মঙ্গলবার, ০৬ জুন ২০২৩, ০৫:৪৬ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
সাবেক সরকারি কর্মকর্তার কোটি কোটি টাকার নামে বেনামে সম্পদের পাহাড় তুরাগে মায়ের সাথে অভিমান করে কিশোরীর আত্মহত্য পূবাইলে সমবায় অফিসে দুর্ধর্ষ চুরি বনানী পুলিশ ফাঁড়ির নিকটেই অবৈধ ফুটপাতের দোকান, নেপথ্যে ইন্সপেক্টর একরামের আতাত বাজেট ডিব্রিফিং সেশন সংসদ সদস্যগণকে বাজেট সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ ধারণা দিচ্ছে : স্পীকার বাসযোগ্য সুন্দর পরিবেশ গড়তে জনসচেতনতার কোন বিকল্প নেই : সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক কালিহাতীতে মাদ্রাসার ভূমি জবরদখল : উদ্ধারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি নীলফামারীতে বিশ্ব পরিবেশ দিবসে র‌্যালি, আলোচনা সভা ও পুরষ্কার বিতরণ দেশকে জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত থেকে রক্ষা করতে হলে সম্মিলিত প্রচেষ্টা দরকার  : তথ্যমন্ত্রী মিরপুরে জনতা-পুলিশ সংঘর্ষ: ২ মামলা, আসামি সহস্রাধিক

আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় আসবে এমনটাই প্রত্যাশা শেখ হাসিনার

Reporter Name
  • Update Time : বুধবার, ৫ এপ্রিল, ২০২৩
  • ৩৮ Time View

 

(জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রেখে যাওয়া সোনার বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নকে বাস্তবতার আলোকে রূপ দিয়ে ইতিমধ্যে সারাদেশে উন্নয়নের সোপানে দৃশ্যমান উন্নয়ন করে জনগণের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের আমলে হওয়া মজবুত অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিকে বারবার ক্ষমতায় আসার অন্যতম কারণ হিসেবে দেখছে দেশের জনগণ।)

 

শের ই গুল :

 

আগামী আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবার বড় জয় নিয়ে ক্ষমতায় আসবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। সেই লক্ষ্যে দলটির সভাপতি এবং বর্তমান প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত যোগ্যতার সাথে তার পারিবারিক রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা ও তাঁর পিতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রেখে যাওয়া সোনার বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নকে বাস্তবতার আলোকে রূপ দিয়ে ইতিমধ্যে সারাদেশে উন্নয়নের সোপানে দৃশ্যমান উন্নয়ন করে জনগণের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের আমলে হওয়া মজবুত অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিকে বারবার ক্ষমতায় আসার অন্যতম কারণ হিসেবে দেখছে দেশের জনগণ।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের জনপ্রিয়তা, অভাবনীয় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, সামাজিক উন্নয়ন এবং বিরোধীদলগুলোর দুর্বলতার কারণেই আবার ক্ষমতায় আসতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। বিদেশী অনেক সংস্থা ইতিমধ্যে তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত করেছে বাংলাদেশ বিষয়ক প্রতিবেদন অনুসারে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বড় অবদান রাখার জন্য বাংলাদেশের মানুষ আবারও আওয়ামী লীগকে নির্বাচিত করবে। আরও বলা হয়, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক এই অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে। করোনার মতো বিশাল অর্থনৈতিক মন্দাকেও কাটিয়ে বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত ধৈর্য এবং বুদ্ধিমত্তার সাথে তার নেতৃত্বে সফল হয়েছে।

বাংলাদেশের অর্থনীতিকে পুনরায় পুনরুজ্জিবীত করে নতুন আঙ্গিকে অর্থনীতির চাকাকে আবার পূর্বের চেয়েও বেগবান করে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে সক্ষম হয়েছে। ব্যক্তিগত উদ্যোগ এবং সার্বিক বিনিয়োগে বিশ্বের মন্দা অবস্থার জন্য স্থিতাবস্থা থাকবে বলেও তারা জানায়। প্রতিবেদনে বলা হয়, নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। স্থানীয় বেশ কিছু মতামত জরিপে শেখ হাসিনা এখন পর্যন্ত দেশের সবচাইতে জনপ্রিয় নেতা। তার সুনাম দেশের গন্ডি পেরিয়ে বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে।

আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে অসাধারণ অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও সামাজিক অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি নির্বাচনী প্রচারণায় বিরোধী দলের পিছিয়ে থাকার কথাও উঠে এসেছে এসব বিদেশী প্রতিবেদনে। প্রতিবেদনে নানা ঝুুকির কথা উল্লেখ করে বলা হয়েছে, চলমান ও আসন্ন রাজনৈতিক ঝুঁকিগুলোর মধ্যে রয়েছে- নির্বাচনে সন্ত্রাসী হামলা। এতে করে ব্যাপক আকারে সামাজিক অস্থিরতা সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। জঙ্গি গোষ্ঠীগুলো সম্ভবত গুরুত্বপূর্ণ জায়গা বা প্রধান শহরগুলো টার্গেট করবে। এতে আতঙ্ক সৃষ্টি হবে ও জাতীয় নিরাপত্তার ওপর সরকারের নিয়ন্ত্রণ প্রশ্নবিদ্ধ হবে যদি যথাযথ ভাবে এই বিষয় গুলোকে কন্ট্রোল করতে না পারে। রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টির ক্ষেত্রে আরও ভূমিকা রাখবে বিরোধীদলগুলোর বিক্ষোভ।

রাজনৈতিক দল বা সন্ত্রাসী ছাড়াও বিভিন্ন নিরপেক্ষ দলের বিক্ষোভের কারণেও রাজনৈতিক অস্থিরতা তীব্র হতে পারে। তারপরও আসন্ন নির্বাচনে শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তা অদ্বিতীয়। বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ বিশ^াস করেন দেশ সঠিক পথেই আছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের অর্থনীতি এগিয়ে যাচ্ছে। অধিকাংশ মানুষ দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার ওপর সন্তুষ্ট। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ত্বাধীন সরকারের আস্থাশীল অধিকাংশ মানুষ। তারা সন্তুষ্ট দেশের গনতন্ত্র, নিরাপত্তা, বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস ও যোগাযোগ ব্যবস্থায়।

শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অর্থনীতি আশানুরূপ ভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন বিদেশী সংস্থার গবেষণার প্রতিবেদন অনুসারে বাংলাদেশের ৬২ ভাগ নাগরিক মনে করে অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রায় দেশ সঠিক পথে এগিয়ে যাচ্ছে এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন ৬৯ ভাগ নাগরিক। জরিপের ফলাফলের চিত্রের দিকে তাকালে দেখা যায়, ৬২ শতাংশ মানুষ বিশ্বাস করেন দেশ সঠিক পথেই আছে। ৬৯ শতাংশ মানুষ দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার ওপর সন্তুষ্ট। ৬৮ শতাংশ মানুষ দেশের বর্তমান নিরাপত্তা ব্যবস্থার ওপর সন্তুষ্ট। ৫৭ শতাংশ মানুষ বিশ্বাস করেন আগামী দিনগুলোতে দেশ আরো নিরাপদ হবে। ৪৭ শতাংশ মানুষ মনে করেন তাদের ব্যক্তিগত ও পারিবারিক অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে।

এছাড়া অধিকাংশ মানুষ আস্থার কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেষখ হাসিনা ও তার সরকারের নেয়া নানা পদক্ষেপের ওপর। ৬৬ শতাংশ মানুষ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর আস্থাশীল, ৬৪ শতাংশ মানুষ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকারের ওপর আস্থাশীল, ৪৯ মানুষ তাদের অর্থনৈতিক ভবিষ্যত নিয়ে আশাবাদী। ৫১ শতাংশ মানুষ দেশের গণতন্ত্র নিয়ে সন্তুষ্ট। বর্তমান সংসদের ওপর আস্থাশীল ৫১ শতাংশ মানুষ। তবে ৪৯ শতাংশ মানুষ বর্তমান নির্বাচন কমিশনের ওপর আস্থাশীল। ৬৭ শতাংশ মানুষ স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে সন্তুষ্ট। ৬৪ শতাংশ মানুষ বিদ্যুতের বর্তমান অবস্থায় সন্তুষ্ট। সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে সন্তুষ্ট ৬১ শতাংশ মানুষ।

আর ৮১ শতাংশ মানুষ জানিয়েছেন তারা আসন্য আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট দেবেন। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, বর্তমানে দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তা বেড়েছে। ৬৬ ভাগ নাগরিকের কাছে জনপ্রিয় শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগের প্রতি ৬৪ ভাগ নাগরিকের সমর্থন রয়েছে। জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বর্তমান সরকার। আর সে কারণেই ৬৮ ভাগ নাগরিক জননিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে সন্তুষ্ট। এর মধ্যে ৫৭ ভাগ মনে করছেন, সামনে জননিরাপত্তা ব্যবস্থার আরো উন্নতি হবে। সরকারি বিভিন্ন সেবা প্রদানের ক্ষেত্রেও জন সন্তুষ্টির পরিমাণ বেড়েছে।

