ষ্টাফ রিপোর্টার :
চোরে শুনেনা ধর্মের কাহিনী। একটির পর একটি অপরাধ করেও উত্তরখানের সাবেক চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে এখনো দাপিয়ে বেড়াচ্ছে নির্লজ্জ বেহায়া বৃদ্ধ হায়ানার মতো অন্যের জমি ও টাকা আত্মসাৎ ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রে। তার এবং তার সাঙ্গপাঙ্গদের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে উত্তরখান থানা সহ বিভিন্ন থানা ও আদালতে একাধিক মামলা আছে বলে জানা যায়।
বাপ দাদার পৈত্রিক সম্পত্তির কোন অভাব নেই সাবেক চেয়ারম্যান কামালের। তারপরেও উত্তরখানের মাজার খেকো এই কামাল রাজধানীর উত্তরার পশ্চিম থানার মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে মোঃ শফিকুল ইসলামের টাকা ও জমি আত্মসাৎ করে উল্টো ভয়ভীতি প্রদর্শন করে আসছে। উত্তরখান থানাধীন উত্তরখান মৌজার সিএস- ১০৬০, এসএ-১৬৭২, আরএস- ১৫৩৯, সিটি জরিপ- ৫৭৩২ ও নামজারী- ১৫৭৪ নং খতিয়ানে তফসিল বর্ণিত নালিশী সম্পত্তি আত্মসাৎ করার নিমিত্তে এবং টাকা আত্মসাৎ করার লক্ষ্যে সাবেক চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন’র বিরুদ্ধে ৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/৫০৬/৩৪ পেনাল কোড- ১৮৬০ পরস্পর যোগসাজশে প্রতারণামূলক ভাবে জালজালিয়াতী করেছে মর্মে শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।
যাহার নং- ৩১৮৮, তাং- ১৮/০৩/২০২১ ইং। মামলায় ১ নং আসামী মোঃ কামাল উদ্দিন (৬৩), পিতা- মৃত রুকন উদ্দিন, স্থায়ী: সাং- বাতুড়িয়া, পোস্ট- কাঁচকুড়া, উত্তরখান, ঢাকা। সেক্টর- ০৩ (বর্তমানে বাড়ী নং- ১১, রোড নং- ০৯, উত্তরা পশ্চিম থানা, উত্তরা মডেল টাউন), ২ নং আসামী গুরুদাস মন্ডল (৭০), পিতা- মৃত রাম দয়াল মন্ডল, স্থায়ী: সাং- মৈনারটেক, পোস্ট- উজামপুর, থানা- উত্তরখান, ঢাকা, ৩ নং আসামী হরিদাস মন্ডল (৬৫), পিতা- মৃত রাম দয়াল মন্ডল, স্থায়ী: সাং- মৈনারটেক, পোস্ট- উজামপুর, থানা- উত্তরখান, ঢাকা, ৪ নং আসামী ওয়াহিদুজ্জামান কামাল (৪৮), পিতা- আব্দুর রহমান খান, স্থায়ী: সাং- ৪৯/কে, প্রমি সোসাইটি, মৈনারটেক, থানা- উত্তরখান, ঢাকা, ৫ নং আসামী শিল্পী আক্তার, পিতা- সিরাজুল হক মৃধা, সাং- ৪৯/কে, প্রমি সোসাইটি, মৈনারটেক, থানা- উত্তরখান, ঢাকা। এই সংঘবদ্ধ চক্রের মূলহোতা উত্তরখানের সাবেক চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন বিভিন্ন ভাবে নিরিহ মানুষের জমি ও টাকা আত্মসাৎ করে বিগত দিনে বিশাল অবৈধ সম্রাজ্য গড়ে তুলেছে।
এ বিষয় নিয়ে অভিযোগকারী মোঃ শফিকুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি জানান, কামাল একটি দূরন্ধর ব্যক্তি। তার সুন্দর লেবাস এবং সুন্দর সুন্দর কথার আড়ালে লুকিয়ে আছে প্রতারণার ধুম্রোজাল। যে তার জালে আটকা পড়বে তার জীবনের সর্বস্ব শেষ হয়ে যাবে। এ ধরনের লোকের অবৈধ সম্পত্তি দূর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কর্তৃক তদন্ত করে তার অবৈধ সম্রাজ্য গুড়িয়ে দিয়ে তাকে আইনের আওতায় আনলে গোল্ডেন মনির কিংবা সাহেদের মতো বেরিয়ে আসবে থলের বিড়াল।
উত্তরখানের সাবেক চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন নিজেকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের সৈনিক দাবী করলেও তার নীতি নৈতিকতা এবং চরিত্রের মধ্যে কোন লক্ষণই মিল পাওয়া যায় না।
এ বিষয় নিয়ে সাবেক চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিনের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তাকে পাওয়া যায়নি।
মূলত নিজেদের স্বার্থ সিদ্ধির জন্য মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের তোকমা গায়ে লাগিয়ে জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধুর শ্লোগান দিয়ে একেরপর এক অপরাধ করে প্রতারণার শতভাগ পূর্ণ করে নিজেদের অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়াই তাদের মূল লক্ষ্য। চোখ রাখুন- দৈনিক আমার প্রাণের বাংলাদেশ পত্রিকায়।
আগামী পর্বে মোঃ কামাল উদ্দিনের সম্পদের ইতিবৃত্ত নিয়ে থাকবে চাঞ্চল্যকর তথ্য। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলায় প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নের সোপানে তাঁর কুসুম বাগানে কোন জাল জালিয়াতকারী অন্যের হক প্রতারণা করে আত্মসাৎকারীদের স্থান নেই। আগে সোনার বাংলা পরে অন্যসব। সাধু সাবধান।
এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়
Leave a Reply