সাঈদ সজল, রাবি: ‘পুরনো সেই দিনের কথা ভুলবি কি রে হায়, ও সেই চোখে দেখা, প্রাণের কথা, সে কি ভোলা যায়’ দিনভর স্মৃতি রোমন্থন, গান-গল্প আর আড্ডার মধ্য দিয়ে উদযাপিত হলো রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পুনর্মিলনী। বৃস্পতিবার ও শুক্রবার (১৫ ও ১৬ ই ফেব্রুয়ারি’১৮) এ দু’দিন ছিল বিভাগটির অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের দ্বিবার্ষিক সম্মেলন ২০১৮। এদিন সব ব্যস্ততা ফেলে প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা জড়ো হয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ কলা ভবনের সামনে। ১৯৫৬ সাল হতে প্রতিনিধিত্বকারী রাবির ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের হাজারো প্রাক্তন শিক্ষার্থীর সরব উপস্থিতিতে ক্যাম্পাসে আনন্দঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। শীতের শেষ ও বসন্তের আগমনীর শুভক্ষণে সকাল সাড়ে ৮ টা থেকেই পুনর্মিলনী প্রাঙ্গণে আসতে থাকেন বিভিন্ন বয়সী প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা। বন্ধু-সহপাঠীদের সঙ্গে গল্প- আড্ডায় একত্রে বসে সকালের নাস্তা সারেন তারা। সকাল ৯ টায় কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে (কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তন) সবুজ চত্বরে দিনব্যাপী এ আয়োজনের উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম আব্দুস সোবহান। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিভাগের ইমেরিটাস অধ্যাপক এ কে এম ইয়াকুব আলী, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ ফায়েকউজ্জামান, রাবি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনন্দ কুমার সাহা, কলা অনুষদের অধিকর্তা প্রফেসর এফএমএএইচ তাকী ও প্রধানমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব-২ মো. সাইফুজ্জামান শিখর, বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. আজিজুল হক, অধ্যাপক ড. সুলতান আহমদসহ বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
আনন্দ-বেদনার স্মৃতিবিজড়িত এই ক্যাম্পাসে এসে সবাই নিজেদের সোনালী অতীতে ফিরে যান। একে অন্যকে বুকে টেনে নিয়ে বলেছেন, কত দিন পর …। দিনভর আড্ডায় ক্যাম্পাস জীবনের দুষ্ট-মিষ্টি স্মৃতি নিয়ে হাসিঠাট্টায় কাটিয়েছেন অ্যালামনাইরা।
অ্যালামনাইয়ের এক সাবেক শিক্ষার্থী স্মৃতিচারণ করে বলেন, পুনর্মিলনীর কথা শুনলেই ছুটে আসি প্রাণের টানে। অনেক দিন পর ভালো সময় কাটালাম। পুনর্মিলনীতে অনেক বন্ধুকে পেয়ে মনে হচ্ছে আবার সেই পঞ্চাশের দশকে ফিরে গেছি। তবে অনেক কাছের বন্ধু ও শিক্ষক পৃথিবী ছেড়ে চলে গেছে। তাদের খুব মিস করছি।
এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়
Leave a Reply