হাসনাত রাব্বু, কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি :
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা চাঁদগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ইট ভাটার মালিক আলহাজ্ব গিয়াসউদ্দিন সোনার বিরুদ্ধে সাংবাদিক সম্মেলন করলেন তার দ্বিতীয় স্ত্রী রহিমা খাতুন।
ভেড়ামারা প্রেসক্লাবে আজ শনিবার বিকাল চারটার সময় অনুষ্ঠিত উক্ত সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য হুবহু নিম্নে তুলে ধরা হলো সাংবাদিক সম্মেলন প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগণ আসসালামু আলাইকুম, স্বামী কর্তৃক নিগ্রহের শিকার হয়ে অত্যন্ত দুঃখ ভারাক্রান্ত মনে চরম অসহায় ও শোচনীয় অবস্থায় আপনাদের মাধ্যমে আইন আদালত ও সরকারের সুদৃষ্টি পাওয়ার আশায় সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করেছি। আমার নাম মোছা: রহিমা খাতুন, আমার স্বামীর নাম আলহাজ্ব গিয়াস উদ্দিন সোনা, সাং-কোদালিয়াপাড়া থানা ভেড়ামারা জেলা কুষ্টিয়া, আমার স্বামী একজন আইন অমান্যকারী নির্যাতনকারী ব্যক্তি।
গত ৩০/১/ ২০২২ ইং তারিখে ১০ লক্ষ টাকা দেলমোহর ধার্য্যে ২০ হাজার টাকা ওয়াসিলে মুসলিম পারিবারিক আইন অনুসারে সামাজিক প্রথায় আমাদের বিবাহ রেজিস্ট্রি হয়। বিবাহর পর হইতেই আমার স্বামী হাজী গিয়াস উদ্দিন সোনা আমার নিকট পাঁচ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবি করে। আমার পিতা মৃত হওয়ায় আমার বোন আমার সুখের কথা চিন্তা করে আমার স্বামীর কোল্ড স্টোরেজের ফ্লোর ঢালাই করার জন্য, আমার নিজের জমানো নগদ ৩ লক্ষ টাকা গত ইংরেজি ১/৭/ ২০২২ তারিখে আমার স্বামীর নিকটে প্রদান করে। কিন্তু তাতেও আমার যৌতুক লোভী স্বামীর চাহিদা মেটে না সে নতুনভাবে আরো যৌতুকের টাকা দাবি করে বাকি ২ লক্ষ টাকা যৌতুক দেওয়ার জন্য আমার উপরে চাপ দেয় আমি অনেক অত্যাচার করেও সংসার করতে থাকি এক পর্যায়ে যৌতুকের বাকি টাকা পরিশোধ করতে না পারায় আমার স্বামী আমাকে মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার ও নির্যাতন করে এক কাপড়ে বাড়ি থেকে বের করে দেয়।
আমার আত্মীয়-স্বজনরা বারবার সংবাদ দেওয়ার পর গত ইংরেজি ১/৯/2022 তারিখ বেলা ৩ ঘটিকার সময় আমার স্বামী আমার নিজ নামিও বাড়িতে আসে, আমার আত্মীয়স্বজনরা আমার স্বামীকে যৌতুকের বাদবাকি টাকা ছাড়ায় আমাকে নিয়ে গিয়ে ঘর সংসার করতে বলে এ কথাতে আমার স্বামী অত্যন্ত ক্ষিপ্ত হয়ে ঘর সংসার করবে না বলে সব জানিয়ে দেয়, এক পর্যায়ে আমার পিতার বাড়ির পরিবারের লোকজন, দেনমোহর ও খোরপোষ দাবি করলে আমার স্বামী তা দিতে অস্বীকার করে।
গত ইংরেজি ২০-৭ ২০২২ তারিখ থেকে আমার নিজ নামিও বাড়িতে অবস্থান করছি।আমার স্বামী আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছে আমার স্বামীর প্রথম পক্ষের সন্তান শুভ আমাকে তাদের ভাটায় পুড়িয়ে মারার হুমকি দেয়। ক্ষমতার জোরে পুলিশ দিয়ে বিভিন্নভাবে আমাকে হয়রানি করছে। প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগণ আমি খুবই অসহায় অবস্থায় দিন যাপন করছি আমি নিরুপায় আদালতের শরণাপন্ন হয়েছি। এ বিষয়ে আপনাদের মাধ্যমে দেশবাসীর সহযোগিতা কামনা করছি আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে আমার বক্তব্য এখানেই শেষ করছি।
এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়
Leave a Reply