হাসনাত রাব্বু, কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি :
“মানুষ ভজলে সোনার মানুষ হবি” বাউল সম্রাট ফকির লালন শাহ’র এই আধ্যাত্মিক বানীর শ্লোগানে দৌলপূর্ণিমা উপলক্ষ্যে কুষ্টিয়ার ছেঁউড়িয়ার লালন আখড়াবাড়ীতে তিন দিন ব্যাপী লালন স্মরণোৎসব’র আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে।
শনিবার রাত ৮টায় বাংলাদেশ অওয়ামীলীগের যুগ্ন- সাধারন সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ এমপি স্মরণোৎসব’র উদ্বোধন করেন। এ উপলক্ষ্যে লালন একাডেমির মূল মঞ্চে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন তিনি। লালন একাডেমির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মো. সাইদুল ইসলামের সভাপতিত্বে এসময় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কুষ্টিয়া ৪ আসনের সংসদ সদস্য সেলিম আলতাফ জর্জ, কুষ্টিয়া ১ আসনের সংসদ সদস্য আঃ কাঃ মঃ সরওয়ার জাহান বাদশা প্রমূখ।
প্রধান আলোচক ছিলেন কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে সাবেক উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ শাহিনুর রহমান। আলোচনা শেষে মূল মঞ্চে একাডেমির শিল্পীরা লালন ফকিরের আধ্যাত্মিক গান পরিবেশন করেন। সাংস্কৃতিক মন্ত্রনালয় ও জেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় লালন একাডেমি এ লালন স্মরনোৎসবের আয়োজন করেছে।
এবার সব-ই-বরাতের কারণে দু’দিন এগিয়ে আনা হয়েছে অনুষ্ঠানমালা। লালন উৎসবের অনুষ্ঠানিকতা আগামী ৬মার্চ রাতে শেষ হলেও দৌলের তিথি অনুযায়ী বাউল সাধু ভক্তানুরাগীদের মুল আনুষ্ঠানিকতা অধিবাস শুরু হবে ৬মার্চ রাতে। পরদিন ৭মার্চ ভোরে বাল্যসেবা ও দুপুরে পূর্ণ্যসেবার মধ্যদিয়ে শেষ হবে সাধুদের কার্যক্রম। এদিকে আখড়াবাড়ী চত্বরে কালী নদীর তীরে বিশাল মাঠে জমে উঠেছে লালন মেলা। আর ঐতিহাসিক এই উৎসবকে নির্বিগ্ন করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্ত্বা ব্যবস্থা।
উল্লেখ্য, বাউল সম্রাট লালন শাহ তার জীবদ্দশায় ছেঁউড়িয়ার এই আখড়াবাড়িতে প্রতি বছর চৈত্রের দৌলপূর্নিমা রাতে বাউলদের নিয়ে সাধু সঙ্গ উৎসব করতেন। ১২৯৭ বঙ্গাব্দের পহেলা কার্তিক তার মৃত্যুর পরও এ উৎসব চালিয়ে আসছে তার অনুসারীরা।
এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়
Leave a Reply