বুলবুল খান, নড়াইল প্রতিনিধি:
নড়াইলের লোহাগড়ায় কুমারিমাতার কোল থেকে পাষন্ডরা কেড়ে নিয়েছে তার নবজাতককে সংক্রান্ত সংবাদ মিডিয়ায় প্রকাশের পর বৃহস্পতিবার (৭ডিসেম্বর) আদালত স্বপ্রণোদিত হয়ে(সুয়োমটো) আদেশ জারি করেছেন। আমলী আদালত লোহাগড়ার বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ জাহিদুল আজাদ তার আদালতে লোহাগড়া থানার ওসিকে এ আদেশ দেন বলে সূত্র জানায়। আদেশে লোহাগড়া থানার ওসিকে আগামী সোমবার(১১ ডিসেম্বর)স্বশরীরে আদালতে হাজির হয়ে ঘটনার ওপর প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন। ভুক্তভোগীদের আগের অভিযোগে জানা যায়, কোটাকোল ইউপির ধলাইতলা গ্রামে মৃত ইলিয়াস ভ্ুঁইয়ার স্ত্রী ও সন্তানরা নিজ খুঁপড়ি ঘরে বসবাস করেন। গত ৯ মাস আগে ইলিয়াস ভঁইয়ার বাড়িতে পার্শ্ববর্তী ইতনা ইউনিয়নের কুমারডাঙ্গা গ্রামের মৃত মোস্ত শেখের ছেলে নয়ন শেখ(৩২) আঠারো বছর বয়সি মেয়ে (আখি খানম) কে কয়েক দফায় ধর্ষণ করে। লোকলজ্জার ভয়ে ঘটনাটি কাউকে জানায়নি সে(আখি)। কিন্তু সে অন্তস্বত্তা হয়ে পড়ে।
গত শুক্রবার(১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে ওই মেয়ে (আখি) তার নিজ বাড়িতে পুত্র সন্তান প্রসব করে। শনিবার (২ ডিসেম্বর) বিকালে প্রভাবশালীরা কৌশলে কুমারি মাতার কোল থেকে তার সদ্য জন্ম গ্রহণকৃত পুত্র সন্তানকে নিয়ে চলে যায়। এরপর থেকেই ওই শিশু কোথায় আছে, কেমন আছে তা নিয়ে এলাকায় তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়।
বিভিন্ন পত্রিকায় এ সংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশের পর লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ শফিকুল ইসলাম বুধবার (৬ ডিসেম্বর) লোহাগড়া থানার এস,আই হাবিব কে এ সম্পর্কে খবর নিতে ধলাইতলা পাঠান। সেখানে কোন অভিযোগ না পেয়ে এস,আই হাবিব ফিরে আসেন। কিন্তু ৭ ডিসেম্বর আমলী আদালত লোহাগড়ার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ জাহিদুল আজাদ পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের সূত্র ধরে স্বপ্রণোদিত হয়ে লোহাগড়া থানার ওসি কে খবর জানার পরও ব্যবস্থা কেন গ্রহণ করা হয়নি, নবজাতকের বর্তমান অবস্থান জানা সহ বিষয়টি সম্পর্কে প্রতিবেদন দেবার জন্য আগামী সোমবার স্বশরীরের আদালতে হাজির থাকতে নির্দেশ দেন।
লোহাগড়া থানার ওসি মোঃ শফিকুল ইসলাম আদালতের স্বপ্রণোদিত আদেশের কথা স্বীকার করে বলেন, আমি সোমবার স্বশরীরে আদালতকে বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত করবো। তিনি আরো বলেন, আদালতের নির্দেশের পর পুনরায় ওই গ্রামে এস,আই হাবিব কে পাঠিয়ে ওই মেয়ের মা ও ভাই কে বৃহস্পতিবার রাতে থানায় আনা হয়েছিল। ওই পরিবার কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ দেয়নি। এমনকি এ বিষয়ে তাদের কোন অভিযোগ নেই মর্মে থানায় লিখিতভাবে জানিয়েছে। এসময় ইতনা ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ নাজমুল হাসান টগর উপস্থিত ছিলেন। মেয়ের মা ওসিকে জানায়, আমার মেয়ে ঢাকায় গার্মেন্টস এ চাকরী করে। এ ধরনের কোন ঘটনা ঘটেনি। এ বিষয়ে জানতে ইতনা ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ নাজমুল হাসান টগর এর ফোনে কয়েকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়
Leave a Reply