আল আমিন তালুকদার :
চাকচিক্য আর আধুনিক সভ্যতায় গড়ে উঠে রাজধানী উন্নয়ন কতৃপক্ষের উত্তরার অভ্যন্তরে খিজির খালের অবস্থা যেন চল্লিশ মন দুধে এক ফোটা ছাগলের চেনা, উপরে ফিটফাট ভিতরে ফাকা, আব্দুল্লাহপুর-আশুলিয়া রোড়ের সুইচগেট হইতে উত্তরা ১০নং সেক্টর হয়ে উত্তরা ১২ নং সেক্টর দিয়ে চলে গেছে খিজির খাল, এর শেষ ছিল মিরপুর পর্যন্ত। উৎপত্তি স্থল তুরাগ নদী, কোন এক সময় নৌকা চলতো এখন আবর্জনা স্তুপে বদ্ধ পানি দুষিত হয়ে বিষাক্ত রক্ত-পুজের মতো দুর্গন্ধে রোগ ছড়াচ্ছে এই ঐতিহাসিক খিজির খাল, জোয়ার-ভাটার পানি না আসার কারনে মশার অভয় অরন্য এই খাল ভয়াবহ রুপ ধারন করেছে। প্রায় ১-২ কিলো মিটার এই খাল এখন উত্তরার বিষফোড়া হয়ে দাড়িয়েছে ওয়াসা, রাজউক সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তর পড়েছে কাঠের চশমা তাদের বানিজ্য একটাই দুই পাশে অবৈধ স্থাপনা বসিয়ে তাদের কাছ থেকে টাকা-পয়সা হাতিয়ে নেওয়া। খালের নভ্যতা ফিরিয়ে আনার কোন পদক্ষেপ নাই।
এই বিষয় নিয়ে ১১নং সেক্টরের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং এ্যাডভাজার উত্তরা কমিউনিটি পুলিশের জেনারেল সেক্রেটারী মোঃ হাসানুজ্জামান আকন্দ (স্বপন) এর সাথে কথা হলে তিনি জানান এই খিজির খালের অবস্থা খুবই বিশ্রি । আমরা ১০,১১,১২ নং সেক্টরের সববাস রত সকলে মশার যন্ত্রনায় অতিষ্ঠ । এই খালের বিষাক্ত পানির দুর্গন্ধে ছড়ালো রোগ জীবানুর কারনে বিভিন্ন রোগে সবাই আক্রান্ত হয়ে পড়েছে। এই খালটি খনন হলে ময়লা-আর্বজনা পরিষ্কার হলে উত্তরার সৌর্ন্দয্য বৃদ্ধি পাবে । বিগত দিনে আমি এবং ১০ নং সেক্টরের সাবেক সেক্রেটারী হাজী আব্দুল আলী সহ আরোও অনেক গন্যমান্য ব্যক্তি বর্গ সংশ্লিষ্ট দপ্তর সহ এই খালের সমস্যা নিয়ে অনেকের সাথে আক্ষেপ করেও কোন প্রকার সাহায্য-সহযোগীতা পাই নাই । তবে বেশ ‘কয়েকবার বিভিন্ন দপ্তর এই করবো সেই করবো করে । সরকারের টাকা আতœসাধ করেছে বলে অভিযোগ।
এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়
Leave a Reply