শের ই গুলঃ
মোঃ রাজু আহমেদ ওরফে বিটিভি রাজু’ যে কত বড় বাটপার তা বাংলাদেশ টেলিভিশন কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করে দিয়েছেন। অনুসন্ধানে জানা যায়, এই রাজু সাংবাদিকের পরিচয় দিয়ে উত্তরার বিভিন্ন ব্যবসায়ী এবং রাজনৈতিক জনপ্রতিনিধিদের ভূয়া সাক্ষাৎকার নিয়ে হাতিয়ে নিয়েছে অনেক টাকা। আবার অনেক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ভয় দেখিয়ে সাপ্তাহিক ও মাসিক মাসোয়ারা নিয়ে থাকে বলে জানায় অনেক সাংবাদিক ও ভুক্তভোগীরা।
বাংলাদেশ টেলিভিশনের উপ-মহাপরিচালক (বার্তা) অনুপ কুমার খাস্তগীর তিনি জানিয়েছেন, বিটিভি’র নিউজ কিংবা বার্তা বিভাগে রাজধানীর উত্তরা এলাকায় কেন, দেশের কোথাও মোঃ রাজু আহমেদ নামে কেউ নেই।
মোটর সাইকেলের সামনে বিটিভি সংবাদ লেখা ষ্টীকার লাগিয়ে সর্বত্র দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন তিনি সম্পূর্ণ একজন প্রতারক। মিডিয়া কর্মী হিসেবে অতিশীঘ্রই তাকে ধরে নিকটস্থ থানায় সোপর্দ করা আপনারও দায়িত্ব রয়েছে। এমনটাই জানিয়েছেন বিটিভি’র পক্ষ থেকে বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রথিতযশা সাংবাদিক সাইদুর রহমান রিমনকে।
টেলিভিশনের বার্তা বিভাগের শীর্ষ কর্মকর্তার সাথে দৈনিক আমার প্রাণের বাংলাদেশের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান তিনি। এ ব্যাপারে লিখিত আকারে কোনো ডকুমেন্টস পাওয়া সম্ভব কিনা এর জবাবে উপ-মহাপরিচালক (বার্তা) অনুপ কুমার খাস্তগীর তার দাপ্তরিক মেইল আইডি থেকে লিখিত মেইল পাঠিয়ে দেন সাইদুর রহমান রিমনের আইডিতে। এতে তিনি লিখেছেন- ”ধরে পুলিশে দেন। তারপর আমাকে জানাবেন।
অথচ গত এক দশক ধরে মোটর সাইকেল প্রাইভেটকারের সামনে পিছনে ‘বিটিভি সংবাদ’ ষ্টীকার লাগিয়ে উত্তরার বহুমুখী প্রতারক মোঃ রাজু আহমেদ উত্তরা, এয়ারপোর্ট, গুলশান, বনানী দাপিয়ে বেড়াতো। অহংকারের সঙ্গে পরিচয় দিয়ে বলতো আমি বিটিভি’র রাজু। খোজ নিয়ে জানা যায়, এই ভন্ড রাজুর সাথে একটি সংঘবদ্ধ চক্র রয়েছে। তাদের কাজ মানুষকে তাদের দূর্বলতার সুযোগ নিয়ে ভয় দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নেওয়া।
রাজু এবং তার কথিত স্ত্রী ও তার পরিবার নিয়ে উত্তরা সাংবাদিক ক্লাব নামে একটি ভূঁইফোড় সংগঠন খুলে তার সভাপতির পদটি পর্যন্ত দখল করে নেয়। এ যেন সুন্দরবনের বান্দর রাজা।
বিটিভি’র উর্ধ্বতন কর্মকর্তার অনুরোধ, উত্তরার প্রকৃত সাংবাদিকগণ রাজুকে যেখানে পাবেন সেখান থেকেই ধরে আপনার সংশ্লিষ্ট থানায় সোপর্দ করার জন্য ব্যবস্থা নিবেন। এই প্রতারক শুধু আপনাদের ধোঁকা দিয়েই ক্ষ্যান্ত থাকেনি, সে বরাবরই আপানাদের তথা সাংবাদিক সমাজের সম্মানকে ধূলায় লুটিয়ে ছেড়েছে।
সম্প্রতি ফেসবুক যোগাযোগ মাধ্যমে সাইদুর রহমান রিমনের মতো অনুসন্ধানী সাংবাদিককে নিয়ে রাজুর মতো একজন বিটিভি’র পরিচয় দেওয়া ভূয়া সাংবাদিক বাজে মন্তব্য করার সাহস পায় কোথা থেকে, বিষয়টি খতিয়ে দেখা সময়ের দাবী। এরকম অপরাধ করে এখনও আইনের আওতায় না আসাতে প্রকৃত সাংবাদিকগণ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।
সাইদুর রহমান রিমন মাদক, জঙ্গী সহ শত শত সময়পযোগী সংবাদ প্রকাশ করে জাতীয় পর্যায়ে পুরুস্কার পেয়েছেন। তিনি এ যুগের কিংবদন্তি সাংবাদিক। ক্ষুরধার লেখনি জগতের উজ্জল নক্ষত্র। তাকে নিয়ে বেয়াদবী বরদাস্ত করবে না সাংবাদিক সমাজ।
এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়
Leave a Reply