মোঃ নাসির উদ্দিন, ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধিঃ
টাঙ্গাইলের অল্প ক’দিন আগের চিরচেনা সবুজ ধানের মাঠ ধীরে ধীরে রুপ পাল্টে ধারণ করছে কৃৃষকের স্বপ্নের সোনালী রঙে। পাকা ধানের মৌ মৌ গন্ধ সুবাস ছড়াচ্ছে বাতাস। তবে সেখানে শঙ্কার মেঘ দানা বেঁধেছে করোনা ভাইরাসের কারণে শ্রমিক সংকট দেখা দেয়ায়। কৃষকের এ সংকট মোকাবিলায় তাদের সহযোগীতার জন্য প্রায় তিন হাজার ছাত্রলীগ- যুবলীগের কর্মীকে মাঠে নামিয়েছেন টাঙ্গাইল-২ আসনের সংসদ সদস্য। তারা কৃৃষকের ধান কেটে দেয়ার পাশাপাশি সব ধরণের সহযোগিতা করছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ছোট মনির।
এর ধারাবাহিকতায় রবিবার (০৩ মে) সকাল থেকে ভূঞাপুরের পৌর এলাকার বীরহাটি গ্রামের বর্গা চাষীর খুকুর ২০ শতাংশ প্রায় তলিয়ে যাওয়া ধান কোমর পানিতে নেমে কেটে মাড়াই করে ঘরে তুলে দিয়েছেন ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা। এসময় শতাধিক নেতা-কর্মী ধান কাটা কাজে অংশগ্রহণ করলেও যাদের ধান কাটার কাজে অভিজ্ঞতা নেই সহযোগিতা করছেন অন্যকাজে।
এ সময় তাদের ধানকাটা কাজে উৎসাহ দিতে উপস্থিত ছিলেন- ‘পৌর মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাসুদুল হক মাসুদ ও থানা অফিসার ইনচার্জ মো. রাশিদুল ইসলাম।’
এ বিষয়ে আয়োজক ভূঞাপুর শহর ছাত্র লীগের সাধারণ সম্পাদক ইমরান চকদার বলেন- ‘আমাদের এমপি মহোদয়ের কৃষকের পাশে থাকার নির্দেশনা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মহোদয়ের পরামর্শ মোতাবেক আমরা কৃষকদের পাশে থাকার চেষ্টা করে যাচ্ছি। এমপি মহোদয় ধান কাটতে গিয়ে যেন কৃষকের কোন ক্ষতি না হয় তার কড়া হুশিয়ারি দিয়েছেন। আমরা সেই মোতাবেক ধান কেটে, মাড়াই করে কৃষকের ঘরে তুলে দিচ্ছি। এতে কৃষকরা অনেক খুশি হয়েছেন।’
এছাড়া ভূঞাপুর উপজেলা ছাত্রলীগ ও গোপালপুর উপজেলা ছাত্রলীগের কর্মীরা প্রায় প্রতিটি ইউনিয়নেই দরিদ্র ও অসহায় কৃষকদের ধান কাটা কাজে নানাভাবে সহায়তা করছেন।
এ বিষয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য ছোট মনির বলেন- ‘দুর্যোগে অসহায় মানুষের পাশে থাকাই বড় ধর্ম। আমরা ত্রাণ বিতরণ থেকে শুরু করে সর্বক্ষণ মানুষের পাশে আছি। তিনি আরও বলেন, এক দিকে শ্রমিক সংকট তার উপর এক বিঘা জমির ধান ঘরে তুলতে প্রায় ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা লাগে। তাই আমরা চিন্তা করেছি আমাদের এই সামন্য চেষ্টায় যদি এক জন কৃষকও উপকৃত হোন সেটাই আমাদের জন্য অনেক বড় পাওয়া।