শনিবার, ১০ জুন ২০২৩, ০৯:০৮ অপরাহ্ন

কমপক্ষে দুজন নিহত : র‌্যাব ডিজি

Reporter Name
  • Update Time : সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০১৯
  • ৩৬ Time View

 

শের ই গুল:

র‌্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) বেনজীর আহমেদ বলেছেন, জঙ্গি আস্তানায় কমপক্ষে দুজন নিহত হয়েছে। তিনটি পা দেখা গেছে। এখনও আস্তানা আগুনে জ্বলছে। আস্তানায় পরিদর্শন শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান।

নিহতদের পরিচয় জানতে চাইলে র‍্যাব ডিজি বলেন, আমরা এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে আছি, পরবর্তীতে তাদের পরিচয় বলা যাবে। তবে এটা নিশ্চিত যে তারা জঙ্গি

আজ সোমবার রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বসিলার মেট্রো হাউজিংয়ে একটি বাড়িতে জঙ্গি আস্তানা সন্দেহ অভিযান শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, গোয়েন্দা তথ্যেন ভিত্তিতে বসিলাতে র‌্যাব অভিযান চালায়। তবে এই অভিযানে কোন জঙ্গি সংগঠনের আস্তানা ছিলো তা পরবর্তীতে জানানো হবে। অভিযানে দুই থেকে তিনজন নিহত হয়েছে বলে ধারণা করছে র‌্যাব।

যে বাড়িটিতে অভিযান চালানো হয়েছে তার অবস্থা বিধ্বস্ত। আর যারা সেই বাড়িতে যে মৃত দেহগুলো ছিলো তাদের অবস্থা ছিন্ন ভিন্ন। সেখানে কতগুলো মৃত দেহ রয়েছে তা পরীক্ষা করে জানা যাবে। অভিযান এখনো পূর্ণাঙ্গভাবে শেষ হয়নি। র‌্যাবের মহাপরিচালক বলেন, আমাদের পর্যাপ্ত প্রচেষ্টা হলো, যাতে করে কেউ বিস্ফোরক সংগ্রহ, মজুদ ও তা দিয়ে যেন কেউ প্রশিক্ষণ নিতে না পারে। এই সমস্ত প্রক্রিয়াকে নজরদারি করা হয়। অনেক কিছুই ধ্বংস করে দেয়া হয়।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভোর সাড়ে ৩টার দিকে ‘জঙ্গি আস্তানা’ সন্দেহে ওই টিনশেড ওই বাড়িটি ঘিরে ফেলা হয়। এরপর অভিযানে নামে র‍্যাব। শুরুতেই ওই বাসার একটি কক্ষ থেকে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এরপর ভেতর থেকে র‍্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লে র‍্যাবও পাল্টা গুলি ছোড়ে।

সোয়া ৯টার দিকে র‌্যাবের বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট ও স্পেশাল ফোর্সের সদস্যরা বাড়িটির ভেতরে ঢোকেন। এরপর বাড়িটিতে কয়েক দফা গুলির শব্দ শোনা যায়। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে র‌্যাবের পক্ষ থেকে ড্রোন ওড়াতে দেখা যায় ওই এলাকায়।

বাড়িটি ঘেরাও করার পরই কেয়ারটেকারসহ তিনজনকে আটক করেছে র‌্যাব। তারা হলেন- কেয়ারটেকার সোহাগ, সোহাগের বউ মৌসুমী ও স্থানীয় মসজিদের ইমাম ইউসুফ।

র‌্যাব-২ এর এসপি পদমর্যাদার এক কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, টিনশেড বাড়িটির কেয়ারটেকারকে জিজ্ঞাসাবাদে জানার চেষ্টা করা হচ্ছে ওই টিনশেড ভবনে কারা কারা থাকেন। কীভাবে ভাড়া দিয়েছেন। সোহাগ ওই এলাকায় ডিশের ব্যবসা করেন।

তিনি বলেন, টিনশেড বাড়িটির পাশে একটি মসজিদ রয়েছে। সম্প্রতি মসজিদটি সম্প্রসারণ করে মাদরাসা করার কথাও চলছিল। মসজিদের ইমাম ইউসুফকেও তাই জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও ওই টিনশেড বাড়ির বাসিন্দা জোনায়েদ জাগো নিউজকে বলেন, ওই টিনশেড বাড়িতে চারটি রুম। তিনি এক রুমে থাকেন। পেশায় রড-সিমেন্টের মিস্ত্রি, বাড়ি-ঘরের কাজ করেন।

তিনি বলেন, দুজন যুবক এক দেড় মাস হলো ভাড়ায় উঠেছেন। আজ ভোরে বিস্ফোরণের আগে আমাদের বের করে আনে র‌্যাব। ভোর ৫টায় যে বিস্ফোরণটি হয় তা ছিল খুব বড়।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়