উত্তরা প্রতিনিধিঃ
২০০৮ সালের দিকে রাজধানীর বারিধারায় ‘এভিনিউ’ নামে একটি রেস্টুরেন্টে ওয়েটার হিসেবে কাজ শুরু করেন মো. মুক্তার হোসেন। এরপর গুলশানে ‘লেক ভিউ’ রেস্টুরেন্টেও ওয়েটার হিসেবে ছিলেন। সেই মুক্তার এখন শতকোটি টাকার মালিক। তার যুক্তরাষ্ট্রে গাড়ি-বাড়ি আছে। সেখানে বসবাস করেন তার স্ত্রী ও সন্তানরা।
রাজধানীর উত্তরায় মুক্তার হোসেনের একটি বার রয়েছে। এই বারে প্রতিদিন সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের যাতায়াত ছিল। তাদের মধ্যে রয়েছেন সরকারি উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা, আইনজীবী, চিকিৎসকসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ।
বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) রাতে উত্তরার-১৩ নম্বর সেক্টরের গরীবে নেওয়াজ রোডে অবস্থিত একটি ভবনে অভিযান চালায় গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। ওই ভবনেই ‘কিংফিশার রেস্টুরেন্ট’ নাম দিয়ে বার চালাতেন মুক্তার। সেখান থেকে প্রায় ৫০০ বোতল মদ ও ছয় হাজার ক্যান বিয়ার জব্দ করে ডিবি পুলিশ। এসময় বার ম্যানেজারসহ ৩৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়। তবে মুক্তার হোসেন পলাতক। তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
গ্রেফতাররা হলেন আবু সালেহ, মো. মোহন, মুকুল, মো. সিব্বির আহম্মেদ, রাসেল, আবুল কাসেম মিন্টু, নাহিদ দারিয়া, শান্ত ইসলাম, আলিম উদ্দিন, জালাল উদ্দিন, সাজ্জাদ হোসেন, রহমত আলী, খালেক সাইফুল্লাহ, ইমরান, মো. সাহান শেখ, মো. মোফাজ্জেল, ওবায়েদ মজুমদার, ইবাদত খান, রাইস উদ্দিন, রায়হান, মো. রুবলে, রিফাত, ফয়সাল, শরিফুল ইসলাম, রাসেল, জাহিদ হাসান, রওশন জামিল রাসেল, হুমায়ুন কবির, তোফাজ্জেল হোসনে, মো. রিয়াদ হোসেন, আল আমনি, কাইয়ুম, নয়ন দাস, শাওন দাস ও মাহমুদুল হাসান।
ডিবি পুলিশ জানায়, ওই বারে প্রতিদিন যাতায়াত ছিল বিভিন্ন মানুষের। তাদের মধ্যে সরকারি উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা, আইনজীবী, চিকিৎসকসহ বিভিন্ন পেশার নারী-পুরুষ রয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার আশ্রয়-প্রশ্রয়ে বেপরোয়া হয়ে উঠেন কিংফিশার বারের মালিক মুক্তার হোসেন। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অসাধু একাধিক কর্মকর্তার যোগসাজশে অবৈধভাবে মাদক ব্যবসা চালাতের তিনি। অধিদপ্তরের একজন পরিদর্শকের নিয়মিত যাতায়াত ছিল ওই বারে। সেখান থেকে তিনি মাসোহারা আদায় করতেন।
এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়
Leave a Reply