হাফিজুর রহমান তানজিল :
শিল্প মন্ত্রণালয় হচ্ছে বাংলাদেশ সরকারের একটি মন্ত্রণালয়। এই মন্ত্রণালয়টি সাধারনত শিল্প খাতে উন্নয়ন, প্রসারন, বাংলাদেশের শিল্পখাতের সহনীয় উন্নয়ন সংশ্লিষ্ট নতুন নীতি, কৌশল এসবের দায়িত্বপ্রাপ্ত। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিল্প মন্ত্রণালয়ে সচিব হিসেবে জাকিয়া সুলতানাকে নিযুক্ত করার পর থেকে অদ্যবধি বিভিন্ন রকম উন্নয়নমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করে তিনি সাহসী ভূমিকা রেখেছেন।
অবৈধ কার্যক্রম ও দূর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা দিয়ে শিল্প মন্ত্রণালয়কে তিনি নতুন করে সাজিয়েছেন। নিষ্ঠার সাথে অক্লান্ত পরিশ্রম করে এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন দপ্তরের ব্যবস্থাপনার তৃণমূল থেকে সর্বক্ষেত্রে তার সুচারু নজরদারীর কারণে বর্তমান প্রেক্ষাপটে শিল্প মন্ত্রণালয়ের উন্নয়নে যুগপযোগী ব্যবস্থাপনার সাহসী সিদ্ধান্তের কারণে বাংলাদেশের ইতিহাসে উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় বিভিন্ন শিল্পখাত উন্নয়নের রূপ নিয়ে প্রবেশ করছে দেশ এবং দেশের বাহিরে। শিল্পখাতে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নতুন আঙ্গিকে জাকিয়া সুলতানার সাহসী পদক্ষেপে এই মন্ত্রণালয়ের সবাই নড়েচড়ে বসেছে।
বিশেষ করে কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানী লিমিটেড (কাফকো) তার তত্ত্বাবধানের কারণে অনেকটাই দূর্নীতি মুক্ত হয়ে নতুন আঙ্গিকে রূপ নিয়েছে। জাকিয়া সুলতানা (জন্ম : ১৯৬৮) বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের একজন কর্মকর্তা। তিনি সচিব হিসেবে বাংলাদেশ জ্বালানি ও বিদ্যুৎ গবেষণা কাউন্সিলের চেয়ারম্যান পদে দায়িত্ব¡ পালন করেছেন। বর্তমানে তিনি শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। জাকিয়া ১৯৬৮ সালে নাটোর জেলার সিংড়া উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা খন্দকার আফজাল আলি ও মা আনোয়ারা বেগম। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন ইনস্টিটিউট অব পোস্ট গ্রাজুয়েট মেডিকেল রিসার্চ (আইপিজিএমআর) থেকে শরীরবিদ্যায় ১৯৮৯ সালে বিএসসি এবং ১৯৯১ সালে এমএসসি ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০০৭ সালে পরিবেশ ব্যবস্থাপনায় এমএস ডিগ্রি অর্জন করেন।
এছাড়া দেশ ও বিদেশে তিনি বিভিন্ন প্রশিক্ষণ লাভ করেছেন। জাকিয়া সুলতানা বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের ১০ম ব্যাচের প্রশাসন ক্যাডারের একজন কর্মকর্তা হিসেবে ১৯৯১ সালে সরকারি চাকরিতে যোগ দেন। তিনি মাঠ প্রশাসনে বিভিন্ন পদে কর্মরত ছিলেন।
এছাড়াও তিনি নারী ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়, পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেছেন। জাকিয়া বাংলাদেশ শিল্প কারিগরি সহায়তা কেন্দ্র, বারডেম, পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক এবং সাধারণ বীমা কর্পোরেশন প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য ছিলেন। তিনি সচিব হিসেবে বাংলাদেশ জ্বালানি ও বিদ্যুৎ গবেষণা কাউন্সিলের চেয়ারম্যান পদে দায়িত্ব¡ পালন করেছেন। বর্তমানে তিনি শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে দায়িত্ব¡ পালন করছেন। শিল্প মন্ত্রণালয়ের এতো বদনাম, আমরা কাজ করতে পারছি না, দূর্নীতে ভরা। এরকম উদ্ভট বদনামকে ঘোছাতে তিনি প্রতিটি সেক্টরে সতর্কতার রেড এলার্ট জারি করেছেন। সচিব জাকিয়া সুলতানার ঘোষণা দূর্নীতি ও অবৈধ কার্যক্রম, ঘুষ, সরকার ও দেশের ক্ষতি সাধন হয় এরকম যেকোন বিষয়ে জিরো টলারেন্স ঘোষণা দিয়েছেন ডাইনামিক অফিসার জাকিয়া সুলতানা। এখান থেকে বের হওয়ার জন্য তিনি তার সকল পদক্ষেপ যথাযথ ভাবে পালন করার লক্ষে কঠোর মনোভাব পোষণ করেছেন।
তিনি বলেন, শিল্পখাতে বাংলাদেশ বর্তমানে অনেক ভালো অবস্থানে আছে। আমাদেরকে ধৈর্যের সাথে সবকিছু মোকাবেলা করে শিল্পখাতকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। তাহলে প্রতিটি মানুষ হবে স্বনির্ভর। কেউ থাকবেনা বেকার। প্রকৃত পক্ষে তখনই দেশ হবে উন্নত। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের ডিজিটাল উন্নয়নের রূপকার জননেত্রী শেখ হাসিনা এবং মাননীয় মন্ত্রী জনাব নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন (এমপি) সহ সকল উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ আমাকে সকল প্রকার সহযোগীতা করে শিল্প মন্ত্রণালয়কে দূর্নীতি মুক্ত করতে এবং শিল্পখাতকে প্রসার ঘটানোর লক্ষে সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধিতে কাজ করতে সহযোগীতা করে আসছেন। তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।
এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়
Leave a Reply