শের ই গুল :
মধ্যযুগীয় কায়দায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর মতো ক্যাম্পে আটকে গণধর্ষণের মতো নেক্কারজনক ঘটনা ঘটেছে টঙ্গী পূর্ব থানা এলাকায় । ঘটনার স্থল আরিচপুরস্হ গার্লস স্কুল রোডের ওমর ফারুকের আবির ভিলার অষ্টম তলা বিল্ডিং এর সপ্তম তলার দক্ষিণ পার্শের ৭০২ নং ফ্ল্যাটে। ধর্ষণের শিকার ভুক্তভোগী লাবনী আক্তার তার বর্তমান ঠিকানা উত্তরখান ময়নারটেক থেকে অটোরিকসায় আব্দুল্লাহপুর যাওয়ার সময় গ্যাং রেপের প্রধান আসামি খোরশেদ আলম এর সাথে পরিচয় হয়।
ভুক্তভোগী লাবনীকে টঙ্গী বোরখার দোকানে (আলফি লেডিস কালেকশন) এ চাকুরী দিবে কৌশলে ২৪/ ০৪/২৩ খ্রিস্টাব্দ দুপুর ২ টার সময় উল্লেখিত ওমর ফারুক এর মালিকানাধীন আবির ভিলায় ডেকে এনে বাড়িওয়ালা ওমর ফারুকের সহযোগিতায় পালাক্রমে খোরশেদ আলম, মোঃ আলমগীর হোসেন , নূর হোসেন গ্যাং রেপ করে। ভুক্তভোগী লাবনীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ার কারণে বাড়িওয়ালা ওমর ফারুক এবং ধর্ষনকারী আলমগীরের আত্মীয় পরিচয়দানকারী যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর পিএস এর বন্ধু পরিচয় দানকারী কালাম ধর্ষণ করতে না পেরে ভুক্তভোগী লাবনীর মুখে পানি দিয়ে তার হুশ ফিরিয়ে আনে, পরবর্তীতে লাবনীকে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে জোর করে কিছু টাকা ধরিয়ে দিয়ে, ওমর ফারুক এর বাড়ি আবির ভিলার সপ্তম তলা হইতে নিচে নামাইয়া বের করে দেয়।
এ বিষয় নিয়ে ভুক্তভোগী লাবনী ২৮/ ৪/ ২০২৩ ইংরেজি টঙ্গী পূর্ব থানায় একটি এজাহার দায়ের করে। থানা কর্তৃপক্ষ ধারা (৩) ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধনী ২০০৩ গণধর্ষণ করার অপরাধ আমলে নিয়ে আসামি (১) খোরশেদ আলম পিতা মৃত আব্বাস উদ্দিন মাতা শাহেদা বেগম। স্থায়ী ঠিকানা গ্রাম মধ্য বেরুয়া থানা রায়পুর জেলা লক্ষ্মীপুর। বর্তমান মাস্টার পাড়া মদিনা ফার্মেসী থানা উত্তরখান বাঁকা। (২) মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন, পিতা মৃত মনসুর আলী , মাতা মৃত শামসুন্নাহার স্থায়ী ঠিকানা গ্রাম মধ্য সাগরদি, থানা রায়পুর, জেলা লক্ষ্মীপুর। বর্তমান আরিচপুর গার্লস স্কুল রোড ওমর ফারুক এর বাড়ি অষ্টমতলা বিল্ডিং এর সপ্তম তলায়। (৩) নূর হোসেন পিতা মৃত আবু তালেব, মাতা মৃত শাহবানু স্থায়ী গ্রাম মাস্টার পাড়া আব্দুল বারেকের বাড়ি থানা উত্তরখান জেলা ঢাকা। এই তিনজনকে টঙ্গী পূর্ব থানা পুলিশ গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠাতে সক্ষম হয়েছে।
অন্যদিকে বাড়িওয়ালা ওমর ফারুক এবং ধর্ষণকারী আলমগীরের আত্মীয় কালামকে মামলার এজাহারে আসামি না করার কারণে তারা গ্যাং রেপের মামলাটিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার নিমিত্তে বিভিন্ন মিথ্যা প্রভাগান্ডা ছড়াচ্ছে। এই ঘটনার পর বিভিন্ন সাংবাদিকরা ধর্ষণের স্থান ওমর ফারুকের আবির ভিলায় গেলে বাড়ির মালিক সাংবাদিকদেরকে উপরে উঠতে বাধা দেয়। উল্টো ভুক্তভোগী গণধর্ষণের শিকার লাবনীকে খারাপ মেয়ে আখ্যা দেয় এবং জানায় মেয়েটিকে ওরা ভাড়া করে এনেছে এর আগেও অনেক মেয়েকে আনা হয়েছে কেউ তো অভিযোগ দেয়নি ইত্যাদি কথা বলে গরিব ভুক্তভোগী লাবনীর চরিত্র নিয়ে কটাক্ষ মূলক মন্তব্য করেন বাড়িওয়ালা ওমর ফারুক।
অন্যদিকে সংবাদের প্রতিবেদক মোবাইল ফোনে ২ নং ধর্ষণকারী আলমগীরের প্রভাবশালী আত্মীয় কালামের সাথে কথা বললে সে জানায় আমি মন্ত্রীর পিএস কাউসারের বন্ধু আমি প্রয়োজনে ওবায়দুল কাদেরের কাছে যাব। আপনার ফোন পেয়ে আমার নাচতে ইচ্ছে করছে, রাস্তায় হাঁটছি শরীরে বৃষ্টি পড়ছে আপনার ফোন পেয়ে আমার শরীর গরম লাগছে ইত্যাদি কথা বলে গণধর্ষণের মত একটি বড় অপরাধকেও এসব ধর্ষণকারী এবং তাদের সহযোগীরা কটাক্ষ করে কথা বলার দুঃসাহস দেখায়। কারণ এদের পিছনে আছে অনেক মন্ত্রী আমালাদের আত্মীয়-স্বজন পি এস এর মত ক্ষমতাশালী ব্যক্তিরা। কিন্তু মন্ত্রীর পিএসের বন্ধু পরিচয় দেওয়া কালামের বিষয়ে পিএস মহোদয় কাওসার সাহেবকে জানালে তিনি বলেন কালাম নামে আমার কোন বন্ধু নাই তাকে ডেকে আগে ছাগলের রশি দিয়া বাইন্দা রাখেন। আপনারা আপনাদের মত নিউজ করেন একটি ধর্ষণের মতো ঘটনা ঘটেছে কোন সহযোগিতা লাগলে আমাদেরকে জানাবেন আমরা আমাদের সাধ্যমত সহযোগিতা করব। একটি জরিপে দেখা যাচ্ছে গত কয়েক বছরে আবার বেড়েছে ধর্ষণের সংখ্যা।
ধর্ষণকারীরা আইনের আওতায় আসলেও ক্ষমতার জোরে এবং টাকার গরমে আইনের ফাক ফোকর দিয়ে বেড়িয়ে আবার অপরাধে জড়াচ্ছে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কুসুম বাগানে তার উন্নয়নের সোপানে কোন ধর্ষণকারীদের এবং তাদের সহযোগীদের স্থান হবে না। সবাই আসবে আইনের আওতায় এমনটাই প্রত্যাশা সবার। আগে সোনার বাংলা পরে অন্য সব সাধু সাবধান।
এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়
Leave a Reply