রবিউল আলম রাজু :
মানুষ মানুষের জন্য, এই শ্লোগানকে সামনে রেখে উত্তরা ট্রাফিক ব্যবস্থাকে নতুন করে সাজানো হয়েছে। প্রচন্ড ধূলাবালি আবার প্রখর রোদ্র, কিংবা ঝড় বৃষ্টি সব কিছুর মধ্যেও ট্রাফিক সিস্টেম দাঁড়িয়ে থাকে মানুষের সেবায়। নিরাপদে নির্বিঘ্নে দ্রুত আপনার গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবেন সেই আঙ্গিকে কাজ করে যাচ্ছেন বাংলাদেশ ট্রাফিক পুলিশ।
রাজধানী উত্তরার যানজট বর্তমান সময়ে আগের চেয়ে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে। এখানে রয়েছেন ৩ জন বিচক্ষণ ট্রাফিক ইন্সপেক্টর। টিআই পান্নু, টিআই কাজী মিজান, টিআই মেহেদী হাসান, তারা নিজ নিজ অবস্থানে থেকে তাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করছেন অক্ষরে অক্ষরে। সরকারী দায়িত্ব পালনে বদ্ধপরিকর এই ৩ জন ট্রাফিক যোদ্ধা প্রতিনিয়ত রাস্তায় অবস্থান করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নিয়ন্ত্রণ করছেন ট্রাফিক সিস্টেম। গাড়ী চালক ও পথচারীদের মধ্যে রয়েছে আইন না মানার প্রবণতা। আইনের আওতায় আনতে গেলেই অনেক সময় নানা ধরনের হুমকি ধমকির মুখোমুখি হতে হয় ট্রাফিক পুলিশকে। তারপরেও সবকিছু নিরবে ধৈর্যের সাথে মোকাবেলা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন এই অফিসাররা।
রাজধানীর উত্তরা সড়কের দায়িত্ব পালনরত ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের সাথে কথা বললে তারা দৈনিক আমার প্রাণের বাংলাদেশকে জানান, পুলিশ কনস্টেবল ও সার্জেন্টরা দিনে ৮-১০ ঘন্টা দায়িত্ব পালন করেন। ট্রাফিক ইন্সপেক্টর অব পুলিশ ও আরো উপরের কর্মকর্তারা ১৫-১৮ ঘন্টা কাজ করে। ট্রাফিক পুলিশের তেমন কোন ছুটি নেই বললেই চলে। টিআই মেহেদী হাসান জানান, আব্দুল্লাহপুর এলাকাটি অতীব গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থান। উত্তরা সিএনজি পাম্পের পশ্চিম পাশের সড়কে দক্ষিণপ্রান্তের দোকান গুলো অতি বিচক্ষণতার সাথে দোকানিদের নিয়ে সমঝোতা করে প্রধান রাস্তার ছয় ফিট দক্ষিণে সরিয়ে ফেলে।
যানজট নিরসনে আব্দুল্লাহপুরে এখন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে টিআই মেহেদী প্রতিবেদককে জানান। সরেজমিনে দেখা যায়, আব্দুল্লাহপুর মাছ বাজার সহ দু’পাশে আগের মতো আর যানজট নেই বললেই চলে। এখানে বিচক্ষণতার সাথে দায়িত্ব পালন করতে হয়। টিআই কাজী মিজান দৈনিক আমার প্রাণের বাংলাদেশকে বলেন, যখন থেকে বাংলাদেশ পুলিশে যোগ দিয়েছি তখন থেকেই আমার উপর অর্পিত সকল দায়িত্ব আমি যথাযথভাবে পালন করে আসছি।
টিআই পান্নু প্রাণের বাংলাদেশকে জানান, আমি উত্তরায় যোগ দিয়ে আমার নিয়ন্ত্রণাধীন সকলকে ডেকে তাদের উপর দেয়া দায়িত্ব পালনের বিষয়ে নজরদারী বাড়িয়েছি। সেই সাথে প্রধান সড়কে যেন কোন প্রকার ব্যাটারি চালিত গাড়ী চলতে না পারে, ফুটপাত দখল করে যেন হকাররা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে না পারে সেগুলো কন্ট্রোল করেছি।
টিআই কাজী মিজান ও টিআই মেহেদী একজন সাংবাদিকবান্ধব ব্যক্তিত্ব, টিআই কাজী মিজানের রয়েছে লেখালেখির সুন্দর অভ্যাস। একজন সংস্কৃতি মনা পুলিশ অফিসার টিআই কাজী মিজান উত্তরায় আসার পর থেকে উত্তরার ট্রাফিক সিস্টেমে এসেছে নতুন ধারা। এই ৩ জন ট্রাফিক ইন্সপেক্টর পুলিশকে নিয়ে উর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও বিভিন্ন সময় বিভিন্ন স্থানে প্রশংসা করছেন বলে জানা যায়। অভিজ্ঞ ৩ জন ট্রাফিক ইন্সপেক্টর ইতিমধ্যে মিশন সহ বিভিন্ন পর্যায়ে রাষ্ট্রকে ব্র্যান্ডিং করার প্রত্যয়ে অংশ গ্রহণ করেছেন অনেক অনুষ্ঠানে।
ইতিমধ্যে আজমপুরে নতুন এসে যোগ দিয়েছেন আরেকজন বিচক্ষণ ট্রাফিক ইন্সপেক্টর টিআই মাসুম হোসেন। যিনি দক্ষতার সাথে আজমপুর হাইওয়ের রোডে ব্যাটারি চালিত রিক্সা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছেন। দেশের এই উন্নয়নের অগ্রধারায় তাদের মতো দেশপ্রেমিক প্রয়োজন সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যাশায়। তারা হতে পারে বাংলাদেশ পুলিশের আদর্শ। তাদের ব্যবহার কথাবার্তা প্রমাণ করে তারা এগিয়ে যাবে অনেক দূর। মানুষের সেবার মধ্য দিয়ে খুজে নিবে সৃষ্টিকর্তার রহমতের পথকে।
এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়
Leave a Reply