মামুন :
১৪ বছরের আয়-ব্যয়ের হিসাব নেই, অভিযোগ রয়েছে দুদক ও ওয়াক্ফ প্রশাসনে, ২০১টি মাজারের মধ্যে এটি ১৮তম। মহানবীর ইসলাম প্রচারের উদ্দেশ্যে ইয়েমেন থেকে বঙ্গজমিন (বাংলার জমিন) এ আগমন করেন ৩৬০ জন পুণ্য আত্মার আউলিয়া কেরাম। পরে তাঁরা তাঁদের কাফেলাকে সেই সময় ছড়িয়ে দেন পুরো বঙ্গতে। এদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন সুলতানুল আউলিয়া হযরত শাহ্ সুলতান শাহ্ কবির (রহঃ)।
তিনি প্রাচীন ঢাকার গ্রাম্য জনপথ বর্তমান উত্তরখানে অবস্থান নেন। তাঁর ভাগিনা শাহ্ সুলতান শাহ্ আলী বোগদাদী (রহঃ), ছোট ভাই শাহ্ সুলতান হযরত গোলাপ শাহ্ (রহঃ) এবং সহযাত্রী হযরত ইয়েমেনী শাহ্ (রহঃ), গাজীপুরের টঙ্গী বাজারে শায়িত হাজী শাহ্ (রহঃ) রাজধানী সহ পুরো গাজীপুরে ইসলাম প্রচারে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। ইসলামে হক বাতিলের যুদ্ধ, দ্বন্দ্ব, মতভেদ আদি পিতা বাবা আদম (আঃ) হতে শুরু হয়ে এখনো বলবৎ রয়েছে। ভবিষ্যতেও থাকবে। এটা চিরন্তন।
কিন্তু আমাদের মিথ্যা থেকে সত্যকে ও বাতিল হতে হককে আলাদা করতে হবে। সত্য (সিরাতুল মুস্তাকিন) পথের পথিক হয়ে আল্লাহর রজ্জুকে (রশিকে) শক্ত ভাবে ধরে এগুতে হবে। এই পথেই আল্লাহর দয়া মিলবে। আল্লাহর রজ্জু বলতে রাসূলে পাক ও আহেলে বাইয়্যেত তথা রাসূলের বংশধর, আওলাদে পাকদের বুঝানো হয়েছে। তাঁদেরই অনুসারী গাউস, কুতুব, আবদাল, আউতাদ, আরেফ, নুকাবা এবং আউলিয়া কেরাম। এই শুদ্ধ আত্মার পুরুষরাই সত্য, সহজ, সরল, সঠিক পথের দিশারী।
বাংলাদেশে ওলি, গাউস, আউলিয়াদের আত্মদান, আত্মত্যাগে মহানবীর ইসলামের প্রসার ঘটেছে। এই ব্যাপারে মহান প্রভু আল্লাহ্ পাক পবিত্র আল কোরআনের সূরা-আরাফ, আয়াত- ১৮১ তে বিশদ বর্ণনা দিয়েছেন। হযরত শাহ্ কবির (রহঃ) এঁর উত্তরসূরি হযরত শাহ্ পাগল (রহঃ) বিশ্ব নবীর পথকে অনুসরণ করে ইসলামের মহান আদর্শ মানব সভ্যতায় ছড়িয়ে দিতে কাজ করে যান।
শাহ্ কবির (রহঃ) এঁর মাজারের পাশেই তাঁর সমাধি। উত্তরখানের মাজারকে ঘিঁরে বহুকাল ধরে সাধু, বাউল, সন্ন্যাসীদের মিলন ঘটে, কখনো কখনো এই মিলন মহা মিলনেও রূপ নেয়। গত কয়েক বছর আগে ঐতিহাসিক এই মাজারে বিলুপ্ত হওয়া উত্তরখান ইউপি’র চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিনের ছত্রছায়ায় আল্লাহর অলি বন্ধুদের শানমান বিনষ্টকারী মওদুদী ও ওহাবী পন্থী উগ্রবাদের উত্থান ঘটে। এই নজিরবিহীন উত্থানে ভগ্নতা আসে উত্তরখান সহ রাজধানীর জনপথে প্রসিদ্ধ খ্যাতি লাভ করা শাহ্ কবির (রহঃ) এঁর মাজার এলাকায়! মাজারের অর্থ তছরুপ, প্রাচীন গাছ কর্তন মানতের অর্থ ও অর্ঘ্যরে দান হরিলুট সহ অমান্যকর ধূর্ত অপকর্মের জন্য কামাল উদ্দিন গংদের প্রতি চরম ঘৃণা জন্ম নেয় উত্তরখান সহ অত্র অঞ্চলের মানুষের মনে।
বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে ঢাকা জেলা প্রশাসক, উত্তরা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার ও উত্তরখান থানার অফিসার ইনচার্জ হেলাল উদ্দিন সাহসী ভূমিকা ও বলিষ্ঠ প্রজ্ঞা নিয়ে মহৎ কল্যাণকর এই খাত থেকে দুষ্ট চক্রকে বিতাড়িত করেন! তাদের বিরুদ্ধে তদন্তও শুরু হয়। প্রাথমিক তদন্তে কামাল গংদের অর্থ তছরুপ, লুটপাটের সত্যতা পাওয়া যায়।
পরে ঢাকা জেলা প্রশাসক মাজারের সম্মান রক্ষার্থে প্রশাসক (এডমিন)কে পরিচালনার দায়িত্ব দেন। বর্তমানে মাজারে প্রাণ চাঞ্চল্য ফিরে এসেছে। আল্লাহর অলি বন্ধুদের সহোবতে থাকা, দেশের সিআইপি পদ মর্যাদার বরেণ্য ব্যবসায়ী ও উত্তরখানের বিএইচ খান সহ একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সামাজিক প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার প্রোমি অ্যাগ্রো ফুডসের চেয়ারম্যান মোঃ এনামুল হাসান খান (শহীদ) মাজারের সার্বিক উন্নয়নে নিঃস্বার্থ ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি মাজারে আগত সাধু, পাগল, বাউলদের আবারো মাজারমুখী করতে একাধিক প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেছেন, তা বাস্তবায়ন করতে বর্তমানে নিরলস উদ্যমী তাঁর ইচ্ছা ব্রততা।
উত্তরখান শাহ্ কবির (রহঃ) মাজারের লুটপাটের প্রকাশিত সংবাদে : মামলার জুজুর ভয়ে থেমে যাবে না সাংবাদিকের কলম। হযরত শাহ্ কবির (রহঃ) (কাবির খান্দেশ) ভারতবর্ষের উত্রেখান প্রদেশ হইতে ১৬০১ সালে এখানে আগমন করেন এবং এই উত্তরখানে এসে বসতি ও ধর্ম প্রচার শুরু করেন। যেহেতু উনি তৎকালীন ভারতবর্ষের উত্রেরখান হইতে এখানে এসেছেন সেই কারনে অত্র এলাকার নামকরণ করা হয় উত্তরখান।
এই ধর্মভীরু আধ্যাত্মিক সাধক হযরত শাহ কবির (রহ:) (কাবির খান্দেশ) ওনার মৃত্যুর পর এই স্থানে ভক্তরা তার মাজার শরীফ তৈরি করেন। ২০১টি তফসিল ভুক্ত ও সরকারী গেজেট অনুযায়ী সারা বাংলাদেশের দরগাহ্ বা মাজারসমূহের মধ্যে হযরত শাহ্ কবির (রহ:) (কাবির খান্দেশ) মাজারের অবস্থান ১৮ নং। ওয়াক্ফ প্রশাসনের তালিকা ভুক্তি করার জন্য হযরত শাহ্ কবির (রহ:) (কাবির খান্দেশ) ওনারি পরবর্তী বংশধর বিগত ০৪/০৬/১৯৩৫ ইং সালে মোঃ আব্দুল রবিক খান কলিকাতা ওয়াক্ফ এস্টেটে এ দরখাস্ত করেন এবং উক্ত দরখাস্তে স্পষ্ট উল্লেখ আছে যে পরবর্তীতে এই বংশের যিনি উপযুক্ত ও এই ওয়াক্ফ এস্টেট পরিচালনায় পারদর্শি ও দক্ষ তিনি এই ওয়াক্ফ এস্টেটটি মোতাওয়াল্লী (সেবায়েত) হিসাবে থাকিবেন।
