হাসনাত রাব্বু, কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি :
কুষ্টিয়া দৌলতপুর উপজেলার দৌলতখালি গ্রামে ইউপি সদস্য কাজল হোসেন (৪৫) হত্যার পরিকল্পনকারী মূল আসামি র্যাব ১২ এর হাতে গ্রেপ্তার।
তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দেশিও অস্ত্রের আঘাতে প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুতর আহত কাজল ১৬ মার্চ ২০২৩ চিকিৎসাধীন অবস্থায় কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে মৃত্যু বরণ করেন। আসামির দেওয়া তথ্য মতে, এক মাস আগে বিয়ে বাড়িতে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে কাজলের ভাতিজার সঙ্গে প্রতিবেশী মাবুদ হোসেনের ছেলে ও তার চাচাতো ভাই এর সাথে কথা কাটাকাটির হয়।
এ ঘটনার কারনে গত ১৫ মার্চ ২০২৩ তারিখ আনুমানিক বিকাল ০৪ টার দিকে মাবুদ হোসেনের ছেলে ও তার চাচাতো ভাই কলেজ থেকে ফেরার পথে নিহত কাজলসহ আরোও লোকজন নিয়ে তাদেরকে মারার উদ্দেশ্যে রড দিয়ে আঘাত করে ও হাতাহাতি, মারামারি সৃষ্টি হয়।
এ ঘটনার ঐদিন সন্ধ্যা ০৬:২০ মিনিটের দিকে বিষয়টি নিয়ে নিহত কাজল ও তার ভাতিজাকে সাথে নিয়ে আসামি মারুদ এর বাড়ির সামনে বিভিন্ন ধরনে গালিগালাজ ও মারধরের হুমকি দিতে আসে বলে আসামী জানায়। যার ফলে কাজল ও মারুদের সাথে কথা কাটাকাটির শুরু হয় এবং একপর্যায়ে তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে পিঠে ও ঘাড়ে গুরুতর জখম করা হয়। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয় কাজল ব্যাপারটি মিমাংশা করতে গিয়েছিল।
উক্ত হত্যাকান্ডের প্রেক্ষিতে নিহতের (কাজল হোসেন) এর ভাতিজা শামীম হোসেন বাদী হয়ে ১৫ মার্চ ২০২৩ ইং তারিখ দৌলতপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন, যার মামলা নাম্বার- ৩২, তারিখ-১৫/০৩/২০২৩, ধারা-১৪৩/৩২৩/৩২৪/৩২৬/ ৩০৭/৫০৬(২)/১১৪/৩০২ পেনাল কোড। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রকাশ্যে সন্ধ্যা বেলায় সংঘটিত হত্যাকান্ডটি বিভিন্ন জাতীয় সংবাদ মাধ্যমে দেশব্যাপী প্রকাশিত হয়। মামলার ফলশ্রুতিতে, র্যাব আসামীদের গ্রেফতারের গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রাখে।
সিপিসি-১, কুষ্টিয়া ক্যাম্প, র্যাব-১২এর আভিযানিক দল ঢাকা শহরে পলাতক আসামিদের গ্রেফতারে একাধিক অভিযান পরিচালনা করে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে মামলার প্রধান আসামিদ্বয় ঢাকা শহরে আত্মগোপন করে আছে বলে জানা যায়।
গত ০৩ এপ্রিল ২০২৩ তারিখ রাতে ০৭:৩০ ঘটিকায় র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখার সহযোগিতায় ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনার ঢাকা শহরের সায়েদাবাদ ও কল্যাণপুর এলাকা হতে উক্ত হত্যা মামলার এজাহার নামীয় ১নং আসামী আব্দুল মাবুদ (৩৫) এবং ২নং এজাহার নামীয় আসামী মতলেব (৪২), উভয় পিতা-মৃত লোকমান হোসেন সরদার, নুকা সরদার, উভয় সাং-দৌলতখালি সরদারপাড়া, থানা-দৌলতপুর, জেলা-কুষ্টিয়া’কে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে কাজল হোসেন হত্যাকান্ডে তাদের সক্রিয় অংশগ্রহনের কথা অকপটে স্বীকার করেছে। স্থানীয় জনগণ অনেকেই গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে সরাসরি হত্যাকান্ডে অংশগ্রহন করতে দেখেছে বলে তারা জানান ।
এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়
Leave a Reply