শনিবার, ০১ এপ্রিল ২০২৩, ০১:১০ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
ক‍েরাম বোর্ড খেলাকে কেন্দ্র করে দোকান ভাঙচুর ও টাকা লুটপাটের অভিযোগ বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা করলে তার ক্ষতি হবে না: শাজাহান খান আগের মতোই রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে আরেকটি গভীর ষড়যন্ত্র হয়েছে: হানিফ হিন্দি সিনেমায় নৈতিকতা-মূল্যবোধের অভাব রয়েছে: কাজল যার আইনি প্যাঁচে অভিযুক্ত হলেন ট্রাম্প শামসুজ্জামানের মুক্তির দাবিতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ দেশে খাদ্যের অভাব নেই: শিক্ষামন্ত্রী র‌্যাবের নেতৃত্বে উত্তরখানে ভ্রাম্যমাণ আদালতের যৌথ অভিযানে চার প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা রামনা ইউনিয়ন প্রবাসী সংগঠনের ইফতার সামগ্রী বিতরণ কার্যক্রম সৌদি আরবে সাময়িকভাবে ভারত থেকে চিংড়ি আমদানি নিষিদ্ধ

করোনা রোধে রূপসী রূপসার এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে ছুটছেন ইউএনও নাসরিন আক্তার

Reporter Name
  • Update Time : মঙ্গলবার, ১২ মে, ২০২০
  • ৪৩ Time View

 

 

সরদার নাজিম উদ্দিন:

 

কর্মহীন মানুষের খাদ্যসহায়তা প্রদান ও উপজেলাবাসীকে করোনা সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে দিন আর রাত এক করে বিরামহীনভাবে কাজ করে চলেছেন রূপসা উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাসরিন আক্তার। সরকারিভাবে এ পর্যন্ত ১৩ হাজার অসহায় পরিবারকে খাদ্যসহায়তা দিয়ে তাদের মুখে হাসি ফুটিয়েছেন।

সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক কখনো কর্মহীনদের মাঝে ত্রান বিতরণ, কখনো সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে রাস্তা ও হাট বাজারে টহল, আবার কখনো কখনো স্বাস্থ্য বিধি অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছেন। সাধারণ মানুষের মাঝে বিতরণ করছেন মাস্ক। চালাচ্ছেন সচেতনতামূলক প্রচার প্রচারণা। এরকম নানাবিধ কাজের মাঝে ছুটছেন উপজেলার এক প্রান্ত থেকে অপরপ্রান্তে।

একজন নারী অফিসার হয়েও যার নেই কোন ক্লান্তি। এসব কর্মকান্ডের মাঝে তার উপর অর্পিত উপজেলা প্রশাসনের সার্বিক কর্মকান্ড দেখভাল করছেন নিয়মিত। তিনি আইনের প্রতি যেমন রয়েছেন কঠোর। ঠিক দায়িত্বের প্রতি রয়েছেন অঁল। আবার মানবিকতায় রয়েছে তার মমত্ববোধ। তার এই নিরলস পরিশ্রম ও প্রশংসনীয় কর্মকান্ডে রূপসী রূপসার বাসীর হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন সীমাহীন শ্রদ্ধা ও ভালবাসা।

রূপসী রূপসার বাসীর খাদ্য সংকট মোকাবেলায় সরকারি সহায়তার পাশাপাশি অফিসার্স ক্লাবের মাধ্যমে গড়ে তুলেছেন তহবিল। খাদ্য সংকটে পড়ে কেউ তার দ্বারস্ত হলে সঙ্গে সঙ্গে তাকে সহায়তা করছেন।

উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, করোনাভাইরাস রোধে রূপসা উপজেলায় হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা কর্মহীনদের খাদ্য সহায়তার জন্য সরকারিভাবে এ পর্যন্ত ৫ দফায় একশ’ এক টন চাল ও ১৬ লাখ ১৭ হাজার টাকা বরাদ্দ হয়। যা ইতোমধ্যে ১৩ হাজার অসহায় পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। উপজেলার পাঁচ ইউনিয়নে জনসংখ্যা রয়েছে প্রায় দুই লাখ। এরমধ্যে নিম্নবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত জনসংখ্যা রয়েছে প্রায় একলাখ ৬০ হাজার।

