মো: মোমিন খান, আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি :
মহান মুক্তিযুদ্ধ কালিন কমান্ডার মেজর (অবঃ) আব্দুল হাকিম ১৯৭১ সালের গেরিলা যুদ্ধ চলাকালে বিভিন্ন স্থানে পাক হানাদার বাহিনীর সাথে যুদ্ধ চলাকালে তার স্মৃতিচারনমূলক বক্তব্যে বলেন ডিসেম্বর মাসের প্রথম দিকে সকালে আদমদীঘি স্টেশান শক্রমুক্ত করতে আমার নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধা হাফিজার, আফছার আলী, বাবু, অবির, মোজাম্মেলসহ প্রায় ২০জনের একদল মুক্তিযোদ্ধা সুদিন রেলওয়ে ব্রিজের হামলা করা হয়। এসময় তারা টিকতে না পেরে ব্রিজের ব্যংকারে অবস্থিত পাক বাহিনী ও কিছু রাজাকার আত্মসমর্পনের জন্য হাত উঁচু করে জয় বাংলা ¯েøাগান দিয়ে বের হন। ঠিক সেই মুহুর্তে সান্তাহার ও বগুড়া থেকে পাক বাহিনী দুইটি ট্রেন যোগে ওই ব্রিজের নিকট থামিয়ে ঝড়ের মতো মুক্তিযোদ্ধাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়তে থাকে। মুক্তিযোদ্ধারাও পাল্টা গুলি বিনিময় করলেও তাদের ভারি অস্ত্রের কাছে মুক্তিযোদ্ধারাকৌশলগত কারনে পিছু হটে। এসময় পাক বাহিনীর ছোঁড়া গুলিতে কাশিমালা গ্রামের বাবু নামের মুক্তিযোদ্ধা নিহত ও অপর মুক্তিতযোদ্ধা অবির ও মোজাম্মেলসহ কয়েকজন গুলিবিদ্ধে আহত হয়।
তিনি আবেগ জড়িত কন্ঠে বলেন সেদিন যুদ্ধে এলএমজি চালক আফছার আলী ও হাফিজার রহমান পাক সেনাদের ফাঁদে পড়লে আমি ডিফেন্স ফায়ার দিয়ে তাদের মুক্ত করি। মুক্তিযোদ্ধা বাবুর শহীদ হওয়ার বর্ননা দিতে গিয়ে তিনি কেঁদে ফেলেন। তিনি গতকাল রবিবার সকাল ৯টায় আদমদীঘি উপজেলা সদরে অবস্থিত মুক্তিযোদ্ধা টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজে অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীদের মাঝে মুক্তিযুদ্ধে এই গল্প শোনান। এসময় সেই স্থানে যুদ্ধকরা বীর মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক হাফিজার রহমান, প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।
এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়
Leave a Reply