মনির হোসেন (শিশির) :
রাজধানীতে পরিকল্পিতভাবে ‘ঝগড়া’ বাধিয়ে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা ও মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনিয়ে নিচ্ছিল একটি চক্র। গত মঙ্গলবার রাতে উত্তরায় এভাবে এক প্রাইভেট কার আরোহীকে ছিনতাইয়ের সময় আল রাজু (২৫) ও সুমন খান (২৯) নামের এই চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
উত্তরা পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন বলেন, ইচ্ছাকৃতভাবে ঝগড়া লাগিয়ে ছিনতাই করায় স্থানীয় ব্যক্তিদের কাছে রাজু ও সুমন ‘গ্যাঞ্জাম পার্টি’র সদস্য নামে পরিচিত। একই অভিযোগে তাঁদের বিরুদ্ধে আগেও দুটি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় তাঁরা গ্রেপ্তার হয়েছেন, জেলও খেটেছেন।
গ্রেপ্তার আল রাজু ঢাকার তুরাগ থানার ভাবনারটেক এলাকার নুর আলমের ছেলে। তিনি একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। সুমন খান পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার রুস্তম আলী খানের ছেলে।
পুলিশ কর্মকর্তারা বলেন, ‘গ্যাঞ্জাম পার্টির’ প্রধান রাজুর ৮-১০ জনের একটি দল আছে। তাঁরা রাতে উত্তরাসহ ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় আড্ডা দেন। কোনো পথচারীকে একা পেলে তাঁর সঙ্গে একজন পরিকল্পিতভাবে ধাক্কা খেয়ে ‘এই আমারে ধাক্কা দিলি ক্যান’ বলে ঝগড়া লাগিয়ে দেন। এ সময় বাকিরাও আশপাশ থেকে এসে তাঁকে মারধর শুরু করেন। এরপর পথচারীর কাছে থাকা টাকা ও মুঠোফোন ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যান। কোনো গাড়িচালককে একা দেখলেও এ দলের কেউ একজন ইচ্ছাকৃতভাবে গাড়ির সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে ‘আমাকে গাড়ি দিয়ে ধাক্কা দিলি ক্যান’ বলে ঝগড়া শুরু করেন। এরপর মারধর করে সবকিছু কেড়ে নেন।
রাজু ও সুমন গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে একই কায়দায় লুৎফুর রহমান নামে স্থানীয় এক ব্যক্তির সঙ্গে ঝগড়া শুরু করেন। লুৎফুর রহমান উত্তরা পশ্চিম থানার ১৩ নম্বর সেক্টরের ১৩ নম্বর সড়ক এলাকায় তাঁর প্রাইভেট কার চালিয়ে আসছিলেন। হঠাৎ তাঁর গাড়ির সামনে এসে রাজু বলে ওঠেন, ‘আমাকে গাড়ি দিয়ে ধাক্কা দিলি ক্যান।’ এ সময় তাঁরা লুৎফুরকে মারধর করে টাকা, মুঠোফোন ছিনিয়ে নিতে চাইলে তিনি চিৎকার শুরু করেন। এ সময় পুলিশের টহল দল তাঁর চিৎকার শুনে ঘটনাস্থলে গিয়ে দুজনকে আটক করে।
দ্রুত বিচার আইনে গ্রেপ্তার আল রাজু ও সুমন খানকে বুধবার আদালতে হাজির করা হয়েছিল। আদালত তাঁদের কারাগারে পাঠিয়েছেন বলে উত্তরা পশ্চিম থানা–পুলিশ জানিয়েছে।
এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়
Leave a Reply