রবিউল আলম রাজু :
রাজধানীর উত্তরা ১২ নং সেক্টর, রোড- ৫, হাউজ নং- ৩ হতে মক্ষীরানী জুঁই সহ দু’জনকে উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ গ্রেফতার করে। তারা উত্তরা পশ্চিম থানাধীন এলাকায় দীর্ঘ দিন যাবৎ অসামাজিক কার্যকলাপ চালিয়ে আসছে। মক্ষীরানী জুঁইকে চিহ্নিত করার জন্য সংবাদের প্রতিবেদক কৌশলে তাকে টাকার লোভ দেখিয়ে চায়না লোকদের কাছে মেয়ে দিয়ে অনেক টাকা পাওয়া যাবে বিভিন্ন কলাকৌশল অবলম্বন করে তাকে ধরতে সক্ষম হয়।
মক্ষীরানী জুঁই পূর্বে সেক্টর- ১৪, রোড- ১৮, বাড়ী নং- ২৪, এই বাড়ীতে দীর্ঘ দিন ধরে দেহ ব্যবসা চালিয়ে আসছিলো। সেখান থেকেও উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। আইনের ফাঁকফোঁকরে জামিনে বেরিয়ে এসে আবার নতুন ভাবে অসামাজিক কাজে লিপ্ত হয়। এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাস কিশোরগ্যাং লিডার ও চাঁদাবাজদের শেল্টারে থেকে এই অসামাজিক কাজ ও মাদক ব্যবসা করে আসছে। সে বিভিন্ন সুন্দরী তরুণী মেয়েদের আটকে রেখে তাদের দিয়ে জোরপূর্বক অনৈতিক কাজ করাতো বলে অভিযোগ উঠেছে।
এরই জের ধরে উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ তাকে নজরদারীতে রেখে কোথায় অবস্থান করছে এটা নিশ্চিত হয়ে তাকে গত ১১-০৩-২০২৩ ইং আনুমানিক সন্ধ্যা ৭ ঘটিকার সময় সেক্টর- ১২, রোড- ০৫, বাড়ী নং- ০৩, এই বাড়ী থেকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। উপস্থিত সাংবাদিকদের সম্মুখে জবান বন্দি দিয়ে মক্ষীরানী জুঁই বলে, আমি দেহ ব্যবসা করবো, তোদেরকে কি! মক্ষ্মী রানী জুঁইয়ের বাসায় অভিযান কালে একজন কিশোর গ্যাং লিডার ফোন দিয়ে হুমকি প্রদান করে এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে বলে উপস্থিত সাংবাদিকরা জানান। কিছু ষড়যন্ত্রকারীরা শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করছে বলে জানা যায়। তারা প্রতিবেদকের ভয়েজ রেকর্ড করে তা ভাইরাল করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। মক্ষীরানী জুঁইকে বাঁচানোর জন্য ও দেহ ব্যবসা পুনরায় চালু করতে সাংবাদিকদের সাথে দিধা দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে একদল দেহব্যবসায়ী শেল্টারদাতারা।
মক্ষীরানী জুঁইয়ের বাসায় সাংবাদিকরা তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে মক্ষীরানী জুঁইয়ের সহকর্মী রিপন ও অচেনা কয়েকজন হুমকি দেয় এবং তাৎক্ষণিক পুলিশ উপস্থিত হলে পালিয়ে যায় বলে জানা যায়। এ ব্যাপারে উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।
এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়
Leave a Reply