হাসনাত রাব্বু, কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি :
কুষ্টিয়ার সদর উপজেলায় বিএনপির ১৮ জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের করেছে কুষ্টিয়ার মডেল থানা পুলিশ। এই মামলায় চারজনকে আটক করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাত ৩০ থেকে ৩৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।
৬ ডিসেম্বর মঙ্গলবার মামলাটি দায়ের করেন কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাজু মোহন সাহা।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন কুষ্টিয়া পৌর সেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক শাহীন হোসেন (৪৫) কুষ্টিয়া থানাপাড়া, কানুর ছেলে, শেখ হিমেল কুষ্টিয়া শহরের থানাপাড়া এলাকার মৃত বাদশা আলীর ছেলে। সদর উপজেলার সেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক আনিছুর রহমান (৪৪) খাজানগর আদর্শপাড়া এলাকার আয়নাল ফকিরের ছেলে, হাবিবুর রহমান হাবিব (২৮) সন্তোষপুর গোয়ালপাড়া এলাকার মহির উদ্দিনের ছেলে এবং হাটশ হরিপুর ২ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি নেতা আলামিন মালিথা হাবিব (৩২) হাটশ হরিপুর এলাকার আলতাফ হোসেনের ছেলে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায় ৫ ডিসেম্বর সোমবার রাত ৮টার দিকে কুষ্টিয়া শহরের কাস্টমস মোড় সংলগ্ন নির্মানাধীন বিআরবি হাসপাতালের মেইন গেইটের সামনে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কের উপর ৪৫ থেকে ৫০ জন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ও তার অঙ্গ সংগঠনের উচ্ছৃঙ্খল নেতাকর্মীরা দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির লক্ষ্যে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সরকারি স্থাপনা, যানবাহন ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগ করে রাষ্ট্রের সম্পদ ক্ষতি সাধন করার জন্য সমবেত হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সেখানে অবস্থানরত বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনের উচ্ছৃঙখল নেতাকর্মীরা দৌড়ে পালিয়ে যায়। এ সময় ৪ আসামিকে আটক করে পুলিশ। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে ৫টি বাঁশের লাঠি, তিনটি লোহার রড, ১৭ পিচ বিভিন্ন সাইজের ইটের টুকরা, এক লিটার পেট্রোল, একটি গ্যাস লাইট উদ্ধার করে পুলিশ।
আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশ। এই সমাবেশকে কেন্দ্র করে বিএনপি নেতাকর্মীদের হয়রানি করতে পুলিশ। বিএনপি নেতারা যখন মাঠে নামছে, তখনই মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে সরকার। গায়েবি মামলা দিয়ে চার নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমাদের নেতাকর্মীরা কোনো ধরনের অপরাধ করেনি বলে জানান কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন।
বিশেষ ক্ষমতা আইন মামলায় চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দায়েরকৃত মামলায় অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানান কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হোসেন খান।
Leave a Reply