সোমবার, ২০ মার্চ ২০২৩, ০৪:৩০ অপরাহ্ন

কেউ ত্রাণ নিয়ে যাচ্ছেন না, খাদ্য সংকটে কুড়িগ্রামের বানভাসি মানুষ

Reporter Name
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ১৭ আগস্ট, ২০১৭
  • ৪১ Time View

কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি কিছুটা কমলেও জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। জেলার ৯ উপজেলার ৮২০ গ্রামের ৪ লাখ মানুষ পানিবন্দী অবস্থায় জীবন-যাপন করছেন।

বানভাসি মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে গবাদি পশুসহ পাকা সড়ক, উচু বাঁধ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আশ্রয় নিয়েছেন। এসব এলাকায় দেখা দিয়েছে চরম খাদ্য ও বিশুদ্ধ খাবার পানির সংকট। ত্রাণের নৌকা দেখে বানভাসিরা ছুটে গেলেও অনেকের ভাগ্যে ত্রাণ জুটছে না। সরকারি-বেসরকারিভাবে ত্রাণ তৎপরতা শুরু হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল।

এদিকে বন্যায় পাঁচ দিনে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের বেশির ভাগই শিশু। বন্যার পানিতে ভেসে গেছে জেলার ৮ হাজার পুকুরের প্রায় ১২ কোটি টাকার মাছ। সরকারিভাবে এ পর্যন্ত বন্যার্তদের জন্য সাড়ে ১৭ লাখ ৫ হাজার টাকা, ৬৫১ মেট্রিক টন চাল ও ২ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। সরকারি-বেসরকারিভাবে ত্রাণ তৎপরতা শুরু হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। চরাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় এ সব এলাকায় কেউ ত্রাণ নিয়ে যাচ্ছেন না। ফলে ত্রাণ সহায়তা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন এসব এলাকার মানুষ।

কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক আবু ছালেহ মোহাম্মদ ফেরদৌস খান জানান, বন্যার্তদের জন্য ৪০৮টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এসব আশ্রয় কেন্দ্রে ২৫ হাজার ১৪টি পরিবার অবস্থান করছেন। বন্যা দুর্গতদের মধ্যে ত্রাণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। এ পর্যন্ত বন্যার্তদের জন্য সাড়ে ১৭ লাখ ৫ হাজার টাকা, ৬৫১ মেট্রিক টন চাল ও ২ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। পর্যাপ্ত ত্রাণ মজুদ রয়েছে। চাহিদা অনুযায়ী বিতরণ করা হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়