এ আর মজিদ শরীফ :
রাজধানীর উত্তরা আব্দুল্লাহপুর মোড়টি অত্যন্ত ব্যস্ততম জায়গা। একদিকে ঢাকা ময়মনসিংহ রোড, অন্যদিকে আশুলিয়া রোড সহ বেশ কয়েকটি প্রধান সড়ক মিলিত হয়েছে এক জায়গায়। মানুষের আনাগোনা এই চলমান স্থানে গড়ে উঠেছে বেশ কিছু খাবারের রেস্টুরেন্ট। এ সকল রেস্টুরেন্টের বিরুদ্ধে দাম বেশি নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে অনেক। চলমান ব্যস্ততম রাজধানীর আব্দুল্লাহপুরের পূর্ব পাশে সরকারি জায়গা দখল করে শফিক মোল্লা নামে একজন ভূমিদস্যু গড়ে তুলেছে হোটেল আল মদিনা।
প্রকৃতপক্ষে শফিক মোল্লা খাবারের হোটেল করলেও তার কর্মচারী ম্যানেজার ওয়েটার সবাই আছে ডাকাতের ভূমিকায়। অন্যান্য খাবারের হোটেল গুলোর একই অবস্থা। বাস স্ট্যান্ড মানুষ আসছে মানুষ যাচ্ছে উড়ছে ধুলাবালি চলছে আল মদিনা রেস্টুরেন্টে পরোটা রুটি বানানোর ধুম। তারই পাশে কাচের সুকেজে সাজিয়ে রেখেছে ভর্তা, ভাজি ,মাছ, মাংস, রাস্তার ধুলা পরে নতুন স্তর হয়েছে খাবারের উপর এরই মাঝে কোন কাস্টমার খাবার খেতে আসলে এটা নাই সেটা নাই বলে তাদের ইচ্ছামতো খাবার খাওয়াইয়া সাধারণ মানুষের কাছ থেকে গলা কাটা দাম রাখে। শফিক মোল্লা অকপটে বলে বেড়ায় আমি কাউকে ভয় পাই না পুলিশকে টাকা দেই কাউকে পাত্তা দেই না। আমি সরকারি জমি দখল করে আব্দুল্লাহপুরের মত স্থানে হোটেল বানিয়ে ব্যবসা করছি আমার ক্ষমতা কতটুকু আন্দাজ করা উচিত।
আব্দুল্লাহপুর ব্যস্ততম এলাকায় ধুলাবালির মধ্যে খাবার বিক্রি করছে হোটেল আল-মদিনা। একই অবস্থা পশ্চিম পাশের বাংলা খাবার হোটেল এবং আকবরস হোটেলের। এখানে আবার কিছুটা আধুনিকতার ছোয়া থাকলেও তারাই নাকি সবচেয়ে খাবারের দাম বেশি রাখে বলে অভিযোগ আছে। প্রত্যেকটি হোটেলের নেই কোন স্বাস্থ্যসম্মত ব্যবস্থা রান্না করে স্যাঁত সাথে ময়লার দাগ পচা বাঁশি দুর্গন্ধ এর মধ্যেই চলছে ব্যবসা, ঠকাচ্ছে প্রতিনিয়ত মানুষকে। নিম্নমানের খাবার দিয়ে চড়া দাম নিচ্ছে এসব হোটেল মালিকরা। হোটেলের ওয়েটার বাবুর্চিদেরকে দেখে মনে হবে গত ১ সপ্তাহে গোসল করে নাই ব্যবহার বিশ্রী।
এ বিষয় নিয়ে আল মদিনা হোটেলে খেতে আসা জনৈক বেলায়েত ও রকি এবং হাবিব সরকার স্বাধীনের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন খাবার খেয়ে আমাদের বমি বমি ভাব হচ্ছে। এসব রেস্টুরেন্টের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে সিলগালা করার সাথে সাথে তাদেরকে শাস্তির ব্যবস্থা করা সময়ের দাবি। এসব হোটেলের মাঝে দু’একটি আবার আবাসিক হোটেলও আছে। জনসম্মুখে এসব হোটেলে চলছে অসামাজিক কার্যকলাপ। এই অবৈধ হোটেল রেস্টুরেন্টের নেপথ্যে রয়েছে কাউন্সিলর সহ অনেক নেতাকর্মীদের সম্পর্ক। সরাসরি কাউন্সিলরের লোক পরিচয় দিয়ে অনেকেই দাপটের সাথে অবৈধ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।
এসব হোটেলের মধ্যে ঢাকা-১৮ আসনের এমপি হাবিব হাসানের ভাইয়ের হোটেলও আছে বলে জানা যায়। তবে তারা সরাসরি হোটেল না চালিয়ে চড়া দামে ভাড়া দিয়েছে বিভিন্ন মানুষকে। নাম না জানাতে ইচ্ছুক একজন প্রাণের বাংলাদেশকে বলেন, হোটেলের ভাড়া এতো বেশি খাবারের দাম বেশি না রেখে উপায় নাই।
এসব বাড়ীর মালিকরা ভাড়ার আইনকেও তোয়াক্কা না করে অধিক লাভের আশায় বেশি টাকা ভাড়া দেওয়ার কারণে এর সম্পূর্ণ চাপটি সাধারণ জনগণের মাথার উপর পড়ছে। এলাকাবাসীর দাবী এদের সবার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া অতীব জরুরী হয়ে পড়েছে।
এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়
Leave a Reply