স্টাফ রিপোর্টার :
রাজধানীর উত্তরায় অবস্থিত বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) নিয়ে কৌতুহলের শেষ নেই। এখানে চলে ঘুষ বাণিজ্য, নিয়ম বহির্ভূত কাজ সহ সকল অনিয়মকে নিয়মে পরিণত করতে এখানে কর্মরত সরকারী কর্মকর্তাদের জুড়ি নেই। কিছু দিন পরপর বিভিন্ন গণমাধ্যমে উত্তরা বিআরটিএ নিয়ে তাদের দূর্নীতির ফিরিস্তি সহ দেখা যায় বিভিন্ন সংবাদ।
গত ১৭/১১/২০২২ ইং দুপুর ১.৩০ ঘটিকার সময় উত্তরা বিআরটিএ কর্মকর্তা ইন্ডোরম্যান সাইফুলের বিরুদ্ধে মারামারি ও কিশোর গ্যাং স্টাইলে নিজের আদিপত্য বিস্তারে বিআরটিএ অফিসে নাম্বার প্লেট নিতে আসা মোঃ শরিফ হোসেনকে বেদড়ক মারধরের ভিতর দিয়ে প্রকাশ পেয়েছে এই তথ্য। ইন্ডোরম্যান অফিসার হিসেবে কাজ করেন সাইফুল। মটর বাইকের নাম্বার প্লেট নিতে আসা মোঃ শরিফ হোসেনের দলবল ও সাইফুলের দলবলের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া সহ মারামারির ঘটনা ঘটে। সাইফুল ও শরিফ দু’জনেই আহত হয়েছে বলে জানা যায়। এমনটাই প্রত্যক্ষ দর্শীদের বক্তব্যে উঠে এসেছে অভিযোগ।
ঢাকা উত্তরার বিআরটিএ’র ঘটনাস্থল থেকে জানা যায়, শরিফের মটর বাইকটি সাইফুল চড়াও হয়ে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। এমতাবস্থায় শরিফ ক্ষিপ্ত হয়ে ইন্ডোরম্যান সাইফুলকে মারতে গেলে সাইফুল তার দলবল নিয়ে নাম্বার প্লেট নিতে আসা মোঃ শরিফ হোসেনকে বেদড়ক মারধর করা হয়। তার গায়ের পরিহিত জামা কাপড় ছিড়ে ফেলা হয়। এই বিষয় নিয়ে উপপরিচালক ইঞ্জিনিয়ার কাজী মোঃ মোরসালিন সাহেবের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি কি হয়েছে আমি পুরোপুরি জানিনা।
তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে আরো বলেন, আপনারা তো ঘটনাস্থলে ছিলেন। আপনারা যা দেখেছেন তাই লিখবেন। আমার কিছু বলার নেই। দীর্ঘ প্রায় ৩০ মিনিট ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার পর খবর পেয়ে তুরাগ থানার এসআই একরামুল সহ ঘটনাস্থলে প্রশাসনের একটি টিম আসে। তারা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বিআরটিএ এলাকায় অবস্থানরত বিভিন্ন সেবা নিতে আসা উপস্থিত লোকজনের কাছে জানতে চাইলে তারা জানান, এরকম ঘটনা এখানে প্রায় ঘটে। বিআরটিএ কর্মরত বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা কর্মচারীরা প্রচন্ড রকম খারাপ ব্যবহার করে।
এ বিষয় নিয়ে মুঠোফোনে সাইফুলের সাথে কথা হলে তিনি জানান, আমি মটরবাইক পড়ে থাকতে দেখি। একজনের সহযোগীতায় আমি মটরবাইকটি তুলে রেখে অফিসের ভিতরে চলে যায়। পরবর্তীতে অফিস থেকে বের হলে মটরবাইকের মালিক শরিফ আমার কলার চেপে ধরে এবং গালাগালি দেয় ও গলা চেপে ধরলে আমার শ্বাস বন্ধ হয়ে আসে। এ বিষয় নিয়ে আমাদের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। ঘটনাস্থলে পুলিশ আসলে শরিফ ও তার দলবল পালিয়ে যায়।
এ বিষয় নিয়ে ভুক্তভোগী মটরবাইক শরিফের সাথে কথা হলে তিনি জানান, সাইফুল আমার মটরবাইকের নাম্বার প্লেটের জন্য টাকা দাবী করলে আমি দিতে অপরাগতা প্রকাশ করলে সে ধাক্কা দিয়ে আমার মটরবাইকটি ফেলে দেয় এবং আমাকে অপদস্ত করে। বিষয়টি নিয়ে বাকবিতন্ডা হলে আমার বোনের জামাই সেখান থেকে আমাকে উদ্ধার করে। বিআরটিএ কর্তৃপক্ষ আমাদের এ বিষয়টি নিয়ে বিচার করবে বলে প্রতিশ্রুতি দিলেও এখন পর্যন্ত কোন পদক্ষেপ দেখছিনা।
Leave a Reply