নবিজুল ইসলাম নবীন, নীলফামারী প্রতিনিধি :
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার খিলালগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ে দুই পদের জন্য চুড়ান্ত প্রার্থীকে রেখে দিয়ে লোক দেখানো ও সাজানো প্রার্থী দিয়ে নিয়োগ পরীক্ষা গ্রহন করেছে নিয়োগ কমিটি।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, সকাল ১০টার দিকে অফিস সহায়ক পদে ৫জন পুরুষ ও আয়া পদে ৪জন মহিলা প্রার্থী নিয়োগ পরীক্ষা দিতে আসে। স্কুলের নৈশ প্রহরী আজম আলীর ছেলে শাহরিয়ার ইসলামকে অফিস সহায়ক হিসাবে নিয়োগ দেয়ার নামে প্রধান শিক্ষক জাহেদুল ইসলাম ও স্কুলের সভাপতি ও মাগুড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা মুকুল মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে তাকে চুড়ান্ত করে রেখেছে। অপরদিকে আয়া পদের জন্য ফাহিমা আক্তারকে চুড়ান্ত করে নামমাত্র কয়েকজন পরীক্ষার্থীকে দিয়ে চুড়ান্ত করে নিয়োগ কমিটি।
স্কুলের সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে তাদের মনোনীত দুই প্রার্থীকে পূর্ব থেকে প্রশ্ন ও উত্তরপত্র দিয়ে রাখে। পরীক্ষার দিন পছন্দের দুই প্রার্থীর বৈধতার জন্য তাদের মনগড়া কিছু লোক দিয়ে পরীক্ষা নিয়ে তাদের প্রার্থীকে চুড়ান্ত করে। নিয়োগ নীতিমালা অনুযায়ী ওই বিদ্যালয়ে কর্মরত কোন শিক্ষক বা কোন কর্মচারীর ছেলে, মেয়ে বা তাদের আত্মীয় স্বজন কেউ নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে না। তারপরেও নৈশ প্রহরীর ছেলে সৈয়দপুর লায়ন্স স্কুল এন্ড কলেজের এইচএসসি ২য় বর্ষের ছাত্র শাহারিয়ার ইসলাম সেই নিয়োগ পরীক্ষার জন্য আবেদন করেন।
বিষয়টি নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। আবার একই পরিবারে লিজা আক্তার ও ফাহিমা আক্তার আয়া পদে আবেদন করেন। ফাহিমা আক্তারের ভাবী লিজা আক্তার তার জন্য পরীক্ষায় অংশ
নিয়ে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করেন লোক দেখানো ভাবে। পরীক্ষা শুরু হওয়ার আগে খিলালগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ৫জন পুলিশ সদস্যকে নিয়ে গিয়ে বসে রাখা হয়।
লিখিত পরীক্ষা শেষে অনেক প্রার্থী মৌখিক পরীক্ষায় অংশ না নিয়ে চলে যান। বিষয়টি নিয়ে প্রধান শিক্ষক জাহেদুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, কোন পরীক্ষার্থী চলে গেলে আমি কি করবো। নিয়োগ কমিটির সদস্য সচিব ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এ টি এম নূরুল আমিন শাহ্কে শাহরিয়ার ইসলাম ও ফাহিমাকে পূর্বে থেকেই নিয়োগ চুড়ান্ত করা হয়েছে জানালে তিনি বলেন, আমাকে কেউ কোন অভিযোগ দেয়নি।
খিলালগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা মুকুল বলেন, আমি স্বাক্ষর করার জন্য এসেছি। কাকে চুড়ান্ত করেছে তা আমার জানা নেই। প্রশ্নপত্র কি আছে তা আমি জানি না।
পরীক্ষা কমিটিতে ডিজির প্রতিনিধির দায়িত্বে থাকা নীলফামারী সরকারী বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম রব্বানী বলেন, পরীক্ষায় যারা বেশী নম্বর পেয়েছে আমরা তাকে নিয়োগ দিয়েছি।
এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়
Leave a Reply