মো: রাজন ইসলাম রাজু :
কথাটি কোন এক লেখক বা প্রাবন্ধিকের কল্পচিত্র হলে ও বর্তমানে সেটা উত্তরখান ও দক্ষিনখান এলাকাবাসীর ক্ষেত্রে শতভাগ প্রতিফলিত হয়েছে। লোকে বলে কারো আষাঢ় মাস আবার কারো সর্বনাশ। ঠিক সেই কথার উল্টোটা ঘটে গেল উত্তররখান ও দক্ষিণখান বাসীর কপালে। ভাদ্রের বৃষ্টি কৃষি খেতে সার হিসাবে পরিগনিত হলেও উত্তর ও দক্ষিনখান বাসীর জন্য সর্বনাশ।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সারাদেশে যেমন উন্নয়নের জোয়ার বইছে তেমনি উত্তর ও দক্ষিণখানের মানুষের ঘরবাড়ী, রাস্তাঘাট, স্কুল কলেজ, মসজিদ মন্দির, দোকানপাট সব নোংরা ময়লাযুক্ত পানির জোয়ারে ভেসে যাচ্ছে ।
এই দুই এলাকার দুটি থানার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা খুব কষ্ট করে তারা তাদের ডিউটি পালন করতেছেন।
নিম্ন বিত্তের খেঁটে খাওয়া মানুষ গুলো কর্মহীন হয়ে পড়েছে। এই সব এলাকায় চলাচল করলে বুঝা যায় দেশ যেন চল্লিশ বছর পিছনে রয়েছে।
এই দুই এলাকার রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে যাওয়ার কারণে অফিস আদালতের কর্মকর্তা-কর্মচারী, স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রী ও নানা শ্রেনীর পেশার মানুষ যার যার কর্মস্থলে যেতে পারছেনা।
নোংরা নর্দমার পানি গুলো বসতবাড়িতে ডুকে পড়ার কারণে ডেঙ্গু, ম্যালেরীয়া ও কলেরা সহ নানা ধরনের রোগ ব্যাধি ছড়াচ্ছে।
এসএসসি পরিক্ষার্থী ছাত্র-ছাত্রীরা পানিতে ভিজে পরীক্ষা কেন্দ্র ঠিক সময় মত পৌঁছাতে পারছে না। এক কথায় এই দুই এলাকার মানুষ দূর্বিসহ জীবন অতিবাহিত করছে।
বর্তমান সরকারের অগণিত উন্নয়নের সফলতা কি উত্তরখান এবং দক্ষিণখানের জনগনের কাছে ম্লান হয়ে যাবে? প্রশ্নটা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়গন ও এই এলাকার মাননীয় সংসদ সদস্যের কাছে।
এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়
Leave a Reply