দেশের বর্তমান গণতান্ত্রিক আবহ নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন নাগরিকরা। পার্লামেন্টের কার্যক্রমের ওপর তাদের আস্থা রয়েছে বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়। নাগরিকদের কাছে ভোটাধিকার প্রয়োগের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে ৮১ ভাগ জানান, আগামী নির্বাচনে তারা ভোট প্রদান করবেন। এর আগে আইআরআই-এর গবেষণা প্রতিবেদনেও কাছাকাছি ফল পাওয়া গিয়েছিল। তাদের প্রকাশিত গবেষণা সংস্থাটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, দেশের সবচাইতে জনপ্রিয় ও বিশ্বস্ব নেতা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে প্রায় ৭৩ ভাগ নাগরিক দেশ পরিচালনায় শেখ হাসিনার পক্ষে ‘ভালো মত’ প্রকাশ করেন।

এই প্রতিবেদনেই ২৬ দশমিক ৬ ভাগ নাগরিক দেশ পরিচালনায় খালেদা জিয়ার পক্ষে ‘ভালো মত’ প্রকাশ করেন। শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তার কারণেই দল জনপ্রিয় বলে মত দেয়া হয়। এছাড়া বলা হয়, ক্ষমতায় থাকাকালে স্বৈরশাসন এবং ধর্মীয় চরমপন্থার জন্য আসন্ন সংসদ নির্বাচনে পিছিয়ে থাকবে বিএনপি ও জামায়াত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি খারাপ অবস্থানে তারেক রহমান। আগামী আসন্ন একাদশ সংসদ নির্বাচনে জয়ী হয়ে আওয়ামী লীগই আবার সরকার গঠন করবে বলে মনে করছে ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট-ইআইইউ।

ডিসেম্বরের শুরুতে বাংলাদেশ বিষয়ে প্রকাশিত সর্বশেষ কান্ট্রি ব্রিফিংয়ে ইকোনমিস্ট গ্রুপের এই গবেষণা উইং বলেছে, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে গত কয়েক বছর ভালো অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি পেয়েছে বাংলাদেশ। তৃণমূলের সমর্থন আগামী ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিজয়ে বড় ভূমিকা রাখবে। ২০১৯ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত সময়ে বাংলাদেশের যে ভবিষ্যত ইআইইউ দেখতে পাচ্ছে, তাতে সন্ত্রাসী হামলা, বিরোধী দলের আন্দোলন এবং জনতার বিক্ষোভের কারণে রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি হওয়ার আভাসের কথা রয়েছে। ইআইইউর পূর্বাভাস বলছে, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রা আগামী পাঁচ বছরও অব্যাহত থাকবে। এই সময়ে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে গড়ে ৭.৭ শতাংশ হারে। বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ ও ভোগ বৃদ্ধি এক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখবে।

স্থানীয় বিভিন্ন জরিপে জনপ্রিয়তার দিক দিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার অনেক এগিয়ে থাকার তথ্য তুলে ধরে ইআইইউর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তার ব্যক্তিগত ভাবমূর্তি নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে অসাধারণ অগ্রগতির পাশাপাশি ভোটের মাঠে একটি কার্যকর বিরোধী শক্তির অনুপস্থিতির কারণে বিএনপি বা জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচনে বড় কোনো চ্যালেঞ্জ গড়ে তুলতে পারবে না বলেই ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট মনে করছে।

তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিদেশি বিনিয়োগপ্রাপ্তি অব্যাহত রাখা, এবং দেশের অর্থনীতিতে বেসরকারি খাতের ভূমিকা বাড়াতে আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের জয় পাওয়া গুরুত্বপূর্ণ। আর আওয়ামী লীগ সেই জয় পেলে আগামী দিনগুলোতে বঙ্গোপসাগরের তীরে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভৌগলিক অবস্থানে থাকা বাংলাদেশ প্রতিবেশী ভারত, চীন ও জাপানের কাছ থেকে আরও অর্থনৈতিক সহযোগিতা আদায় করে নিতে পারবে বলে ধারণা করছে ইআইইউ। অবশ্য রোহিঙ্গা সঙ্কটকে কেন্দ্র করে মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কোন্নয়নের আশু কোনো সম্ভাবনা ইআইইউ দেখছে না।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যে পাঁচ বছরের পূর্বাভাস ইআইইউ দিচ্ছে, তার প্রথম ভাগে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বিষয়টি বড় একটি সমস্যা হিসেবেই থেকে যাবে বলে তারা মনে করছে।

 

 

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়