(নির্দিষ্ট কাস্টমারের মধ্যে সীমাবদ্ধতা, অনলাইনে যোগাযোগ, খদ্দেরের তালিকায় রয়েছে কাস্টমস কর্মকর্তা সহ অসাধু অনেকেই। তন্নির রয়েছে কিশোর গ্যাংয়ের সাথে আতাত। সবকিছু ম্যানেজ করে মক্ষিরাণী তন্নির অসামাজিক কার্যকলাপের মেলা এখন জমজমাট।)
রবিউল আলম রাজু :
রাজধানীর উত্তরা আবাসিক এলাকা এখন অসামাজিক কার্যকলাপের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। দামী ফ্ল্যাট এবং দামী কিছু ফার্ণিচারের সাথে কিছু অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত সুন্দরী মেয়ে জুটাতে পারলেই জমে উঠে মক্ষিরাণীদের ব্যবসা। এমন একজন মক্ষিরাণীর সন্ধান মেলেছে সম্প্রতি। নাম তন্নি, দেখতে সুন্দরী, বাড়ী- বরিশাল। উত্তরার ১০ নং সেক্টরের রোড- ১০/এ, এর একটি আলীশান বাড়ীর লিফটের ৩ তলায় ভাড়া থাকেন তিনি।
তার আন্ডারে রয়েছে ১০-১২টি সুন্দরী মেয়ে। অনলাইনে সবসময় ব্যস্ত থাকে তন্নি। তার কাজ খদ্দের খুজে বের করা। কথাবার্তা বনে গেলে হয় দাম দর, এবার খদ্দেরকে রিসিভ করে নিয়ে আসা হয় তন্নির ফ্ল্যাটে। এভাবেই অনলাইনে তন্নির ব্যবসা এখন জমজমাট। মানুষের চোখে ধুলো দেওয়ার প্রয়াসে তন্নির বাসায় রাখে একজন পুরুষ এবং একজন মহিলাকে। বাহির থেকে মনে হবে কোন একটি পরিবার বসবাস করছে শান্তিপূর্ণ ভাবে। কিন্তু মাকাল ফলের মধ্যে যেমন দুর্গন্ধ থাকে, তেমনি তাদের এই পাপের ব্যবসা থেকে সমাজে ছড়াচ্ছে দুর্গতি এবং অপরাধ করার প্রবণতা। তন্নির সাথে উত্তরার বেশ কিছু কিশোর গ্যাং সদস্যের সাথে রয়েছে আতাত।
এসব সদস্যরা সবসময় উত্তরার বিভিন্ন অলিগলিতে মটর বাইক নিয়ে ঘুরে বেড়ায়। তাদের তত্ত্বাবধানে তন্নির মতো অনেক মেয়েরাই বিভিন্ন অসামাজিক ব্যবসা চালায়। তন্নির কাছে যে সকল দেহ ব্যবসায়ী মেয়েরা আসে তারা আবার উত্তরার রয়েল ব্লু, সিঙ্গাপুর, এক্সপ্রেস মল সহ বিভিন্ন তিন তারা পাঁচ তারা হোটেলে যাতায়াত করে বলে জানা যায়।
তন্নির রয়েছে নির্দিষ্ট কিছু খদ্দের। তাদের মধ্যে অন্যতম বিভিন্ন ব্যাংককের কর্মকর্তা সহ কাস্টমস ও বিভিন্ন ব্যবসায়ীরাও রয়েছে। তন্নির বাসায় চলে মাদক খাওয়ার ধুম। কিছু ইয়াবা কিনে তন্নির বাসায় চলে আসলে সাথে মিলবে সুন্দরী নারী। এভাবে আবাসিক এলাকার পরিবেশ নষ্ট করে সমাজের স্কুল কলেজ পড়ুয়া ছেলে মেয়েদের চরিত্রকে হনন করছে এই অসামাজিক কার্যকলাপ চালানো কু-চক্রী মহলরা। অনেক ক্ষেত্রে সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মীরা দিনের পর দিন ঘুরে এসব সমাজের অসঙ্গতির তথ্য সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে জানালেও তারা অজানা রহস্যের কারণে বিষয়টিকে আমলে না নিয়ে বিভিন্ন তালবাহনা করে এড়িয়ে যায়। তাদের কার্যক্রমে বুঝা যায় “ডাল মে কুচ কালা হে”।
এই সংবাদ প্রকাশের পর উত্তরা জোনের বিভিন্ন থানায় কর্তব্যরত চৌকস অফিসার ইনচার্জরা যথাযথ ব্যবস্থা নিবে এমনটাই ধারণা এলাকার সচেতন নাগরিকদের। এ বিষয় নিয়ে হিউম্যান রাইটস অর্গানাইজেশনের পরিচালক জিয়াউল হকের সাথে কথা হলে তিনি জানান, বিষয়টি ধর্মীয় এবং সামাজিক ভাবে একটি বড় ব্যাধি। আমাদের উচিৎ একটি সুন্দর সমাজ গড়ার লক্ষ্যে অসামাজিক সকল কার্যক্রমকে বন্ধ করে একটি সামাজিক বলয় গড়ে তোলা। তাহলেই আমাদের আগামী প্রজন্ম একটি উন্নত জাতিতে পরিণত হবে।
এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়
Leave a Reply