বুধবার, ০৭ জুন ২০২৩, ১১:৩১ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :

কুমারখালীতে কবরস্থানে জমি দান করায় অবরুদ্ধ ৪ পরিবার!

Reporter Name
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ১৮ আগস্ট, ২০২২
  • ৩৫ Time View

 

 

হাসনাত রাব্বু, কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি :

কুষ্টিয়ার কুমারখালীর পান্টি ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর গ্রামে কবরস্থানে জমি দান করায় ৪ টি পরিবার অবরুদ্ধ হয়ে আছে। স্থানীয় একটি চক্র তাদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা দুর্বসহ করে তুলেছে বলে জানা গেছে। অবরুদ্ধ হয়ে আছেন কুদ্দুস জোয়ার্দারের ছেলে রুবেল ও রাশেদুল সহ ৪ টি পরিবার।

বুধবার সরেজমিনে এই প্রতিবেদক দেখেন, অবরুদ্ধ পরিবার তাদের মাঠের জমি চাষ দিতে পারছেননা, তাদের মাঠের সেচ পাম্প ও সাব মার্সেল জোরপূর্বক উঠিয়ে নিয়ে যাবার এবং বাড়ি ঘর কুপিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ করার।

এ সময় ভুক্তভােগী রুবেল জানান, কৃষ্ণপুর কবরস্থানে সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল আওয়ালের পরিবার
৭ শতক জমি দান করেন। শুক্রবার মসজিদের মাইকে আব্দুল আওয়ালের পরিবারের পক্ষ থেকে আব্দুল ওহাব জমি দানের ঘোষনা দিলে স্থানীয় আমান উল্লাহ সহ তার সাঙ্গ পাঙ্গরা কবরস্থানে জমি দানে বাধা দেন। তারা পাশ্ববর্তী কাওসার পল্লী বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জমিটি দান করার জন্য চাপ সৃষ্টি করেন । এতে আব্দুল আওয়ালের পরিবারের শুভাকাঙ্ক্ষী রুবেল ও ওয়ারেশ রাজি না হওয়ায় আমান উল্লাহ রুবেল ও রাশিদুল সহ তাদের পরিবারের উপর বিভিন্ন ধরনের ঝামেলা সৃষ্টি করতে থাকে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত ১জুলাই বিকাল ৩টার দিকে আমান উল্লাহ সহ ১৫/২০ জন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে রুবেলের বাড়িতে হামলা করে তার প্রতিবন্ধী মা সেলিনা খাতুনকে (৬০) মারধর করলে তার মাথায় ৫ টি সেলাই দেয়া হয় ও তার ফুফাতাে ভাই রশিদুল ইসলামের বাড়ির টিনের বেড়া কুপিয়ে ও আসবাবপত্র ভাংচুর করে প্রায় ৩ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতিসাধন করে। এই ঘটনায় কুমারখালী থানায় আমান উল্লাহ, জামাল উদ্দিন, শহিদ, তহিদুল ওরফে তহির, মারুফ সহ ১২ জনের নামে একটি মামলা করা হয় । যার নং- ২৫।

এছাড়াও ১২ আগষ্ট রাত ৮ টার দিকে রুবেলের ভাই ইদ্রিস আলী (৪৫) পান্টির গােদের বাজার হতে বাই সাইকেল যােগে বাড়িতে আসার পথে বড় বিলের মাঠে পৌঁছালে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে জামাল উদ্দিন, আমান উল্লাহ, শহিদ, বিল্লাল হােসেন, রুবেল হােসেন, মারুফ হােসেন, ও সােহাগ হােসেন তাকে কুপিয়ে মারাত্মক আহত করে । বর্তমানে ইদ্রিস আলী কুমারখালী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ভুক্তভােগীদের পরিবারের লােকজন বাইরে আসলেই হত্যা করবে বলে আসামীরা হুমকী অব্যাহত রেখেছে। রুবেল ও রশিদুলের পরিবার নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে দিন যাপন করছে।

বিষয়টি জানতে অভিযুক্ত আমান উল্লাহর সাথে একাধিকবার যােগাযােগ করার চেষ্টা করা হলেও সম্ভব হয়নি। এই ব্যাপারে ভুক্তোভােগীরা কুষ্টিয়া পুলিশ সুপারের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।

এ বিষয়ে কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদারের সাথে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি বলেন, থানায় এসে মামলা দিতে বলেন।

 

 

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়