শাহীন মুন্সী, গোপালগঞ্জ :
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় শাকিব সরকার নামের এক বখাটে কলেজ পড়ুয়া ছাত্র কর্তৃক রত্না হালদার নামের ১৪ বছর বয়সী স্কুলপড়ুয়া ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী ধর্ষিত হয়েছে। ধর্ষণের ঘটনাটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে গ্রামবাসী ও ধর্ষিতার সহপাঠীরা ফুঁষে উঠে। এসময় ধর্ষণকারী শাকিব গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে যায়। শাকিব সরকার কোটালীপাড়া উপজেলার রামলীল ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের সুব্রত সরকার ওরফে কালু ঘরামীর ছেলে ও রামশীল কলেজের এইচএসসি ২য় বর্ষের ছাত্র।
এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর মা পবিত্র হালদার বাদী হয়ে শাকিব সরকারকে আসামি করে গোপালগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছেন। যার নম্বর- ২৭৫/২০২২। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো (পিবিআই) গোপালগঞ্জ কে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। অপর দিকে আসামি পক্ষের লোকজন মামলার বাদী পবিত্র হালদারসহ ভিকটিমের পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের মামলা তুলে নিতে বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি দেখিয়ে চাপ প্রয়োগ করার অভিযোগ উঠেছে।
মামলার বর্ণনা থেকে জানা যায়, ধর্ষক সাকিব দীর্ঘদিন ধরে রত্না হালদার কে বিভিন্নভাবে কুপ্রস্তাবসহ বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আসছিল। রত্না হালদার কোন প্রস্তাব ও প্রলোভনে রাজি না হওয়ায় গত ১৫ অক্টোবর শনিবার দুপুরে রত্না হালদারকে বাড়ীর রাস্তায় একা পেয়ে কৌশলে ধর্ষকের বসত বাড়ীর পুকুর পাড়ের দোচালা টিনের ঘরে নিয়ে জোর করে ধর্ষণ করে। এরপর তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে তালাবদ্ধ করে রাখে।
মামলার বাদী পবিত্র হালদার সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, আমার ১৪ বছরের নাবালিকা মেয়ে ধর্ষিত হয়েছে। আমরা এলাকায় বিচার না পেয়ে আদালতে মামলা করেছি। এখন আসামি পক্ষের লোকজন মামলা তুলে নিতে হুমকি ধামকি ও গুমের মামলা দেওয়ার ভয় দিচ্ছে।
Leave a Reply