মোমিনুল ইসলাম জামালপুর থেকেঃ
বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে আমাদের বর্তমান সরকার জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা দেশ রত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা আইন শৃক্ষলার উন্নয়ন চায়, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও ন্যায় বিচারের মানদন্ডে সমুন্নত করে জাতিকে সু-শাসন উপহার দিতে চান ,বাংলাদেশের জনগণের সুখ শান্তি নিরাপত্তা ও কল্যাণের জন্য আওয়ামীলীগ সরকার কাজ করে যাচ্ছেন নিরন্তর।
বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের চেতনায় উদ্বজিবিত হয়ে জাতিগত ঐক্য ও সংহতি বজায় রাখার উপর জোড় দিয়েছেন। সরকারের এসব শিক্ষাকে সামনে রেখেই কাজ করে যাচ্ছেন মেলান্দহ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রেজাউল ইসলাম খান।
তিনি মেলান্দহ থানায় যোগদান করার পর থেকে তার চৌকস পুলিশ অফিসারদের নিয়ে রাত দিন নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন বিধায় পাল্টে যাচ্ছে মেলান্দহ থানার চিত্র। যার ফলে পুলিশ বিভাগের প্রতি জনগণের বিশ্বাস সৃষ্টি হয়েছে। ক্ষুদ্র এক ভাইরাস সর্বনাশি করোনা পাল্টে দিয়েছে পৃথিবীর চিত্র। মহামারি করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিট। তারই ধারাবাহিকতায় নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে জামালপুরের মেলান্দহ থানার পুলিশ।
মেলান্দহ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রেজাউল ইসলাম খানের নেতৃত্বে মেলান্দহ বাসির কল্যানে দিন রাত ২৪ ঘন্টা কাজ করে যাচ্ছে থানায় নিয়োজিত সকল স্তরের পুলিশ সদস্য।বর্তমানে দৈনন্দিন কাজের বেশির ভাগ সময়ই কাজ করছেন করোনা প্রতিরোধ নিয়ে। করোনা প্রতিরোধে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে থানার মুল গেটে।
“মুজিব বর্ষের অঙ্গিকার পুলিশ হবে জনতার” “ পুলিশি জনতা, জনতাই পুলিশ” জনগণের প্রকৃতি বন্ধু যে পুলিশ সেটা তিনি প্রতিষ্ঠা করেছেন মেলান্দহ উপজেলায় । তার অক্লান্ত পরিশ্রম ও নিষ্ঠাবান তৎপরতায় জনমনে ফিরে এসেছে স্বস্তি। তবে এর ধারাবাহিকতা ধরে রাখার দাবি তুলেছেন সুশিল সমাজ।
অন্য দিকে করোনা দুর্যোগ মোকাবেলায় মেলান্দহ থানার অফিসার ইনচার্জ নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে প্রতিটি এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন । সেই সাথে গ্রামের অসহায় গরিব দুঃখি ও দুঃস্থ কর্মহীনদের খোজ খবর নিচ্ছেন। জেলা পুলিশ সুপার মোঃ দেলোয়ার হোসেন বিপিএম, পিপিএম, (বার) এর নির্দেশে খাদ্য সামগ্রী নিয়ে অসহায় মানুষের বাড়ি বাড়ি পৌছে দিচ্ছেন তিনি ।
বাংলাদেশ পুলিশের সুনাম রক্ষায় দিন রাত নিরলস ভাবে কাজ করে পুলিশের ভাব মুর্তিকে সাধারণ মানুষের মাঝে প্রসংশিত করছেন এই পুলিশ কর্মকর্তা। বাংলাদেশ করোনা প্রাদুর্ভাবের পর থেকেই মেলান্দহের জনগনকে সচেতন করতে দিন রাত ছুটে চলেছেন উপজেলার এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে। প্রসংশায় পঞ্চমুখ এই মানবিক ওসি মোঃ রেজাউল ইসলাম খান। এই থানায় সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।
তিনি এই থানায় যোগদান ও দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে গোটা উপজেলা পুলিশি টহল বৃদ্ধির পাশা পাশি অভিযানে , মাদক, চোরা চালান, চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি, ধর্ষন নির্মূলে ব্যাপক ভুমিকা পালন করে আসছেন । তবে মেলান্দহ থানার ২০১১ সালের আদম শুমারি অনুযায়ি তিন লক্ষ তের হাজার একশত বিরাশি জন মানুষের নিরাপত্তা ও আইন সৃংক্ষলা রক্ষায় রাতে গাড়ি ভাড়া নিয়ে টহলে কাজ করতে হয়। এই বিশাল জনসংখ্যার বিপরীতে স্বল্প সংক্ষক পুলিশ সদস্য থাকায় অক্লান্ত পরিশ্রম করে দিন রাত পুলিশ সদস্যদের ডিউটি করতে হয়।
এ বিষয়ে মেলান্দহ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রেজাউল ইসলাম খান দৈনিক আমার প্রাণের বাংলাদেশকে বলেন, করোনা প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর থেকে জামালপুর জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার মহোদয়ের নির্দেশে সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে অত্র উপজেলার প্রতিটি এলাকার হাটবাজারে মাইকিং করছি, কর্ম হীন অসহায়দের মাঝে আমাদের সাধ্যমত খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করছি এবং সাধারণ মানুষের বাড়ি বাড়ি পৌছে দিচ্ছি।
সেই সাথে এসপি স্যারের পক্ষ থেকেও সার্বিক খোজ খবর নেওয়া হচ্ছে বলে জানান ওসি।এ পুলিশ অফিসার সরকারের গোলাম হয়ে জনগনের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ন্যায় ও নিষ্ঠার সঙ্গে আজীবন কাজ করার অঙ্গিকার ব্যক্ত করে তিনি বলেন ,এই থানায় যোগদান করার পর থেকে এই থানাকে সব ধরনের অপরাধ মুক্ত একটি আদর্শ থানা হিসাবে গড়ে তোলার প্রত্যয় নিয়ে কাজ শুরু করছি। এ ধারা অব্যাহত থাকবে। উল্লেখ্য অফিসার ইনচার্জ মোঃ রেজাউল ইসলাম খান মেলান্দহ থানায় যোগদান করেন গত ২২/০৫/২০১৯ সালে। বর্তমানে মেলান্দহ থানার আইন শৃংক্ষলা উন্নতির দিকে ।
এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়
Leave a Reply