এই দারখাস্তের পরিপ্রেক্ষিতেই এই ওয়াকফ এস্টেটি ওয়াক্ফ অন্তর্ভূক্ত হয় যাহার ইসি নং: ৬৫৯। এই ওয়াক্ফ এস্টেটি শুরু হইতে ২০০৪ সাল পর্যন্ত ওনারি পরবর্তী বংশধরেরা পর্যায়ক্রমে মোতাওয়াল্লী (সেবায়েত) ছিলেন। যার প্রমাণ সি, এস, এস, এ, আর, এস, সরকারী রেকর্ডেও এর প্রমাণ বিদ্যমান। কিন্তু এরই মধ্যে ১৯৯৪ ইং সাল হইতে কিছু কু-চক্রী স্বার্থ লোভী ও এই এস্টেট এর সম্পদ গ্রাস এর হীন মানুষিকতা ও লোভের বসবর্তী হয়ে অত্র এলাকারী কিছু সংখ্যক এলাকাবাসী একটি ষড়যন্ত্রতে মেতে ওঠে। যাহার ফলশ্রুতিতে তৎকালীন মোতাওয়াল্লী মোঃ রাজ্জাক খান এর বিরুদ্ধে ওয়াক্ফ এসেস্ট এ ওয়াক্ফ প্রশাসক বরারব একটি মোতায়াল্লী বাতিল চাহিয়া দরখাস্ত করেন।
পরবর্তীতে ২২/০৩/১৯৯৪ ইং তারিখে উক্ত দরখাস্তের আদেশ ও শুনানীর ও দিন ধার্য থাকে। ওয়াক্ফ প্রশাসক একটি আদেশ করেন যে, মোতাওয়াল্লী মোঃ রাজ্জাক খান এর সকল কার্যক্রম স্থগিত করেন এবং জেলা প্রশাসক ঢাকা কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আদেশ দেন। পরবর্তী মামলাটি ০৫/০২/১৯৯৫ ইং তারিখে মোতাওয়াল্লী অপসারণের মামলাটি চূড়ান্ত নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত জেলা প্রশাসক ঢাকা কে প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার জন্য অনুমোদন প্রদান করেন এবং ১৬/০৩/১৯৯৭ ইং তারিখের এক আদেশে মোঃ রাজ্জাক খানকে মোতাওয়াল্লী বহাল রেখে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ঢাকাকে সভাপতি, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে সহ-সভাপতি ও ইউপি মেম্বার সহ ৯ সদস্য বিশিষ্ট একটি উপদেষ্টা কমিটি গঠনের ওয়াক্ফ এস্টেটটি পরিচালনার জন্য ০৪/০১/২০০৪ ইং পর্যন্ত অনুমতি দেন, এমন কি ০৪/১/২০০৪ ইং তারিখে ৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটিকে অনুমোদন দেয় ওয়াক্ফ প্রশাসন যার মেয়াদকাল ০৩/০১/২০০৬ ইং পর্যন্ত ছিল এবং ঐ সময় থেকেই (০৪/০১/২০০৪ ইং) কু-চক্রী মহল যেমন-
১। মোঃ কামাল উদ্দিন, ২। মোঃ ফরিদ মাষ্টার ৩। মোঃ গফুর মুন্সি, ৪। মোঃ বশির উদ্দিন, ৫। উক্ত মসজিদের ইমাম ও মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মোঃ লেহাজ উদ্দিন ৬। মোঃ আমজাদ হোসেন ৭। মোঃ খোকন উদ্দিন ৮। মোঃ জামান ও নাম অজানা আরও অনেকে উক্ত ওয়াক্ফ এস্টেট পরিচালনা শুরু করেন এবং উক্ত ওয়াক্ফ এস্টেট দোকানপাট অফিস আদালত তৈরি করে এর ভাড়া বাবদ টাকা, মাজার মসজিদ ও মাদ্রাসার দান