সরকারিভাবে সরবরাহকৃত খাদ্যসামগ্রীর তুলনায় উপজেলায় নিম্নবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের জনসংখ্যা বহুগুণ বেশি হওয়ায় কর্মহীন সব পরিবারের দোরগোড়ায় এ খাদ্যসহায়তা দেয়া সম্ভব হয়নি বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। এয়াড়া সরকারিভাবে শিশুখাদ্যের জন্য দুই দফায় ৮০ হাজার টাকা বরাদ্দ হয়। এরমধ্যে ৩৭ হাজার টাকার শিশুখাদ্য বিতরণ করা হয়েছে এবং বাকি ৪৩ হাজার টাকার শিশুখাদ্য অল্প কয়েকদিনের মধ্যে বিতরণ করা হবে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাসরিন আক্তার।

এর আগে উপজেলা অফিসার্স ক্লাবের উদ্যোগে গঠিত কল্যাণ তহবিলের ৭০ হাজার টাকার খাদ্যসহায়তা প্রদান করেন তিনি। এয়াড়া গর্ভবতী মহিলাদের কথা চিন্তা করে উপজেলার অফিসার্স ক্লাবের তহবিলের আরো ৬৫ হাজার টাকার খাদ্যসহায়তা প্রদানের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। যা বিতরণের প্রক্রিয়া চলছে।

গর্ভবতী মহিলাদের মাথাপিছু ১০ কেজি চাল, ১ লিটার সয়াবিন তেল, ১ কেজি মশুর ডাল, আধাকেজি ছোলা এবং ৩ হালি ডিম খাদ্যসহায়তা হিসেবে প্রদান করা হবে। পাশাপাশি উপজেলাবাসীকে করোনাভাইরাস থেকে রক্ষা করতে ২১ এপ্রিল আইচগাতী ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া নূর আলম খানের বাড়ি পার্শ্ববর্তী ২০ বাড়ি, ২৩ এপ্রিল রূপসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইপিআই টেকনোলজিষ্ট শাহারুল ইসলাম (৪৮) করোনা পজেটিভ হওয়ায় কোয়ার্টার ও হাসপাতাল চত্বরে অবস্থিত মসজিদ এবং ৩০ এপ্রিল আইচগাতী ইউনিয়নের দেয়াড়া গ্রামে জরিনা নামে আরো এক নারী করোনভাইরাস পজেটিভ হওয়ায় তার বাড়ি পার্শ্ববর্তী ২০ বাড়ি লকডাউন ঘোষণা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাসরিন আক্তার এ প্রতিবেদককে বলেন, সরকারিভাবে বরাদ্দকৃত একশ’ এক টন চাল ও ১৬ লাখ ১৭ হাজার টাকা কর্মহীনদের মাঝে সঠিকভাবে বিতরণ করা হয়েছে। পাশাপাশি সরকারিভাবে শিশুখাদ্যের জন্য দু’দফায় ৮০ হাজার টাকার মধ্যে ৩৭ হাজার টাকার শিশুখাদ্য বিতরণ করা হয়েছে। বাকি টাকার শিশুখাদ্য বিতরণের প্রক্রিয়া চলছে।

এয়াড়া গর্ভবতী মহিলাদের কথা চিন্তা করে উপজেলার অফিসার্স ক্লাবের তহবিলের ৬৫ হাজার টাকার খাদ্যসহায়তা প্রদানের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, শুধু সরকারি খাদ্য সহায়তার দিকে তাকিয়ে বসে থাকার সময় এখন না। দেশের এই চরম ক্রান্তিকালে তিনি কর্মহীন অসহায় মানুষের পাশে ধনাঢ্য স্বচ্ছল ব্যক্তিদের দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়