নিজস্ব প্রতিবেদক
ঢাকা: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী এম কে আনোয়ারকে বুধবার কুমিল্লায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। জেলার তিতাস ও হোমনায় পৃথক দুটি জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।
সোমবার দিবাগত রাত সোয়া ১টার রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডে নিজ বাসভবনে এম কে আনোয়ার ইন্তেকাল করেন (ইন্না…রাজিউন)।
মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে কাঁটাবন মসজিদে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। দুপুর ১২টার দিকে নয়াপল্টনের বিএনপি’র প্রধান কার্যালয়ের সামনে তার দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে তার লাশ জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় নেয়া হয়। সেখানে তার তৃতীয় জানাজা শেষে তার মরদেহ বারডেম হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী মাসুদ আনোয়ার ও মেয়ে খাদিজা আনোয়ার বুধবার দেশে ফিরলে এম কে আনোয়ারের লাশ নেওয়া হবে তার নির্বাচনী এলাকা কুমিল্লার হোমনায়। তিতাস ও হোমনায় দুটি জানাজার পর পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
তিনি ১৯৫৩ সালে তৎকালীন সিভিল সার্ভিস অব পাকিস্তান (সিএসপি) কর্মকর্তা হিসেবে সরকারি চাকরিতে যোগ দেন। তিনি তৎকালীন পাকিস্তান ও বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন।
এম কে আনোয়ার ১৯৯০ সালের ৩০ ডিসেম্বর রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ কর্মকর্তা ক্যাবিনেট সচিবের দায়িত্বে থাকা অবস্থায় অবসরে যান। চাকরি থেকে অবসর নেয়ার পর ১৯৯১ সালের জানুয়ারিতে তিনি বিএনপির রাজনীতিতে যোগদান করেন।
কুমিল্লার হোমনা আসন থেকে তিনি একাধিকবার জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৯১ সাল থেকে ১৯৯৬ সাল এবং ২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত দু’বার মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
দলের প্রবীণ এই নেতার মৃত্যুতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
এম কে আনোয়ার ১৯৩৩ সালের ১ জানুয়ারি কুমিল্লার হোমনায় জন্মগ্রহণ করেন।
মরহুম এমকে আনোয়ারের স্বজনদের পাশে বেগম জিয়া
বিএনপি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মরহুম এমকে আনোয়ারের বাসায় গিয়ে তার স্ত্রী-সন্তানদের সমবেদনা জানালেন দলটির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
মঙ্গলবার রাত পৌনে ১০টায় আনোয়ারের রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডের বাসায় যান খালেদা। তার অসুস্থ স্ত্রী মাহমুদা আনোয়ারের পাশে বসে তাকে সান্ত্বনা জানান তিনি। পরে এম কে আনোয়ারের বড় ছেলে মাহমুদ আনোয়ারসহ পরিবারের সদস্যদের কাছে ডেকে কথা বলেন এবং তাদের খোঁজ-খবর নেন বিএনপি চেয়ারপারসন। পরে রাত সোয়া ১০টার দিকে খালেদা জিয়া বাসা থেকে বেরিয়ে যান।
এ সময় তার সঙ্গে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, কেন্দ্রীয় নেতা রুহুল কবির রিজভী, ফজলুল হক মিলন, শামা ওবায়েদ, শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, মীর সরফত আলী সপু, অঙ্গ সংগঠনের নেতা আফরোজা আব্বাস, সুলতানা আহমেদ, সাইফুল ইসলাম নিরব, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, শফিউল বারী বাবু, আবদুল কাদের ভুঁইয়া জুয়েল, রাজীব আহসান, আকরামুল হাসান, শায়রুল কবির খান, হোমনা থানা বিএনপির সভাপতি মাহফুজুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান মোল্লা উপস্থিত ছিলেন।
এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়
Leave a Reply