ওয়াসিম আকরাম,গাজীপুর:
গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার মাওনা ইউনিয়ন,শ্রীপুর পৌরসভা ও গাজীপুর ইউনিয়নের উপর দিয়ে প্রবাহমান ছিল লবনদহ্ সাগর।পরবর্তিতে এই সাগরটি দুইপাশের মাটি ভরাট হয়ে ছোট্ট খালে পরিণত হয়।লবলদহ্ সাগরটি ভালুকার খিরু নদী থেকে উৎপন্ন হয়ে শ্রীপুর উপজেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে মির্জাপুরে তুরাগ নদীর উপর পতিত হয়েছে । বর্তমানে খালটি পরিবেশ ও পানি দূষণের স্বীকার। মাওনা অংশের পর থেকে প্রায় পুরো লবলদহ খালটিই বর্তমানে দখল ও দূষণের শিকার !সাধারণ জনগন বলেন তারা এই খালে গোসল করা ,মাছ ধরা,ধানের জমিতে সেচের চাহিদা পূরণ সবই হতো খালকে কেন্দ্র করে।কিন্তু বর্তমানে পানি দূষনের ফলে সেচতো দুরের কথা পানিতে ক্যামিকেল মিশাতে মাছ-ব্যাঙ কিছুই থাকেনা খালে।
এই খাল সম্পর্কে পিয়ার আলি বিশ্ব বিদ্যালয় কলেজের প্রভাষক,মোঃ সাজেদুল ইসলাম সুরুজ বলেন,এই খাল আমাদের ঐতিহ্য ছিল।ইদানিং সময়ে এইখাল আস্তে আস্তে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।আশেপাশে বিভিন্ন মেল কারখানা প্রতিষ্ঠিত হওয়ার ফলে,তাদের যে বর্জ গুলো আছে সেই বর্জগুলো এখালে প্রেরণ করে।যার ফলে খালের পানি ও আমাদের আশেপাশের পরিবেশ বিপর্যয়ের সম্মূখীন হচ্ছে।বিভিন্ন সময় ভিন্ন ভিন্ন সংগঠনের ব্যানারে মানববন্ধন করা হয়।
নদী পরিব্রাজক দল শ্রীপুর শাখার সাঈদ চৌধুরী বলেন,আমাদের পক্ষ থেকে আমরা লবলং সাগর রক্ষায় অনেকবার মানব বন্ধন করেছি, এই লবলং সাগরের উপরে একটি থিসিস করার পরিকল্পনা গ্রহন করেছি এবং আগামীতে লবলং সাগরকে প্রাকৃতিক স্বচ্ছ জলের ধারক হিসেবে যাতে পাওয়া যায় সে লক্ষে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষনও করেছি । যদি সব ফ্যাক্টরীগুলো নিয়ম তান্ত্রিক উপায়ে ভূগর্ভস্থ পানি ব্যবহার করে ও ইটিপি সঠিকভাবে চালায় তবে এই লবলং সাগরটি একটি সম্পদ হয়ে উঠতে পারে ।
এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়
Leave a Reply