আনিছ মাহমুদ লিমন :
কিশোর গ্যাংয়ের উৎপাত এতটাই বৃদ্ধি পেয়েছে রীতিমতো তারা স্কুল কলেজের আগত ছাত্রীদের জনসম্মুখে দিন দুপুরে ইভটিজিং করে মানসিকভাবে হয়রানি করে আসছে। এসব ইভটিজাররা এতটাই দুঃসাহসী তারা ইভটিজিং করার ক্ষেত্রে রীতিমতো অভিভাবকদেরকেও ভয়ভীতি দেখানো শুরু করেছে। এমনই ঘটনা ঘটেছে রাজধানীর উত্তরখান থানা এলাকায়।
এই এলাকায় দীর্ঘ দিন যাবৎ সাংবাদিকতা করে আসছেন এ আর মজিদ শরীফ। তার বড় মেয়ে নাসিমা বৈশাখী উত্তরার ৬ নং সেক্টরে একটি বেসরকারী ইউনাইটেড কলেজে একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী। বেশ কিছু দিন যাবৎ বাসা থেকে কলেজের আসা যাওয়ার পথে টঙ্গী হাজীপাড়া বনমালা হায়দরাবাদ থানা পুবাইলের মোঃ আমিনুল ইসলাম, পিতা- আহসান উল্লাহ, মাতা- রুবিনা বেগম, বৈশাখীর পিছু নিয়ে বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গি করে উত্যক্ত করে আসছিলো। বখাটে আমিনুল প্রায় সময় কু-প্রস্তাব দিলে সেই প্রস্তাব বৈশাখী প্রত্যাখান করলে বখাটে আমিনুল তাকে জানে মেরে ফেলার হুমকি প্রদর্শন করে।
গত ১৫/১১/২০২২ ইং তারিখ সন্ধ্যা আনুমানিক ১৭ ঘটিকার সময় উত্তরখান থানাধীন টপ জিন্স গার্মেন্টসের সামনে বৈশাখী (অপূর্বা)’কে একা পেয়ে পুনরায় কু-প্রস্তাব দিয়ে বিভিন্ন অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করার সময় বখাটে আমিনুলের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য বৈশাখী দৌঁড় দিলে বখাটে আমিনুল পিছন দিক থেকে তার পরিহিত হিজাব ধরে টানাটানি করে। বৈশাখীর চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে এসে আমিনুলকে মারধর করলে আমিনুল সামান্য আঘাতপ্রাপ্ত হয়। পরবর্তীতে উত্তরখান থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে আমিনুলকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে উত্তরখান থানায় একটি ইভটিজিংয়ের মামলা দায়ের করা হয়েছে। বখাটে আমিনুল বর্তমানে জেলহাজতে রয়েছে।
এ বিষয় নিয়ে বৈশাখীর পিতা সাংবাদিক এ আর মজিদ শরীফের সাথে কথা হলে তিনি জানান, বখাটে আমিনুল এবং তার পরিবার সন্ত্রাসী টাইপের। তারা সবাই মাদকাসক্ত। যেকোন সময় তারা আমার এবং আমার পরিবার ও বৈশাখীর ক্ষতিসাধন করতে পারে। আমি ব্যক্তিগতভাবে আমিনুলের অভিভাবকদেরকে ছেলেকে সতর্ক করতে বলেছি এবং নৈতিক শিক্ষা দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছি।
এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়
Leave a Reply