কোটালীপাড়া প্রতিনিধি- আবুল কালাম মৃধা:
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় নষ্ট হতে বসেছে জমির পাকা ধান, তা যেন দেখার কেউ নেই, এতে নিরব ভূমিকা পালন করছে প্রশাসন। সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার ভূতের বাড়ী গ্রামের মৃত মোছলেম মীরের ছেলে মো: লাল মিয়া মীর (৬৫) এর ক্রয়কৃত পৈতৃক সম্পত্তি, ২৪নং রামশীল ভূতের বাড়ী মৌজার আরএস ৭নং খতিয়ানের ২৬৬ ও ২৬৭ নং দাগের দলিল নং- ২৫৮৪, ৫১৩, ২৮১৬, তাং- ১৯৪৭ইং এবং বিআরএস ৩৩৫ নং খতিয়ানের ৪৫১ নং দাগে .৯৯ শতাংশ জমি প্রায় ৫০ বছর যাবৎ চাষাবাদ ও ভোগদখল করিয়া আসিতেছে। যাহার (ভূমি উন্নয়ন কর) বিআরএস দাখিলা ও মো: লাল মিয়া মীর পরিশোধ করে আসছেন। কিন্তু ২০১৮ইং ইরি মৌসুমে প্রতিবেশী মৃত আ: গফুর মীরের ছেলে আবুতালেব মীর (৭২) গং মো: লাল মিয়া মীরের ভোগ দখলকৃত .৯৯ শতাংশ জমি সহ সম্পূর্ণ ১.৯১ শতাংশ জমি দাবি করে জোর পূর্বক চাষাবাদ করে। তাতে লাল মিয়া মীর বাধা দিতে গেলে জবর দখল কারীরা তাকে হত্যার হুমকি দেয়। যার ফলে লাল মিয়া মীর আদালতে একটি ৭ ধারা মামলা দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে মো: লাল মিয়া মীর গোপালগঞ্জ বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা মেজিস্ট্রেট আদালতে নিষেধাজ্ঞা জারীর জন্য মামলা করিলে বিজ্ঞ আদালত উক্ত জমির উপর নিষেধাজ্ঞা জারী করেন। যাহার নং- ৪০৪/১৮, তাং- ১৬/০৪/২০১৮ইং। উক্ত নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি সাদুল্লাপুর ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হোসেন তদন্ত করেন এবং ভাঙ্গারহাট নৌ-তদন্ত কেন্দ্রের এস আই মহিদুল ইসলাম ঘটনা স্থলে গিয়ে উভয় পক্ষকে ধান কাটতে নিষেধ করে তৃতীয় পক্ষের কাছে ধান কেটে রাখার কথা বলে আসেন। তৃতীয় পক্ষ ধান না কাটার ফলে প্রায় শতাধীক মন ধান নষ্টের পথে।
এলাকার জনসাধারণ সাংবাদিকদের বলেন- ধানগুলি চেয়ারম্যান অথবা মেম্বর কারো দায়িত্বে কাটা হলে পচনের হাত থেকে রেহাই পেত। এ ব্যাপারে লালমিয়া মীর সাংবাদিকদের বলেন- কোন কাগজ পত্রের বলে আমার .৯৯ শতাংশ জমি জোর পূর্বক দখলের চেষ্টা করে আবু তালেব মীর গং এরা, তিনি আরও জানান,ভাঙ্গারহাট ফাড়ীতে এবং গ্রামে এ বিষয়ে বহুবার সালিশ ব্যবস্থার আয়োজন করা হয়, কিন্তু বিবাদী পক্ষ একবারও উপস্থিত হয় নাই। এ ব্যাপারে আমি উর্ধোতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে ভাঙ্গারহাট নৌ-তদন্ত কেন্দ্রের এ এস আই মহিদুল ইসলাম বলেন- আমি তৃতীয় পক্ষের কাছে ধান কেটে রাখার কথা বলে এসেছি, কিন্তু বিবাদী পক্ষ কথা শোনেনা।
Leave a Reply