মো: বশির আলম, টঙ্গী থেকে :
সাংবাদিকতা একটি মহান পেশা। প্রকৃতপক্ষে দেশ ও মানুষের কল্যাণে চারপাশে ঘটে যাওয়া সম-সাময়িক ঘটনাগুলোকে পত্র, পত্রিকা, রেডিও, টেলিভিশনসহ বিভিন্ন যোগাযোগ মাধ্যমে জনগনের সম্মুখে তুলে ধরাই একজন সাংবাদিকের কাজ। দেশ ও জনগণের কল্যানে মাঠে ময়দানে জীবন বাজী রেখে কাজ করা সাংবাদিকদের সংঘবদ্ধ ভাবে থাকার জন্যেই প্রেসক্লাব।
সারাদেশে প্রতিটি জেলা ও উপজেলাগুলোতে একাধিক প্রেসক্লাব থাকলেও গাজীপুরের টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমা এলাকা হওয়ায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে চেরাগআলী একালায় নির্মিত টঙ্গী প্রেসক্লাব বিশ্বব্যাপী যেমন পরিচিত তেমনি টঙ্গী ও গাজীপুরসহ দেশব্যাপী ব্যাপক সুনাম অর্জন করেছে। ১৯৮৭ইং সালে স্থাপিত ঐতিহ্যবাহী টঙ্গী প্রেসক্লাব প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে এ যাবতকালে সুনামের সহিত টঙ্গী ও আশপাশের এলাকায় বসবাসকৃত সাধারণ মানুষকে সুখে দুঃখে তাদের পাশে থেকে নিরবিচ্ছিন্নভাবে সেবা করে যাচ্ছে।
সেই সুবাধে ২০১৯-২০২১ইং সালের ১৮ই এপ্রিল এই ঐতিহ্যবাহী টঙ্গী প্রেসক্লাবের কার্যনির্বাহী পরিষদের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন সম্পন্ন হয়। উক্ত নির্বাচনটি ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠিত হয়। এই নির্বাচনে সভাপতি পদে এম.এ হায়দার সরকারও প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন। বিপুল ভোটের ব্যাবধানে সভাপতির পদে জয় লাভ করেন দৈনিক মানবজমিনের স্টাফ রিপোর্টার এম.এ হায়দার সরকার। ঐতিহ্যবাহী টঙ্গী প্রেসক্লাব প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর থেকে এযাবৎকালের কার্যকরী পরিষদে আসা নির্বাচিত সাংবাদিকদের নেতৃত্বদানকারী নেতাদের মধ্যে এম,এ হায়দার সরকারের সময়ে অব্যবস্থাপনায় পড়ে থাকা ক্লাবটি সে দায়িত্ব গ্রহণের কিছুদিন পরই ক্লাবের সার্বিকদিক পরিবর্তন হয়ে যায় এবং গত এক বছরে মধ্যে ক্লাবে সেন্টাল এসিসহ সবোচ্ছ উন্নতি সাধিত হয়েছে।
সারাদেশের তৃর্ণমূল থেকে উচ্চ পর্যায়ের সিনিয়র সাংবাদিক মহলে তার ব্যাপক সুনাম অর্জিত হয়েছে। বর্তমান সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই একটি কুচক্রী মহল তাদের স্বার্থ হাসিল না করতে পেরে প্রতিহিংশা পরায়ন হয়ে তার বিরুদ্ধে ব্যাপক ষড়যন্ত্র করতে থাকে। সভাপতি হায়দার সরকার কোন প্রকার বাধা বিপত্তিকে তোয়াক্কা না করে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। সে প্রেসক্লাবের উন্নয়ন ও সদস্যদের স্বার্থে কোন প্রকার বাধাকে তোয়াক্কা না করে প্রেসক্লাবের উন্নয়নে সর্বদা নিয়োজিত। বিগত এক বছরে প্রেসক্লাবে সেন্ট্রাল এসি, রাষ্ট্রীয় সকল দিবস পালন পালন করে আসছেন।
সাংবাদিকদের জন্য তৈরি করেছেন সুন্দর পরিবেশ। এছাড়াও স্বল্প খরচে খাবার ক্যান্টিন চালু করেছে। সাংবাদিকদের বসার জন্য চেয়ার, টেবিল, গুরুত্বপূর্ণ ফাইল রাখার জন্য স্টিলের কেবিনেট, সংবাদ সংগ্রহ ও প্রেরণের জন্য যুগ উপযোগী কম্পিউটার, এলইডি টেলিভিশন ও ক্লাবের ভিতরসহ চারপাশে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করে বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন নির্বাচিত এই সভাপতি।
এছাড়া দেশ যখন ভয়াল দুর্যোগ ও মরণঘাতী করোনা ভাইরাসের মত মহামারির কারণে বিপদাছন্ন তখন এই সাহসীযোদ্ধা নিজের এবং পরিবারের মায়া ত্যাগ করে এই করোনা যুদ্ধে টঙ্গী প্রেসক্লাবের সদস্যদের জীবন ও জীবিকার মান উন্নয়নসহ এলাকার গার্মেন্টস কর্মীসহ নির্যাতিত নিপীড়িত মানুষের জন্য দিন রাত লিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। কঠোর প্রচেষ্টার মাধ্যমে এই মহামারিতে তিনি টঙ্গীবাসীর সেবা ও সদস্যদের পরিবারের জন্য খাবারের ব্যাবস্থা করে সদস্যদের মাঝে বিতরণ করে ঐতিহ্যবাহী টঙ্গী প্রেসক্লাবের সফল সভাপতির স্থান অর্জন করেছেন।
নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে হায়দার সরকার কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্যদের নিয়ে নিরলসভাবে পরিশ্রম করে উন্নয়ন ও সেবামুলক কাজ করে আসছে তা নিতান্তই প্রশংসনীয় বলে মনে করেন প্রেসক্লাবের প্রবীণ ও নবীন সাংবাদিকবৃন্দ।
এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়
Leave a Reply