নিজস্ব প্রতিবেদক:
বাংলাদেশের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১’ উৎক্ষেপণের জন্য ষষ্ঠবারের মতো তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। আগামী ১০ মে যুক্তরাষ্ট্র সময় বিকেল ৪টায় উৎক্ষেপণ করা হবে এ স্যাটেলাইট
৭ মে, সোমবার বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) মিডিয়া উইংস থেকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ মেসবাহুজ্জামান বলেন, ‘আমরা নিশ্চিত হতে চিঠি চেয়েছি। চিঠি হাতে পেলে আনুষ্ঠানিকভাবে তারিখ জানানো হবে।’
এই পর্যন্ত পাঁচবার উৎক্ষেপণের তারিখ পেছানো হয়েছে। ২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাসে এ স্যাটেলাইটের প্রথম উৎক্ষেপণের সময় নির্ধারিত ছিল। এরপর চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে দ্বিতীয়, ৫ এপ্রিল তৃতীয়, ২৪ এপ্রিল চতুর্থ ও ৭ মে পঞ্চম বারের মতো উৎক্ষেপণের সময় নির্ধারিত ছিল।
প্রকল্পটি শেষ হতে খরচ হয় দুই হাজার ৭৬৫ কোটি টাকা এবং বাকি ২০২ কোটি ৯৫ লাখ টাকা অর্থ সাশ্রয় হয় সরকারের। এই স্যাটেলাইট নিয়ন্ত্রণের জন্য গাজীপুরের জয়দেবপুরে এবং রাঙামাটির বেতবুনিয়ায় ইতোমধ্যে দুটি গ্রাউন্ড স্টেশন নির্মাণ করা হয়েছে। মূলত গাজীপুরের গ্রাউন্ড স্টেশন থেকে এটি নিয়ন্ত্রণ করা হবে।
দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে দ্রুত ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দিতে সক্ষম হবে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১। স্যাটেলাইটটি সম্পূর্ণ চালু হওয়ার পর এর নিয়ন্ত্রণ বাংলাদেশের গ্রাউন্ড স্টেশনে স্থানান্তর করা হবে। তবে স্যাটেলাইটটি পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রায় ২০-২১ দিন সময় লাগবে।
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের মোট ৪০টি ট্রান্সপন্ডার থাকবে। এর মধ্যে ২০টি ট্রান্সপন্ডার বাংলাদেশের ব্যবহারের জন্য রাখা হবে। বাকি ২০টি ট্রান্সপন্ডার বিদেশি কোনো প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রির জন্য রাখা হবে। স্যাটেলাইটটি ১৫ বছর মেয়াদের মিশনে পাঠানো হচ্ছে।
এই কৃত্রিম উপগ্রহটি টেলিভিশন চ্যানেল, ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান, ভি-স্যাট ও বেতারসহ ৪০ ধরনের সেবা দেবে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ ট্যারিস্ট্রিয়াল অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হলে সারা দেশে নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ ব্যবস্থা বহাল থাকা, পরিবেশ যোগাযোগমাধ্যম হিসেবে ই-সেবা নিশ্চিত করবে।
স্যাটেলাইটের কার্যক্রম পুরোপুরিভাবে শুরু হলে আশপাশের কয়েকটি দেশে টেলিযোগাযোগ ও সম্প্রচার সেবা দেওয়ার জন্য জিয়োসিক্রোনাস স্যাটেলাইট সিস্টেম (৪০ ট্রান্সপন্ডার, ২৬ কেইউ ব্র্যান্ড, ১৪ সি ব্যান্ড)-এর গ্রাউন্ড সিস্টেমসহ সব ধরনের সেবা পাওয়া যাবে।
Leave a Reply