রউফুল আলম, নীলফামারী জেলা ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি:
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে ব্রিটিশ কাউন্সিলের কারিগরি সহযোগীতায় ইউরোপিয় ইউনিয়নের অর্থায়নে গ্রামীণ উন্নয়ন সংস্থা’র (ভিডিও) সৌজন্যে বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় ‘উত্তর দুরাকুটি দাখিল মাদ্রাসায় ‘কমিউনিটি ক্লিনিকে প্রদেয় সেবাসমূহের উপর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত।
অত্র দাখিল মাদ্রসার সুপারিন্টেন্ডেন্ট মাও: আবু তালেবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সমাজ সেবক খলিলুর রহমান বাচ্চু, শিক্ষক প্রতিনিধি আখতারুল হক, মাও: মো: আব্দুল গফুর, মোসা: দুলালী বেগম, মঞ্জুরুল ্সলাম, বুলু মিয়া, ব্রিটিশ কাউন্সিলের ট্যাস লিডার মো. আনিছুল ইসলাম, টিম লিডার মো. মাজেদুল ইসলাম সবুজ ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিক মোঃ রউফুল আলম প্রমুখ। সভায় স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন, মোঃ রবিউল হাসান রতন, নির্বাহী পরিচালক, গ্রামীণ উন্নয়ন সংস্থা। তিনি বলেন, সরকারী গাইড লাইন অনুযায়ী শুক্রবার ও অন্যান্য সরকারী ছুটির দিন ব্যতিত সপ্তাহে ৬ দিন (শনিবার হতে বৃহস্পতিবার) সকাল ৯ টা হতে বিকাল ৩ টা পর্যন্ত কমিউনিটি ক্লিনিকে সেবা পাওয়া যায়। কমিউনিটি হেল্থ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) প্রতি কর্মদিবসে কমিউনিটি ক্লিনিকে উপস্থিত থেকে সেবা প্রদান করেন। সিএইচসিপির পাশাপাশি স্বাস্থ্য সহকারী ও পরিবার কল্যাণ সহকারী প্রত্যেক সপ্তাহে ন্যূনতম ৩ দিন করে (পূর্ব পকিল্পনা অনুসারে) কমিউনিটি ক্লিনিকে সেবা প্রদান করেন। কমিউনিটি গ্রæপের সদস্যবৃন্দ কমিউনিটি ক্লিনিকের সেবা প্রদান ও মান উন্নয়নে সহায়তা প্রদান করেন। এলাকায় স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করেন এমন গ্রাম্য চিকিৎসক, দাই এবং অন্যান্য সেবাদানকারী ও এনজিও কর্মীরা ইউএইচ এবং এফপিও এবং ইউএফপিও কমিউনিটি ক্লিনিকে সাথে সম্পৃক্ত। কমিউনিটি ক্লিনিকগুলি অত্যাবশ্যকীয় সেবা প্রদানের প্রাথমিক স্তর হিসেবে পরিচালিত। গ্রামীণ জনগণের চাহিদা অনুসারে এই ক্লিনিকগুলি (ঙহব- ংঃড়ঢ় ংবৎারপব পবহঃবৎ) হিসাবে পরিচালিত) মাধ্যমে সহজলভ্য, নির্দিষ্ট মান ও গুণ সম্পূর্ণ সমন্বিত স্বাস্থ্য, পরিবার পরিকল্পনা ও পুষ্টি সেবা প্রদান। এক কথায়, অল্প পরিশ্রমে সল্প সময়ে বিনা পয়সায় প্রাথমিক চিতিৎসা সেবা নিতে চলো যাই কমিউনিটি ক্লিনিকে।
উপস্থিত মাদ্রাসা শিক্ষক আখতারুল হক বলেন, সরকার বিনামূল্যে ঔষুধ দিচ্ছে, সিএইচসিপিদের বেতন দিচ্ছেন, গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে ঘরে ঘরে স্বাস্থ্য সেবা দেওয়া হচ্ছে। তারপরে ও কেন, ক্লিনিক বন্ধ থাকে, সিএইচসিপি ১০ টায় আসে ১২ টায় বন্ধ করে চলে যায়। প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য গেলে বলা হয় ঔষুধ নাই। মাও: আব্দুল গফুর বলেন, ঔষুধ নিতে মানুষ বুঝে ৫/১০/১৫ টাকা করে নেয়া হয়। না দিতে পারলে তার ঔষুধ নাই এর কারণ কি ? বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরা হয়। উত্তরে মোসাঃ দুলালী বেগম বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিকে টয়লেট নাই, টিউবয়েল নাই। একারণেই সিএইচসিপি ক্লিনিক বন্ধ করে বাড়ীতে চলে যায়। ফলে বাহাগিলি ইউনিয়নের ১,২,৩ নং ওয়ার্ডের জনগণ স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। কারণ হিসাবে উল্লেখ করা হয়, কমিউনিটি ক্লিনিকের প্রধান পৃষ্টপোষক, ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারগণ, কমিউনিটি গ্রপ ও সাপোর্ট গ্রপের নিরব ভ‚মিকা। জবাবদিহিতা নাই বললেই চলে। সভায় উপস্থিত সমাজসেবক খলিলুর রহমান বাচ্চু সাহেব নিজস্ব অর্থ দিয়ে “উত্তর দৃরাকুটি কমিউনিটি ক্লিনিকে’ টয়লেট ও টিউবয়েল জুন মাসের মধ্যে প্রদান করবেন প্রতিশ্রতি দেন।
মোঃ রউফুল আলম
এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়
Leave a Reply