বাক্স এর টাকা পুকুরের মাছ বিক্রয় এর টাকা ও বিভিন্ন সাদকাহ্ এর গরু-ছাগল ও মুরগি বিক্রয় এর সকল প্রকার টাকা আত্মসাৎ ও লুটপাট করে। এখানে দেখা যায় যে, তাদের কমিটির মেয়াদকাল ০৪/০১/২০০৪ ইং তারিখ হইতে ০৩/০১/২০০৬ ইং তারিখ পর্যন্ত ছিল। কিন্তু কোন এক অদৃশ্য কু-শক্তি ও ওয়াক্ফ এস্টেটের এর অবহেলার কারণে ০৩/০১/২০০৬ ইং তারিখ পর হইতে ১৫/০৬/২০০৮ ইং পর্যন্ত অনুমোদিত কোন কমিটি না থাকা স্বার্থেও উপরোক্ত ব্যক্তিরাই উক্ত ওয়াক্ফ এস্টেটটি পরিচালনা করেন ও লুটপাট করেন। এমন কি ঐ সময় তারা ওয়াকফ এস্টেট এর অনুমতি না নিয়ে ওয়াসার পানির পাম্প ইউনিয়ন পরিষদের অফিস ও বিভিন্ন দোকান পাট উত্তোলন করেন, যা ওয়াকফ্ আইন এর বর্হিভূত। পরবর্তীতে ১৫/০৬/২০০৮ ইং তারিখ হইতে ১০/০৬/২০১০ ইং তারিখ পর্যন্ত ওয়াক্ফ প্রশাসক পুনরায় একটি কমিটি অনুমোদন করেন ঐ একই ব্যক্তিদের সমন্বয়ে।
১৪/০৬/২০১০ ইং তারিখে কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার ০১ দিন আগে ১৩/০৬/২০১০ ইং তারিখ মোঃ কামাল উদ্দিন গং কমিটির মেয়াদকাল নবায়নের জন্য ওয়াকফ প্রশাসক এর বরাবর একটি আবেদন করেন।
কিন্তু এই সময়কালের মধ্যে উপরােক্ত কমিটির প্রকৃত লোভ লালসা লুটপাট ও আত্মসাৎ ওয়াক্ফ প্রশাসক এর নিকট প্রকাশ হয়। যাহার পরিপ্রেক্ষিতে ওয়াক্ফ প্রশাসক প্রশাসন নিয়োগ এর জন্য সুপারিশ করেন।
২০/০৬/২০১১ ইং তারিখে ওয়াক্ফ প্রশাসকের কার্যালয় থেকে জনাব মোঃ নুরুল আলম সহকারী প্রশাসক (ঢাকা বিভাগ) কে হযরত শাহ্ কবির (রহ:) (কাবির খান্দেশ) ওয়াক্ফ এস্টেট এর মোতাওয়াল্লী করেন এবং পূর্বের মেয়াদ উত্তীর্ণ অফিসিয়াল মোতাওয়াল্লী মোঃ কামাল উদ্দিন গং কে আগামী ০৭ দিনের মধ্যে ওয়াকফ এস্টেটের এর সকল কার্যক্রম স্থগিত রেখে দায়িত্ব হস্তান্তর করার জন্য আদেশ প্রদান করেন। কিন্তু উক্ত মোঃ কামাল উদ্দিন গং নব-নিযুক্ত কমিটিকে দায়িত্ব বুঝিয়ে না দিয়ে উক্ত আদেশ এর বিরুদ্ধে মহামান্য হাই কোর্ট এ একটি রিট মামলা করেন, যাহার নং ৭৮৫৩/২০১১।
এখানে লক্ষ্যনীয় বিষয় যে, মোঃ কামাল উদ্দিন গং এর কু-লোভ লালসা অর্থ আত্মসাৎ ও সম্পদ দখলের হীন মানসিকতা যদি নাই থাকত তাহলে উনি নব-নিযুক্ত কমিটিকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতেন। কিন্তু উনি তা না করে ওনার অর্থ (টাকা) আত্মসাৎ লুটপাট করার হীন মানসিকতা থাকার কারণে উনি হাই কোর্টে রিট আপিল করেন। পরবর্তীতে ০২/১২/২০১৫ ইং তারিখ পর্যন্ত উক্ত রিট আপিলটি মহামান্য হাই কোর্ট খারিজ করে দেন। তারপরে এখানে দেখা যায় কোন এক অদৃশ্য কু-শক্তির কারণে ২৯/১১/২০১৮ ইং তারিখ পর্যন্ত মোঃ কামাল উদ্দিন গং অবৈধভাবে উক্ত ওয়াক্ফ এসস্টেটি পরিচালনা করেন যার আইনগত কোন বৈধতা ছিলনা। পরবর্তীতে ওয়াক্ফ প্রশাসক ০৭ সদস্য বিশিষ্ট্য নবকমিটি অনুমোদন করেন ২৯/১১/২০১৮ ইং তারিখ। কিন্তু বিতর্কিত ঐ মোঃ কামাল উদ্দিন পূনরায় নব-অনুমোদিত কমিটিতেও কোন এক অদৃশ্য কু-শক্তির কারণে ওনার সদস্য পদটি বহাল রাখেন।
তবে এখানে লক্ষ্যনীয় বিষয় যে, নব নিযুক্ত কমিটির সম্মানিত সভাপতি এডিসি শিক্ষা মহোদয় দায়িত্ব পাওয়ার পর এই ওয়াক্ফ এস্টেটটি আংশিক সঠিক নিয়মে পরিচালিত হচ্ছে এবং এর কারণে বিগত ০২ বছরে উক্ত ওয়াকফ এস্টেট এর সকল প্রকার ব্যয়ভার যা অনুমানিক ৪০ থেকে ৪৫ লক্ষ টাকা করার পরও বর্তমান ব্যাংক একাউন্ট এ ৩০ থেকে ৩৫ লক্ষ টাকা জমা আছে।
তবে এই প্রদর্শিত আয়টিও সঠিক না, বাস্তবতায় আয় এর থেকে ৪ গুন বেশি যা মাসিক ৪.৫ লক্ষ থেকে ৫ লক্ষ টাকা। তাহলে মোঃ কামাল উদ্দিন গং এর পরিচালনার সময় কাল ১৫ বছরের এর টাকার হিসাব কোথায় ? ওয়াক্ফ এস্টেটটির বিগত সময়ে উল্লেখযোগ্য কোন উন্নয়ন হয়নি বলে ০৩ মাস যাবৎ এলাকাবাসীর সমন্বয়ে আর্থিক অনুদানে প্রমি গ্রুপের চেয়ারম্যান, মোঃ এনামুল হাসান খান (সিআইপি) ও এলাকাবাসী উক্ত ওয়াকফ এস্টেটির কিছু উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড করতে আগ্রহ প্রকাশ করেন ও আংশিক করেন, এমতাবস্থায় মোঃ কামাল উদ্দিন গং এর কু-কর্ম অর্থ লুটপাট ও আত্মসাৎ এর ইতিহাস প্রকাশ পাওয়ার ভয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে বাঁধা সৃষ্টি করেন।
এমনকি শেষ পর্যন্ত মসজিদ এর ভিতরে ৩৭০ বছরের বিবি সাহেবার কবরটি বিগত ১৪/১১/২০২০ ইং তারিখ বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চল হইতে কিছু সংখ্যক উঠতি বয়সের মাদ্রাসার শিক্ষক ও ছাত্র জড়ো করে কবরটি ভেঙ্গে ফেলেন এবং ধর্মীয়ভাবে একটি বিবাদ ও বিভ্রান্তী সৃষ্টি করেন। প্রমি গ্রুপের চেয়ারম্যান মোঃ এনামুল হাসান খান (সিআইপি) মসজিদ ভেঙ্গে মাজার নির্মাণ করছেন এবং তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুক ও ইউটিউবে তা প্রচার করেন। যা নাকি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও রাষ্ট্র বিরোধী।
প্রকৃত অর্থে এই ওয়াক্ফ এস্টেটের মসজিদ এর বাহিরেই বিবি সাহেবার কবরটি ছিলো। মোঃ কামাল উদ্দিন গং মসজিদটি সম্প্রসারণ করার সময় যেই নকশাটি করেন ঐ নকশার মধ্যে বিবি সাহেবার কবরটি মসজিদ এর মধ্যে নিয়ে যান এবং মাজার লিখে রাখেন।
এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়
Leave a Reply