এস এম ফোরকান মাহমুদ :
চোরে শুনেনা ধর্মের কাহিনী। যখন তিতাস গ্যাস কোম্পানী থেকে ম্যাজিষ্ট্রেট এসে এলাকায় অবৈধ লাইন বিচ্ছিন্ন করে তখন তাদের পিছনে পিছনে ঘুরে ঘুরে এ বাড়ী সেবাড়ী কোথায় কোথায় লাইন কেটেছে তার পরিদর্শন করে নলভোগের ঠিকাদার শাহ আলম।
পরবর্তীতে আবার বাড়ীর মালিকদের সাথে যোগাযোগ করে তাদের বিচ্ছিন্ন লাইন অবৈধ ভাবে সংযোগ দিয়ে এবং বিভিন্ন আশ্বাস দিয়ে হাতিয়ে নেয় অর্থ। সকলকে বড় গলায় বলে আমি শাহ আলম আমি কোন লাইন সংযোগ দিলে তিতাসের বাবার ক্ষমতা নাই লাইন বিচ্ছিন্ন করার। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তিতাসের কিছু অসাধু কর্মকর্তার সাথে রয়েছে শাহ আলমের গোপন আতাত। সরকার প্রতিবছর অবৈধ গ্যাস সংযোগের বিষয়ে শত শত কোটি টাকা ভর্তুকি দিয়ে আসছে। সেই সাথে প্রকৃত বৈধ গ্রাহকরা অবৈধ সংযোগের কারণে পাচ্ছেনা যথার্ত সেবা।
সারাদিন চিন চিন গ্যাসে মানুষের জীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে। অন্যদিকে অবৈধ গ্যাস সংযোগকারীরা সরকারের রাজস্ব ফাঁকির পাশাপাশি গ্যাসের অপচয় করছে প্রতিনিয়ত। উত্তরা তুরাগ থানার নলভোগ এখন অবৈধ গ্যাস লাইনে সয়লাব আর এর মূলহোতা ঠিকাদার শাহ আলম। নলভোগ বসবাস করে আবুল হোসেন মাতব্বর, কামাল, মাসুদ সহ অসংখ্য বিল্ডিং মালিকদের রয়েছে অবৈধ গ্যাস লাইন। এসব গ্যাস লাইন সংযোগ করেছে ঠিকাদার শাহ আলম। প্রত্যেকটি বাড়ীতে ২ থেকে ৪টি রাইজার রয়েছে, প্রতি ফ্ল্যাটে ফ্ল্যাটে অবৈধ গ্যাসের লাইন।
এছাড়া রূপায়ন সিটির পাশে রেস্টুরেন্ট থেকে শুরু করে বিভিন্ন ছোট বড় অনেক প্রতিষ্ঠানে অবৈধ গ্যাস সংযোগ করে শাহ আলম রীতিমতো টাকার কুমির হয়ে গেছে। করেছে ছয়তলা বাড়ী সহ কিনেছে নতুন প্রিমিও গাড়ী সহ নামে বেনামে ফ্ল্যাট জমি ও অঢেল সম্পত্তি। অবৈধ বিত্তবৈভবের মালিক হয়ে শাহ আলম এখন তিতাস ও প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে দেদার্সে চালাচ্ছে তার অবৈধ গ্যাস সংযোগ ব্যবসা। তার এই অবৈধ গ্যাস সংযোগের ব্যবসা পরিচালনায় যেন কোন সমস্যা না হয় সেই বিষয়ে সে গোপনে একটি কিশোরগ্যাং পরিচালনা করে যার নেতৃত্ব দেয় তার ছেলে। কেউ শাহ আলমের কুকৃর্তি নিয়ে মুখ খুললে তার উপর নেমে আসে অত্যাচার।
এলাকার অনেক লোকজন জানায়, তারা এতই ভয়ংকর তাদের ক্ষতি করলে তারা খুন করে লাশ গুম করে ফেলবে। এই বিষয় নিয়ে নলভোগের বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের স্থানীয় একজন প্রবীণ নেতা ও এলাকাবাসীর সাথে সরেজমিনে কথা হয় দৈনিক আমার প্রাণের বাংলাদেশ পত্রিকার প্রতিবেদকের সাথে।
তারা জানান, এক সময় শাহ আলমের কিছু ছিলনা। সে সিদ্ধির টেক পুরান কালিয়ার বাসিন্দা। বর্তমানে সে নলভোগ সহ অনেক এলাকায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ দিয়ে আসছে। প্রতি সংযোগে সে দুই থেকে তিন লক্ষ টাকা নেয়। আমার বিশ্বাস তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিলে এবং তার সম্পদের হিসাব নিলে বেরিয়ে আসবে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
এ বিষয় নিয়ে মুঠোফোনে ঠিকাদার শাহ আলমের সাথে কথা হলে তিনি জানান, আমি একটা কথাই বলবো সব একশত পার্সেন্ট মিথ্যা। একটি চক্র আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা কথা ছড়ায়। তারা ফেসবুকেও আমাকে নিয়ে এসব কথা লিখে। আমি যে সকল স্থানে গ্যাসের লাইন সংযোগ দিয়েছি তাদের গ্যাস বিলের বই আছে। আমাকে নিয়ে উল্টাপাল্টা লেখার কারণে তিতাসের কর্মকর্তারা এগুলো দেখে হাসাহাসি করে। আমি একজন সৎ মানুষ।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের সোপানে কোন অপরাধী রাজস্ব ক্ষতিকারক অবৈধ সংযোগকারীদের স্থান নেই। আগে সোনার বাংলা পরে অন্যসব। সাধু সাবধান।
Leave a Reply