বুধবার, ২২ মার্চ ২০২৩, ০৬:১০ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
টঙ্গীতে জমি আত্মসাৎ এর জন্য নিজের মাথায় আঘাত করে মিথ্যা মামলা সাজালেন ছোট ভাইসহ তিনজনের বিরুদ্ধে বাঞ্ছারামপুরকে ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত ঘোষনা করার লক্ষে ইউএনও এর প্রেস ব্রিফিং মিরপুরে ছিনতাইকারী চক্রের ৫ সদস্য গ্রেফতার : দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার চালের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করলে ব্যবস্থা: খাদ্যমন্ত্রী চেম্বার আদালতেও রাষ্ট্রপতি নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে রিট খারিজ ইলিয়াস-বাবুলের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদনের নতুন দিন ধার্য টাঙ্গাইল-৩ আসন আওয়ামীলীগের গৃহবিবাদের সুযোগ নিতে চায় বিএনপি হজ পালনে থাকছে না বয়সসীমা, শর্ত তুলে নিলো সৌদি আরব কুষ্টিয়ায় পরিবারের সবাইকে রুমে আটকে দুর্ধর্ষ ডাকাতি, ১৫ লাখ টাকার মালামাল লুট কোস্ট গার্ড পশ্চিম জোন কর্তৃক শরণখোলায় বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান

কয়লার মূল্যবৃদ্ধিতে বিপাকে ইটভাটা মালিকরা

Reporter Name
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
  • ২১ Time View

 

 

রুহুল আমীন :

 

কয়লার দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন সুনামগঞ্জের ইটভাটার মালিকেরা। এতে অনেক ভাটা বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। এ ছাড়া কয়লার দাম না কমলে আগামী মৌসুমে ইটের দাম বেড়ে যাওয়ার শঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। ইটভাটার মালিকরা মনে করছেন, সুনামগঞ্জ-সিলেট সীমান্তের শুল্ক্ক স্টেশন দিয়ে ভারতীয় কয়লা আমদানি শুরু হলে দেশে দাম সহনীয় পর্যায়ে পৌঁছাবে।

ভারতের মেঘালয়ের পরিবেশবাদী সংগঠন ডিমাহাসাও জেলা ছাত্র ইউনিয়নের আবেদনের ভিত্তিতে ২০১৪ সালের ১৭ এপ্রিল ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনাল মেঘালয় সরকারের অবৈধ কয়লা খনন ও পরিবহন বন্ধের নির্দেশ দেন। পরে ১৩ মে মেঘালয়ের সীমান্ত জেলাগুলোয় ১৪৪ ধারা জারি করে কয়লা পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এরপর থেকে সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের বড়ছড়া-চারাগাঁও ও বাগলী এবং সিলেটের শুল্ক্ক স্টেশন দিয়ে কয়লা আমদানি বন্ধ হয়ে যায়। রপ্তানিকারকরা আইনি লড়াই করে প্রথমে উত্তোলিত কয়লার রাজস্ব জমা দিয়ে দুই মাস রপ্তানির সুযোগ পান। এই সময়ের মধ্যে উত্তোলিত কয়লা রপ্তানি করা হয়। এরপর থেকে গত প্রায় ছয় বছর এক-দুই মাস কয়লা আমদানি হয়েছে। বছরের বেশিরভাগ সময় আমদানি বন্ধ থাকায় ব্যবসায়ীরাও বেকায়দায়। লাখো শ্রমিকের দুর্বিষহ জীবন কাটছে।

অন্যদিকে, হাওরাঞ্চলের জেলাগুলোর ইটভাটাগুলোও জ্বালানি সমস্যায় পড়েছে। এবার জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার কারণে পরিবহন খরচ বেড়ে যাওয়ায় ইন্দোনেশিয়া, চীন ও আফ্রিকার কয়লার বাজার দর বেড়ে গেছে। এ অবস্থায় মহাসংকটে পড়েছেন ইটভাটার মালিকরা।

সুনামগঞ্জ জেলা ইটভাটা মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাজীব রায় জানান, গত বছর কয়লা কিনেছেন প্রতি টন ১০-১২ হাজার টাকায়। প্রতিটি ইটের বিক্রয় মূল্য ছিল ১০ টাকা। এবার প্রতি টন ২২ থেকে ২৫ হাজার টাকা। এতে প্রতিটি ইটের বিক্রয় মূল্য ১৫ টাকা পড়বে। তাতে ইট বিক্রয় করতে সমস্যা হবে। সরকারি-বেসরকারি অবকাঠামো উন্নয়ন ব্যয়ও বেড়ে যাবে। তার মতে, কয়লার বাজারে সিন্ডিকেট তৈরি হয়েছে, এটি ভাঙতে হলে ভারতীয় কয়লা আমদানি করতে হবে। এই সময়ে কয়লা পাওয়া সহজলভ্য না হলে ইট পোড়ানো সম্ভব হবে না।

দিরাইয়ের শরিফ ব্রিক ফিল্ডের মালিক সাদিকুর রহমান চৌধুরী বলেন, ইট বানানো শুরু হয়েছে। ইট পোড়াতে পারব কিনা জানি না। কয়লার কারণে ব্রিক ফিল্ড এবার বন্ধ হয়ে যেতে পারে। বড়ছড়া-চারাগাঁওয়ের কয়লা আমদানিকারক মো. ইউনুস আলী জানান, মেঘালয়ের কয়লার মান ভালো। এই কয়লা আমদানি হলে প্রতি টন কয়লার পরিবহন খরচসহ দেশের যে কোনো প্রান্তে ১৫-১৬ হাজার টাকায় পৌঁছানো সম্ভব। ভারতীয় কয়লা আমদানির বিষয়ে রাষ্ট্রের উচ্চপর্যায়ের উদ্যোগ নেওয়া জরুরি।

বড়ছড়া-চারাগাঁও আমদানিকারক সমিতির সভাপতি আলকাছ উদ্দিন খন্দকার জানান, মেঘালয়ের কয়লা রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতি জুলিও সিজার ডিঙ্গার শুক্রবার জানিয়েছেন, মেঘালয় থেকে কয়লা রপ্তানি করতে এখন আর আইনি কোনো বাধা নেই। নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে কয়লা রপ্তানি শুরু করার চিন্তা রয়েছে তাদের। দেশে কয়লার দাম স্থিতিশীল রাখতে ভারতীয় কয়লা আমদানির বিকল্প নেই বলে জানান তিনি। সিলেট কয়লা আমদানিকারক সমিতির সভাপতি চন্দন কুমার সাহা জানান, ভারতের করিমগঞ্জ কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়ে তাদের আগের এলসি’র কয়লা পাঠানোর ব্যবস্থা করার জন্য বলা হয়েছে।

তিনি জানান, বড়ছড়া, চারাগাঁও, তামাবিল সমিতির আমদানিকারকরা কয়লার দাম নির্ধারণসহ নানা বিষয়ে আলোচনার জন্য বৈঠকে বসবেন। ওখানে নানা সমস্যা নিয়ে আলোচনা হবে। এই সময়ে ভারতীয় কয়লা আমদানি না হলে ইটের দাম কমার কোনো ব্যবস্থা নেই বলে দাবি করেন তিনি।

 

 

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়