বুধবার, ২২ মার্চ ২০২৩, ০৬:৩৭ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
টঙ্গীতে জমি আত্মসাৎ এর জন্য নিজের মাথায় আঘাত করে মিথ্যা মামলা সাজালেন ছোট ভাইসহ তিনজনের বিরুদ্ধে বাঞ্ছারামপুরকে ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত ঘোষনা করার লক্ষে ইউএনও এর প্রেস ব্রিফিং মিরপুরে ছিনতাইকারী চক্রের ৫ সদস্য গ্রেফতার : দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার চালের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করলে ব্যবস্থা: খাদ্যমন্ত্রী চেম্বার আদালতেও রাষ্ট্রপতি নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে রিট খারিজ ইলিয়াস-বাবুলের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদনের নতুন দিন ধার্য টাঙ্গাইল-৩ আসন আওয়ামীলীগের গৃহবিবাদের সুযোগ নিতে চায় বিএনপি হজ পালনে থাকছে না বয়সসীমা, শর্ত তুলে নিলো সৌদি আরব কুষ্টিয়ায় পরিবারের সবাইকে রুমে আটকে দুর্ধর্ষ ডাকাতি, ১৫ লাখ টাকার মালামাল লুট কোস্ট গার্ড পশ্চিম জোন কর্তৃক শরণখোলায় বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান

আন্দোলনে বন্ধ রাজশাহী রেশম কারখানা, শ্রমিকদের মানবেতর জীবন যাপন

Reporter Name
  • Update Time : মঙ্গলবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
  • ২০ Time View

 

 

মাসুদ রানা রাব্বানী, রাজশাহী :

 

গত ৬ মাস থেকে রাজশাহী রেশম কারখানার শ্রমিকরা বেতন না পেয়ে অত্যান্ত মানবেতর জীযন-যাপন করছেন শ্রমিকরা। দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন উর্ধ্বগতিতে সংসার খরচ চালাতে হিমশিম, পরিবারের সদস্যদের অসুখ-বিসুখের ফলে ওষুধ কিনতে না পারা, ছেলে মেয়েদের স্কুল কলেজে ভর্তি করাতে না পারাসহ নানান সমস্যায় জর্জরিত হয়ে বাধ্য হয়ে বকেয়া বেতনের দ্রুত পরিশোধের দাবিতে কর্মবিরতি পালন করছে শ্রমিকরা।

গত ২২ ফেব্রুয়ারী থেকে রাজশাহী রেশম কারখানার প্রধান ফটকের সামনে নারী-পুরুষ শ্রমিকরা কর্মবিরতি পালন করলেও এখনো টনক নড়েনি কর্তৃপক্ষের।

শ্রমিকরা বলেন, আমাদের বেতন দেওয়ার মনোভাব এখনো দেখিনি। কারখানা কর্তৃপক্ষের কেউই আমাদের সাথে কথা বলেনি। বেতন দেওয়ার কোন আশ্বাস না পেলে আগামীতে কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারী দেন শ্রমিকরা।
ছয় মাসের বকেয়া বেতন পরিশোধ না করা হলে তারা কাজে ফিরবেন না বলে জানিয়েছেন শ্রমিকরা। ফলে অচল হয়ে পড়েছে কারখানাটি।

মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারী) সকাল থেকে আবারও আন্দোলন কাজ শুরু করে কারখানার শ্রমিকরা।
এই সময় শ্রমিকরা জানান, আমাদের পিঠ দেওয়ালে ঠেকে গেছে। দৈনিক মজুরী ৩০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা করবে বলে তারা আশ্বাস দিয়েছিলো। তবে সেটাও করেনি বরং আমাদের গত ৬ মাসের পুরো বেতন আটকিয়ে দিয়েছে। ফলে আমাদের সংসার চলছে না। অর্ধহারে অনাহারে দিন চলছে।

শ্রমিকরা বলেন, এক সপ্তাহ থেকে আন্দোলন করছি। এখন পর্যন্ত কারখানা কর্তৃপক্ষ কথা বলতে আসেনি। আমাদের সংসার আর চলছে না। আমরা দ্রুত এই বেতন পরিশোধের দাবি জানাচ্ছি।

নারী শ্রমিক লুতফা জানান, আমাদের হাজিরা খাতায় হাজিরা করতে দেওয়া হয়নি। সেই খাতাও কেড়ে নিয়েছেন তারা। আমরা কাজ বন্ধ করতে চাইনা। কাজের জন্যই আমরা এখানে এসেছি। আমার মেয়ে অসুস্থ হয়ে মেডিকেলে আছে। তারপরও মেয়েকে ফেলে বাধ্য হয়ে আজও এখানে এসেছি। আমাদের সাথে কেউ এসে কথা বলুক এবং দ্রুত বেতনটি পরিশোধ করুক।
শ্রমিকদের আরও অভিযোগ, আমরা শুনেছি আমাদের বেতন এসে বসে আছে তবে কি কারণে ছাড় দেওয়া হচ্ছে না তা আমরা জানিনা।

আন্দোলনের বিষয়ে রাজশাহী রেশম সম্প্রসারণ কার্যালয়ের আঞ্চলিক উপ-পরিচালক (ডিডি) ও কারখানা ইনচার্জ কাজী মাসুদ রেজার কার্যালয়ে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি।

এর আগে লোকসানের কারণ দেখিয়ে ২০০২ সালে তৎকালীন সরকার এই রেশম কারখানা বন্ধ করে দেয়। তখন এই কারখানার ঋণের বোঝা ছিল ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা। বন্ধ করে দেওয়ার সময় এই কারখানায় ৩০০ জন শ্রমিক কাজ করতেন।

 

 

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়