার হবে। নতুবা রেকার বিল ৩ হাজার টাকা রেখে তাদেরকে ছাড়া হবে বলেও জানান তিনি ।সুত্রঃযমুনা টিভি
এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়
Leave a Reply