গোলাম সারোয়ার :
কাপাসিয়ায় শনিবার বিকালে নকল পণ্য উৎপাদনকারী এক কারখানায় ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়েছে। এ সময় ওই কারখানার নিন্মমানের নানা কেমিক্যালসহ উৎপাদিত নানা নকল পণ্য জব্দ করা হয়েছে এবং কারখানার মালিককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। কাপাসিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোসা: ইসমত আরা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে আর্থিক দন্ড প্রদান করেন।
জানা যায়, উপজেলার সদর ইউনিয়নের পাবুর গ্রামে আব্দুল খালেক আকন্দের ছেলে মােঃ রুহুল আমীন তার গ্রামর বাড়িতে দীর্ঘদিন যাবৎ ‘ফেমাস কােম্পানী’ নামে একটি কারখানা খুলে নকল পণ্য উৎপাদন করে বাজারজাত করছিলেন। এখানে ফেমাস লন্ড্রি পাউডার, সুপার এক্সেল ডিটারজেন্ট, নােভা পাওয়ার হুয়াইট, পাওয়ার প্লাস, হ্যান্ড ওয়াস, ডিস ওয়াস, ফ্লাের ক্লিনার, গ্লাস ক্লিনার, হারপিকসহ নানা পণ্য উৎপাদন করে নামীদামী ব্র্যান্ডর মােড়কের ডিজাইনের সাথে মিল রেখে বাজারজাত করছিলেন।
শনিবার সকালে ওই বাড়িতে মাদক বেচাকেনার সংবাদ পেয়ে কাপাসিয়া থানার পরিদর্শক (অপারেশন) এস এম আমিরুল ইসলাম একদল পুলিশ নিয়ে অভিযান চালান। এ সময় তিনি মাদক উদ্ধার করতে না পারলেও নকল কারখানার সন্ধান পান। পর তিনি বিষয়টি প্রশাসনরে নজরে আনলে বিকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বিপুল পরিমাণ নকল পণ্য ও কেমিক্যাল উদ্ধার করেন। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে কারখানার মালিক রুহুল আমীন পালিয়ে গেলে তার পরিবারের অন্য সদস্যের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোসা: ইসমত আরা জানান, কোন বৈধ কাগজপত্র বা অনুমোদন ছাড়াই ওই কারখানায় অতি নিন্মমানের পণ্য উৎপাদন করে নামীদামী ব্র্যান্ডের নামের আংশিক মিল করে বাজারজাত করছিল। এ অপরাধে কারখানার মালিককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়
Leave a Reply