মো. হাসমত আলী, লালমনিরহাট প্রতিনিধি :
লালমনিরহাট জেলায় কালের আবর্তে হারিয়ে যাচ্ছে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী ‘গরুর গাড়ী। গরুর গাড়ী এক সময় যাত্রী বান্ধব বন্ধু হিসেবে অনেকেই অখ্যায়িত করত।
এক সময় গরুর গাড়ী নিয়ে ছুটে চলতেন গ্রামের পর গ্রামে। বৃদ্ধ থেকে শুরু করে যুবক ও মধ্যবয়সী সহ সবাই গরুর গাড়ী নিয়ে বের হতেন। গরুর গাড়ী নিজের কাজের পাশাপাশি ব্যবহার হতো বিভিন্ন মালা মালা বাহনের কাজে। কিন্তু আধুনিকায়নে বিভিন্ন যানবহন বৈদ্যুতিক গাড়ী এলাকা ভরপুর।যার কারণে হারিয়ে যাচ্ছে একমাত্র উৎস রত ঐতিহ্যবাহী গরুর গাড়ী।
সরেজমিনে কালীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে জানা যায়,তখনকার সময়ে গরুর গাড়ী মেরামতের জন্য হাট বাজারে দোকান দিয়ে বসত।এছাড়া অনেকে গ্রামের বিভিন্ন বাড়িতে গিয়ে গরুর গাড়ী মেরামত করত।
কিন্তু এখন আর গরুর গাড়ী ব্যবহার না করার ফলে গরুর গাড়ীর মিস্ত্রীদের এখন আর দেখা যায় না। কালীগঞ্জ উপজেলার বুড়িরহাট এলাকার গরুর গাড়ী চালক দেলবার হোসেন,বলেন এক সময় গরুর গাড়ী ছাড়া রাতে ও দিনে চলাচল করা যেত না।কিন্তু এখন এলাকায় কোম্পানির বিভিন্ন ধরনের যনবহন বের হওয়ায় এখন আর গরুর গাড়ী প্রয়োজন হয় না।
প্রফিট ফাউন্ডেশনে নির্বাহী পরিচালক নুরুজ্জামান আহমেদ বলেন, আগে রাতে ও দিনে বের হলে গরুর গাড়ী ছাড়া অন্য কোন যানবহন পাওয়া যেতনা। কিন্তু এখন ঘর থেকে বের হলে বিদ্যুৎতের গাড়ী ও অন্যান্য যানবহন পাওয়া যাওয়ার কারণে এখন আর গরুর গাড়ীর প্রয়োজন হয় না।
চন্দ্রপুর ইউনিয়নের চাপারহাটের এক গরুর গাড়ীর মেকার জানায়, এক সময় নিজের হাতে অনেক গরুর গাড়ী মেরামত করেছি। কিন্তু এখন কার সময়ে বাড়ী গাড়ী থাকলেও তা কেউ ব্যবহার করে না।এতে মেরামতের কাজ হয় না।যার কারণে এই পেশা ছাড়তে হয়েছে।তিনি আরও বলেন,সময়ের আবর্তে এক সময় গরুর গাড়ীর দেখতে যেতে হবে জাদুঘরে। নতুন প্রজন্ম হয়তো জানবেও না গরুর গাড়ীর ইতিহাস।
Leave a Reply