রবিউল আলম রাজু :
উত্তরা পশ্চিম থানা স্থায়ী জায়গায় স্থানান্তরিত করার দাবিতে মানববন্ধন ও র্যালী অনুষ্ঠিত হয়েছে। উত্তরা সোনারগাঁ জনপদ রোডে এই কর্মসূচী পালিত হয়। জানা যায়- ২০১২ সালে উত্তরা পশ্চিম থানার কার্যক্রম শুরু হয় ১১ নং সেক্টরে। এটি আবাসিক হওয়ায় অসংখ্য এক্সিডেন্ট করা গাড়ি এর চারপাশে জমতে থাকে এবং সেক্টরবাসীর চলাচলে সমস্যার সৃষ্টি হয়। তাই সেক্টরে বসবাসরত বাসিন্দারা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে এই মানববন্ধনের মধ্য দিয়ে সোনারগাঁও জনপথের খালি প্লট গুলোতে স্থায়ী জমিতে থানা স্থানান্তরের দাবী জানায়।
খোজ নিয়ে জানা যায়, ২০১২ সালে উত্তরা পশ্চিম থানার কার্যক্রম শুরু হয় ১১ নং সেক্টরের একটি আবাসিক বিল্ডিংএ। সেক্টরের আবাসিক বিল্ডিং এ থানা স্থাপিত হওয়ায় অসংখ্য এক্সিডেন্ট করা গাড়ি এর চারপাশে জমতে থাকে এবং সেক্টর বাসীর চলাচলে সমস্যা বাড়তে থাকে। সোনারগাঁও জনপথ এভিনিউ রোডে বাণিজ্যিক প্লটে থানার জন্য জমি বরাদ্দ দেয়ার জন্য অনেক দিন ধরেই আবেদন করে আসছে এলাকাবাসী। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন- উত্তরার ডিসি অফিসও আবাসিক বাড়িতে চলছে বহুদিন ধরে। সোনারগাঁও জনপথে পুলিশের জন্য একটি স্থায়ী জায়গা বরাদ্দ দেওয়া হলে সেখানে একই সাথে থানা ও ডিসি অফিসের সুন্দর কার্য্যালয় নির্মাণ করা সম্ভব। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে উন্নয়ন কার্য্যক্রম চলছে।
উত্তরার মেগাপ্রকল্পগুলি সমাপ্ত হলে এখানে জনসমাগম অনেক বাড়বে। পুলিশ জনগণের বন্ধু। পুলিশের কাছ থেকে যথাযথ সেবা পেতে গেলে পুলিশের জন্য ভালো অফিস এবং সেবা দেওয়ার পরিবেশ তৈরী করে দিতে হবে। সোনারগাঁও জনপথের প্লটগুলি যদি রাজউক অন্য কোথাও বরাদ্দ দিয়ে দেয়। তাহলে উত্তরা পশ্চিম থানার অন্তর্গত এভিনিউ রোডে আর কোন খালি প্লট পাওয়া যাবে না। এমতাবস্থায় আগামী ২৫ অক্টোবর রাজউকের যে টেন্ডার প্রক্রিয়া আছে সেখান থেকে সোনারগাঁও জনপথের ১৩ নং সেক্টরের ৩১, ৩৩ ও ৩৫ নং বাণিজ্যিক প্লটের টেন্ডার প্রক্রিয়া স্থগিত রেখে সেগুলি বাংলাদেশ পুলিশের নামে বরাদ্দ দেওয়ার জোর দাবি জানাই। তারা আরো বলেন, ইতিমধ্যে উত্তরা ওয়েলফেয়ার সোসাইটির পক্ষ থেকে রাজউক চেয়ারম্যান ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে চিঠি প্রেরণ করা হয়েছে।
পুলিশ হেডকোয়ার্টার থেকেও রাজউক চেয়ারম্যান ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে চিঠি প্রেরণ করা হয়েছে। আমাদের ঢাকা ১৮ আসনের মাননীয় এমপি আলহাজ্ব হাবিব হাসান মহোদয়ও উত্তরা পশ্চিম থানার জন্য স্থায়ী জায়গা বরাদ্দের জন্য রাজউক চেয়ারম্যানকে ডিও লেটার ইস্যু করেছেন। মানববন্ধনে উত্তরার সকল সেক্টর ওয়েলফেয়ার সোসাইটির নেতৃবৃন্দ এবং উত্তরার সর্বস্তরের নাগরিকবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
মানবন্ধনে- বক্তব্য রাখেন উত্তরা ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সিনিয়র সহ-সভাপতি শেখ মামুনুল হক, উত্তরা ১৩নং সেক্টর ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ মুমতাজুল করিম, উত্তরা ১১নং সেক্টর ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সভাপতি আলতাফ হোসেন সরকার, ১০ নং সেক্টর ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক ইনসাফ আলী ওসমানী, ১২নং সেক্টর ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সভাপতি নাসির উদ্দিন, কমিউনিটি পুলিশিং এর সাধারণ সম্পাদক হাসানুজ্জামান আকন্দ স্বপন, গীতাঞ্জলি ললিতকলা একাডেমির পক্ষে মাহবুব আমিন মিঠু, রাইটস ফার্স্টের সভাপতি আলমগীর হোসেন, বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব হারুন অর রশিদ, বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক সহ সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ।
Leave a Reply