মোঃ ইলিয়াছ মোল্লা:

রাজধানীর উত্তরায় একটি বাসা থেকে এক শিশু গৃহকর্মীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ, তাকে হত্যা করা হয়েছে অভিযোগ করে ওই বাড়ির সামনে বিক্ষোভ করেছেন নিহত শিশু গৃহকর্মীর পরিবারের সদস্য সহ এলাকাবাসী। মঙ্গলবার বিকেলে উত্তরা ৩ নম্বর সেক্টরের ১৮ নম্বরের সড়কের ৫ নম্বর ভবনের ছয়তলার বাসা থেকে বৈশাখী নামের ১২ বছরের শিশু গৃহকর্মীর লাশ উদ্ধার করা হয় ।

একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা রিফাত ফেরদৌসের বাসায় কাজ করত মেয়েটি। ওই বাসায় এক শিশু সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে থাকেন রিফাত। পুলিশের উত্তরা জোনের সহকারী কমিশনার কামরুজ্জামান বলেন, রিফাত পুলিশকে খবর দিলে বাসায় গিয়ে একটি কক্ষের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে জানালায় ঝুলন্ত অবস্থায় বৈশাখীর লাশ পাওয়া যায়। রিফাত ও তার স্ত্রীর বরাত দিয়ে তিনি বলেন, “ছুটির দিন হওয়ায় তারা দেরি করে ঘুম থেকে উঠে দেখে পাশের ঘরের দরজা ভেতর থেকে লাগানো এবং গৃহপরিচারিকা নেই। অনেক ডাকাডাকির পরেও দরজা না খোলায় পুলিশকে খবর দেন গৃহকর্তা। বৈশাখীর মৃত্যুর খবর ছডিয়ে পড়লে তার আত্মীয়-স্বজন ছুটে আসে। মেয়েটিকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ তোলে তারা।

এলাকার লোকজনও তাদের সঙ্গে যোগ দেয়, বাসার সামনে বিভিন্ন পরিত্যক্ত জিনিসপত্র জড়ো করে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে ওই ভবনের নিচতলা থেকে সাইকেল ও আসবাব নিয়ে আগুনে দেওয়া হয়। আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা গেলেও সেখানে তাদের ঢুকতে দেননি বিক্ষোভকারীরা। মহিবুল নামে একজন বিক্ষোভকারী বলেন, বৈশাখী দুই মাস আগে এই বাসায় কাজ নেয়। কয়েক দিন আগে তার দাদী মারা গেলে সে গ্রামের বাড়ি নওগাঁ যায় । সোমবার ঢাকা ফিরলে তার মা তাকে ওই বাসায় পৌঁছে দেন। “সুস্থ মেয়ে বাসায় পৌঁছে দেওয়ার পর আজ গলায় ফাঁস দিয়ে মৃত্যুর খবর কেউ বিশ্বাস করতে পারছে না।

বিক্ষোভের এক পর্যায়ে ওই বাড়ির দিকে ইট-পাটকেল ছোড়েন বিক্ষুব্ধরা। এক পর্যায়ে ধাওয়া দিয়ে তাদের সরিয়ে দেয় পুলিশ। সন্ধ্যা ৬টার দিকে বাসা থেকে মেয়েটির লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নেওয়া হয়। পুলিশ কর্মকর্তা কামরুজ্জামান আরও বলেন, বৈশাখীর স্বজনদের অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।