মোঃ আবদুল আউয়াল সরকার :
বাংলাদেশের জাতীয় মাছ ইলিশের জন্য বিখ্যাত চাঁদপুর। চাঁদপুরকে তাই ‘ইলিশের বাড়ি’ বলা হয়। পদ্মা-মেঘনা-ডাকাতিয়ার মিলনস্থলে অবস্থিত চাঁদপুর শহরটি আরো অনেক কারণে প্রসিদ্ধ। তাই একদিনের ছুটিতে ঘুরে আসতে পারেন চাঁদপুর থেকে।
ইলিশের দেশ চাঁদপুর। মেঘনা-ডাকাতিয়া আর ধনাগোদা নদীর জলধারায় বিধৌত দেশের অন্যতম বাণিজ্য বসতির জনপদ এই জেলা। বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নৌবন্দরও গড়ে উঠেছে শহরটিকে ঘিরে।
গেইট ওয়ে অব ইস্টার্ন ইন্ডিয়া’ নামে চাঁদপুর ছিল এক সময়ের মহকুমা শহর। চাঁদপুর হাজার বছরের প্রাচীন জনপদ। বাংলার স্বাধীন সুলতানদের সময় থেকে প্রাচীন বাংলায় চাঁদপুর ছিল এক সমৃদ্ধ নগরী। বিশিষ্ট চাঁদ ফকির, জমিদার চাঁদ রায় ও ধর্ণাঢ্য বণিক চাঁদ সওদাগরের নামে এই জেলার নামকরণ হয় চাঁদপুর।
চাঁদপুরে শুধু মাত্র ইলিশের স্বাদ নেয়ার জন্যই যাওয়া যায়। কেমন হয়? বাজার থেকে টাটকা ইলিশ কিনে আনা কিংবা ইলিশের স্বাদে বুঁদ হয়ে সারাটা দিন মেঘনার তীরে বসে থাকলে! পাশে যদি প্রিয়জন থাকে তাহলে কোনো কথাই নেই।
চাঁদপুরের ইলিশ বাজার বড় স্টেশনের কাছেই। তাই বিকেলের সময়টা নদী মোহনায় কাটিয়ে সন্ধ্যায় চলে যেতে পারেন ইলিশ বাজারে। পছন্দমত রূপালি ইলিশ কিনে সাথে নিয়ে আসার জন্যও আছে সুব্যবস্থা এখানে। আর ইলিশ খেতে চাইলে চাঁদপুর বড় ষ্টেশন থেকে ট্রলার অথবা নৌকায় করে রাজরাজেশ্বর চর চলে আসুন, সময় লাগবে ৩০ মিনিট। রাজরাজেশ্বর চরের ঘাট থেকে অল্প দূরে অবস্থিত হোটেলে ইলিশ ভাজা, ইলিশ মাছের ডিম কিংবা ইলিশের তরকারি খেতে পারবেন।
একদিনের ভ্রমণের জন্য চাঁদপুর ভ্রমণ বেশ জনপ্রিয়। কুমিল্লা থেকে বাসে করে চাঁদপুর যেতে প্রায় দুই ঘণ্টা সময় লাগে। তাই দিনে চাঁদপুর গিয়ে রাতে কুমিল্লা ফিরে আসতে পারবেন।
ইলিশ খাওয়া কিংবা এক দিনের ভ্রমণে কুমিল্লা হতে চাঁদপুর দিনে গিয়ে রাতের মধ্যে ফিরে আসা যায়। আর এই ডে লং ট্যুরই চাঁদপুর ভ্রমণে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়।
১১ জুন ২০২১ খ্রিঃ শুক্রবার কুমিল্লা থেকে চাঁদপুর ঘুরতে এসেছেন, ইলিশের বাড়ি যাওয়ার স্মৃতি কখনোই ভোলা যায় না। যতক্ষণই থাকবেন; ততক্ষণই মুগ্ধ হবেন। তাই যখন-তখনই হাজির হতে পারেন। সম্প্রতি ইলিশের বাড়ি থেকে ঘুরে আসার অভিজ্ঞতা ও ভালো লাগার কথা জনিয়েছেন মেডিকেয়ার জেনারেল হসপিটালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাব্বির আহমেম। হঠাৎ সিদ্ধান্তে চাঁদপুর ভ্রমণ।
সঙ্গে ছিলেন মেডিকেয়ার জেনারেল হসপিটালে নির্বাহী পরিচালক আবদুল কদের,পরিচালক মোঃমনির হোসেন,কুমিল্লা নাভানা হসপিটালের চেয়ারম্যন শ্রী ধাম চন্দ্র ভৌমিক,ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ সোহেল রানা,পরিচালক মোঃ আলমগীর খাঁন,কুমিল্লা ইমেজিং সেন্টারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডাঃ মোঃ আবদুল আউয়াল সরকার, মুন হসপিটালের ওটি ইনচার্জ মোঃ তাজুল ইসলাম,মোঃ জসিম উদ্দিন, রয়েল হসপিটালের পরিচালক মোঃ আনোয়ার হোসেন, জুয়েল প্রমুখ।
এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়
Leave a Reply